বাংলাদেশী সেবা পার্টির কাছে সাধারণ লোকের করা ২০ টি প্রশ্ন আর আল কুরআন থেকে দেওয়া উত্তর
১. প্রশ্নঃ আমি ধনী হতে চাই !
উঃ ৩৫/১৫ আয়াতে কোরআন বলছে,
হে মানব মন্ডলী,
তোমরা সবাই ফকির এবং আল্লাহ হলেন ধনী, , , , , ,
২. প্রশ্নঃ আমি ইসলামী জ্ঞানের অধিকারী হতে চাই !
উঃ ৯৬/১,২,৩,৪,৫ আয়াতগুলিতে কোরআন বলছে,
সৃষ্টিকর্তার নাম নিয়ে পড়তে পারলে বিজ্ঞ আলেম হওয়া যাবে অজানা জিনিস গুলি জানা যাবে।
৩. প্রশ্নঃ আমি সম্মানী হতে চাই !
উঃ ১৭/৭০ আয়াতে কোরআন বলছে,
আল্লাহ বানি আদমকে সম্মানের অধিকারী করেছেন।
প্রত্যেকটি বাণী আদম সে যে ধর্মের হোক না কেন
যে এলাকার হোক না কেন
যে ভাষা হোক না কেন
যে রংয়ের হোক না কেন সে সম্মানের অধিকারী।
৪. প্রশ্নঃ আমি রবের কাছে ভাল মানুষ হতে চাই !
উঃ ৪৯/১৩ আয়াতে কোরআন বলছে,
যে ব্যাক্তি তাকওয়ার কাজ করবে সেই ব্যক্তিই আল্লাহ তাআলার দৃষ্টিতে সর্বোত্তম ব্যক্তি, , , , ,
৫. প্রশ্নঃ আমি কোন কাজ করলে ন্যায়পরায়ণ হতে পারবো !
উঃ ৫/২ আয়াতে কোরআন বলছে,
তোমরা কল্যাণের কাজে এবং অন্যকে সহযোগিতা করো, , , , ,
তাহলে আমরা যদি কোরআনের এই কথা মেনে চলি অবশ্যই আমরা ন্যায় পরায়ন হতে পারব।
৬. প্রশ্নঃ আমি শক্তিশালী ও জ্ঞানী হতে চাই !
উঃ ২/২৪৭ আয়াতে কোরআন বলছে,
শক্তিশালীর দিক থেকে এবং জ্ঞানের দিক থেকে এগিয়ে থাকতে হবে, , , , ,
তাই এই আয়াত মতে আমল করলে আমরা সবাই শক্তিশালী এবং জ্ঞানী হতে পারব।
৭. প্রশ্নঃ আমি আল্লাহর দরবারে মুসলিম হতে চাই !
উঃ ২২/৭৮, ৬/১৬৩, ৩/১০২ আয়াতগুলি বলছে,
তিনি তোমাদের নাম মুসলিম রেখেছেন, , , ,
এই মুসলিম নাম নিয়ে রাসূলে কারীম চলাফেরা করতেন, , , ,
এবং তোমরা সবাই মুসলিম নামে মৃত্যুবরণ করবে, , , , ,
৮. প্রশ্নঃ আমি রিযিকের প্রশস্ততা চাই !
উঃ ৩/২৮, ২৪/৩৭,৩৮, ৩/৮ আয়াতগুলিতে কোরআন বলছে,
রিজিকের প্রসেসে আসতে হবে তাহলে রিজিক বাড়বে, , ,
বৈধভাবে ব্যবসা বাণিজ্য করতে হবে তাহলে রিজিক বাড়বে, , , কারণ আল্লাহ হলেন সর্বোত্তম রিযিকদাতা, , , , ,
৯. প্রশ্নঃ আমি আল্লাহ র কাছে সমস্ত দোয়া কবুলের আশা করি !
উঃ ২/১৯৬, ৪০/৬০ আয়াত দুটিতে কোরআন বলছে,
যখন তোমরা কোন প্রার্থনা করো তখন আমি তোমাদের প্রার্থনাকে মঞ্জুর করে থাকি, , , , ,
১০. প্রশ্নঃ আমি ঈমানে পূর্ণতা কামনা করি !
উঃ ২/২৮৫ আয়াতে কোরআন বলছে,
রাসূল যেভাবে কলেমা পড়ে ঈমান এনেছেন ঠিক সেইভাবে ঈমান আনতে হবে, , , ,
মানুষের বানানো কোন কথা মতে ঈমান আনা যাবে না।
তবে তো কোরআনের কলেমা এই আয়াতটিকেই বলা হয়।
১১. প্রশ্নঃ আমি কেয়ামতের দিন আল্লাহর সাথে গুনামুক্ত হয়ে সাক্ষাৎ করতে চাই !
উঃ ১৮/১১০ আয়াতে কোরআন বলে,
রাসূলে কারীম বলে গেছেন যদি তোমরা রবের সাথে সাক্ষাৎ করতে চাও তাহলে তোমাদের নেক আমল করতে হবে, , ,
আর নেক আমল কমপ্লিট ভাবে লেখা রয়েছে ২/১৭৭ আয়াতে, ,
১২. প্রশ্নঃ আমি কেমনে বুঝবো আমার নামাজ কবুল হয়েছে ?
উঃ ২৯/৪৫ আয়াতে কোরআন বলছে,
নিশ্চয় নামাজ যাবতীয় অশ্লীল কর্মকান্ড গুলি থেকে দূরে রাখে, তাই বুঝতে হবে যদি আমাদের দ্বারা কোন অশ্লীল কর্মকান্ড না হয় তাহলে আমাদের নামাজ কবুল হচ্ছে।
১৩. প্রশ্নঃ আমি চাইনা কেউ আমার প্রতি জুলুম করুক।
উঃ ২/২৭৯ আয়াতে কোরআন বলছে,
তোমরা জুলুম করো না তোমাদের উপরেও জুলুম করা হবে না,
১৪. প্রশ্নঃ আমি আল্লাহ্ র নিকট প্রিয় হতে চাই ?
উঃ ৫/২ আয়াতে কুরআন বলছে,
তোমরা বিদ্রোহমূলক কোন কাজে এবং অসৎ কোন কর্মে দুর্নীতিবাজ নেতা নেত্রী ও কর্মীদের সহযোগিতা করবে না, , ,
আমরা যদি তা না করি তাহলে অবশ্যই আমরা আল্লাহ তালার প্রিয় পাত্র হতে পারব।
১৫. প্রশ্নঃ আমি মুত্তাকী হতে চাই !
উঃ ২/১৭৭ আয়াতে কোরআন বলছে,
মুক্তাকি হতে গেলে যে কাজগুলি করতে হবে তার ডিটেইলস এখানে লেখা রয়েছে।
আমরা কোরআন খুলে দেখে নিতে পারি।
১৬. প্রশ্নঃ আমি রাসূলুল্লাহ র শাফায়াত পাবো কি করলে ?
উঃ ২৫/৩০ আয়াতে কুরআন বলছে,
রাসুল ঐ সকল লোকদের বিরুদ্ধে কেয়ামতের মাঠে রবের কাছে নালিশ করবেন যারা কোরআন মতে জীবন কাটায় না, , ,
তাহলে আমরা বুঝতে পারলাম আমরা যদি কোরআন মতে জীবন কাটাই অবশ্যই তিনি আমাদের জন্য সুপারিশ করবেন।
১৭. প্রশ্নঃ আমি দোযখের বাসিন্দা হলে কি সেখান থেকে কোনোদিন বেরুতে পারবো ?
উঃ ৫/৩৭ আয়াতে কোরআন বলে,
দোযখ বাসীরা ইচ্ছা করবে দোজখ থেকে বেরোনোর ব্যাপারে কিন্তু সেখান থেকে তারা কোনদিন বেরোবে না, ,
এটি হচ্ছে রবের ফায়সালা এর বিপরীত ধর্মের উলামায়ে ক্রাইমদের ফায়সালা ভিন্ন।
১৮. প্রশ্নঃ আমি আল্লাহকে অভিভাবক কিভাবে বানাবো ?
উঃ ২/২৫৭ আয়াতে কোরআন বলছে,
আল্লাহ তাদের অভিভাবক যারা ঈমানদার তাই তিনি তাদেরকে অন্ধকার মতবাদ থেকে আলোর মতবাদে নিয়ে আসেন,
১৪/১,২ আয়াত বলছে আলোর মতবাদে আসতে হলে একটি গ্রন্থের অনুসারী হতে হবে সেটি হল আল-কোরআন,
১৯. প্রশ্নঃ আমি কি মানুষের লেখা অনেকগুলি গ্রন্থ মানতে পারি ?
উঃ ২/২ আয়াতে বলা হচ্ছে,
আল্লাহ তা'আলার পক্ষ থেকে লিখিত একটি গ্রন্থ হল সন্দেহমুক্ত। তাহলে আমাদেরকে বুঝতে হবে
বাকি সকল গ্রন্থ গুলি হচ্ছে সন্দেহযুক্ত।
এখন সন্দেহযুক্ত গ্রন্থ গুলি আমরা কোনভাবেই মানতে পারবোনা। তাই সন্দেহ মুক্ত লিখিত আল কেতাবটি যাকে আমরা বলি কোরআন।এটি মেনে চলতে হবে।
২০. প্রশ্নঃ হাদিস কয় প্রকার ও কি কি এবং কোন হাদিস আমাকে মেনে চলতে হবে ?
উঃ হাদিস দুই প্রকার
একটি হলো রহমান এর হাদিস ৩৯/২৩ আয়াত মতে।
আরেকটি হল শয়তানের হাদিস ৩১/৬ আয়াত মতে।
যারা শয়তানের হাদিস মেনে চলবে তারা দোজখে যাবে।
আল্লাহ্ তা’য়ালা আমাদের সবাইকে কুরআনের উপর আমল করার তৌফিক দান করুন…।
কোরআন থেকে উত্তর দিয়েছেন,
ডক্টর এ,কিউ,এম,মাহবুবুল্লাহ যশোরী
হাফেজ,আলেম,মুফতি,মুহাদ্দেস,মুফাস্সের
চেয়ারম্যান : বাংলাদেশী সেবা পার্টি
Информация по комментариям в разработке