Скачать или смотреть কালের বিবর্তনে হারিয়ে যাচ্ছে আবহমান বাংলার গ্রামীণ ঐতিহ্যের ছিরচেনা ছন কিংবা ছাউনির ঘর।

কালের বিবর্তনে হারিয়ে যাচ্ছে আবহমান বাংলার গ্রামীণ ঐতিহ্যের ছিরচেনা ছন কিংবা ছাউনির ঘর। দিনদিন আধুনিকতার ছোঁয়ায় এখন পাহাড়ে ছন ও ছনের তৈরি ঘর বিলুপ্তির পথে বললেই চলে।খুব বেশিদিন হয়নি যেখানে প্রতিটি গ্রামের দু’চারটি ছনের তৈরি ঘর চোখে পড়তো, বর্তমানে কয়েকটি গ্রাম মিলেও এই ধরনের ঘর চোখে পড়ে না। এদিকে টিনের অত্যাধিক ব্যবহারের ফলে দূষিত হচ্ছে পরিবেশ। কারণ, দেশে অধিকাংশ টিন পরিবেশ বান্ধব নয়। তবে বিভিন্ন পাহাড়ি জনজাতি পাড়ায় এখনো রয়েছে কয়েকটি ছনের ঘর। এক ছন ব্যবসায়ী আক্ষেপের সুরে চাম্পা হাউর এলাকায় সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধির মুখোমুখি হয়ে জানান, বিগত ৩০ বছর যাবত তিনি এই ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। এখন একটা বড় অংশের লোকেরা এই ব্যবসা থেকে মুখ ঘুরিয়ে নিয়েছে। লাভের মুখ দেখা তো দূরের কথা, আসল দাম তোলা কষ্টকর হয়ে যায়। তিনি তকছায়া এলাকা থেকে এই ছন গুলি নিয়ে এসে বিক্রির উদ্দেশ্যে বেরিয়েছেন বলেও জানান তিনি। উল্লেখ্য, ছন কেটে ধানের মতো মেলে দিয়ে কিছুদিন শুকানোর পর তা বিক্রির জন্য ভার বেঁধে হাটে নিয়ে যাওয়া হতো। এক সময় এলাকাভিত্তিক ছনখোলা হিসেবে বেশ পরিচিত ছিল। কিন্তু কালের বিবর্তনে সেই দৃশ্য এখন আর তেমন চোখে পড়ে না। হারিয়ে যাচ্ছে গ্রাম্য এলাকার ছন। আধুনিক সভ্যতায় মানুষ এখন পাকা-আধাপাকা বাড়ি তৈরিতে ব্যস্ত। ছাউনি হিসেবে ব্যবহার করছে টিনকে। ফলে গ্রাম থেকে ছনের ব্যবহার ক্রমশ বিলুপ্তির পথে। খোয়াই থেকে প্রতিবেদন।