Скачать или смотреть সুদ কিংবা ঘুষের টাকা ফেরত দেওয়ার নিয়ম-শায়খ আহমাদুল্লাহ

সুদ কিংবা ঘুষের টাকা ফেরতের নিয়ম-শায়খ আহমাদুল্লাহ

সুদ বা ঘুষ নেওয়া ইসলামে সম্পূর্ণ হারাম এবং এগুলো থেকে বাঁচার জন্য তওবা করা প্রত্যেক মুসলিমের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শায়খ আহমাদুল্লাহ এবং অন্যান্য ইসলামি স্কলারদের আলোচনার ভিত্তিতে, সুদ বা ঘুষের টাকা ফেরত দেওয়ার নিয়ম সম্পর্কে কিছু দিকনির্দেশনা দেওয়া হলো:

১. তওবা করা
প্রথমে আল্লাহর কাছে খাঁটি মনে তওবা করতে হবে। অতীতের ভুলের জন্য আন্তরিকভাবে ক্ষমা চাইতে হবে এবং ভবিষ্যতে আর কখনো এ ধরনের কাজ না করার দৃঢ় সংকল্প করতে হবে।

২. অবৈধ অর্থ ফিরিয়ে দেওয়া
যদি আসল মালিক জানা যায়:
সুদ বা ঘুষের মাধ্যমে নেওয়া অর্থ সেই ব্যক্তিকে ফিরিয়ে দিতে হবে, যিনি এটির প্রকৃত মালিক। তবে এটি এমনভাবে দিতে হবে যাতে তিনি অপমানিত বা ক্ষতিগ্রস্ত না হন।

যদি মালিক অজানা থাকে:
যদি মালিককে খুঁজে পাওয়া না যায় বা তাদের শনাক্ত করা অসম্ভব হয়, তবে সেই অর্থ দান করে দিতে হবে। এই দানের উদ্দেশ্য হবে নিজের পক্ষ থেকে সম্পদকে হালাল করা, তবে এর জন্য সওয়াবের আশা করা যাবে না।

৩. অবৈধ অর্থ ব্যবহার না করা
সুদ বা ঘুষের টাকা নিজের বা পরিবারের প্রয়োজনে ব্যবহার করা হারাম। এটি আল্লাহর দরবারে গ্রহণযোগ্য হবে না এবং বরকতহীন হয়ে যাবে।

৪. আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া (যদি প্রযোজ্য হয়)
যদি সুদ বা ঘুষের বিষয়টি আইনগত হয়, তবে সেটি স্থানীয় আইন অনুযায়ী সমাধান করার চেষ্টা করা উচিত।

৫. প্রতিশ্রুতি রক্ষা
যে পরিস্থিতি থেকেই আপনি এ ধরনের অর্থ উপার্জন করেছেন, ভবিষ্যতে যেন এমন কাজ আর না হয়, তার জন্য সৎ পথে উপার্জন করার চেষ্টা করতে হবে।

উদাহরণস্বরূপ:
শায়খ আহমাদুল্লাহের মতে, সুদ বা ঘুষের অর্থ আল্লাহর কাছে মাফ পেতে হলে সঠিক মালিককে ফিরিয়ে দেওয়া জরুরি। তবে মালিক অজানা হলে, জনকল্যাণমূলক কাজে এটি দান করে নিজের দায় মুক্ত করা যায়।

আল্লাহ আমাদের সবাইকে হারাম থেকে বেঁচে থাকার তৌফিক দিন। আমিন।