Скачать или смотреть ভাঙ্গা জংশন স্টেশনে মধুমতি এক্সপ্রেস - LHB Coach with American GT42ACL locomotive - bhanga Junction

মধুমতি এক্সপ্রেস - বাংলাদেশ রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলের একটি জনপ্রিয় আন্তঃনগর ট্রেন। এই ট্রেনটি রাজশাহী থেকে ছেড়ে পদ্মা সেতু হয়ে ঢাকার দিকে চলাচল করে। নিচে এই

সময়সূচী:
রাজশাহী থেকে ঢাকা (ট্রেন নম্বর ৭৫৫):
রাজশাহী ছাড়ে: সকাল ০৭:১০
গোয়ালন্দ ঘাট পৌঁছায়: দুপুর ১২:৪০ (আগে এই রুটে চলাচল করত)
বর্তমানে এটি পদ্মা সেতু হয়ে ঢাকা পর্যন্ত যায় এবং আনুমানিক দুপুর ২:০০ টায় ঢাকা পৌঁছায়।
ঢাকা থেকে রাজশাহী (ট্রেন নম্বর ৭৫৬):
ঢাকা ছাড়ে: বিকাল ০৩:০০
রাজশাহী পৌঁছায়: রাত ১০:৪০
বিরতি স্টেশন: এই ট্রেনটি যাত্রাপথে বেশ কিছু স্টেশনে যাত্রাবিরতি করে। প্রধান বিরতি স্টেশনগুলোর মধ্যে রয়েছে ঈশ্বরদী, পোড়াদহ, ভেড়ামারা, কুষ্টিয়া কোর্ট, রাজবাড়ী, ফরিদপুর, ভাঙ্গা, শিবচর, পদ্মা এবং মাওয়া।
পরিষেবার ধরণ: আন্তঃনগর ট্রেন
প্রথম পরিষেবা: ১৫ আগস্ট ২০০৩
পরিচালক: পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে
আসন বিন্যাস: মধুমতি এক্সপ্রেসে চেয়ার এবং প্রথম শ্রেণীর আসন ব্যবস্থা রয়েছে।
অন্যান্য তথ্য:
এই ট্রেনটি পদ্মা সেতুর উপর দিয়ে চলাচলকারী অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ট্রেন।
যাত্রাপথের মনোরম দৃশ্য উপভোগ করার সুযোগ রয়েছে।

টিকেট সাধারণত অগ্রিম বুকিং করতে হয়।রাজশাহী থেকে ঢাকা (ট্রেন নম্বর ৭৫৫):
রাজশাহী ছাড়ে: সকাল ০৭:১০
ঈশ্বরদী জংশন
পোড়াদহ জংশন
ভেড়ামারা
কুষ্টিয়া কোর্ট
কুমারখালী
খোকসা
পাংশা
কালুখালী জংশন
রাজবাড়ী
ফরিদপুর
ভাঙ্গা জংশন
শিবচর
পদ্মা
মাওয়া
ঢাকা পৌঁছায় (কমলাপুর): আনুমানিক দুপুর ০২:০০
ঢাকা থেকে রাজশাহী (ট্রেন নম্বর ৭৫৬):
ঢাকা ছাড়ে (কমলাপুর): বিকাল ০৩:০০
মাওয়া
পদ্মা
শিবচর
ভাঙ্গা জংশন
ফরিদপুর
রাজবাড়ী
কালুখালী জংশন
পাংশা
খোকসা
কুমারখালী
কুষ্টিয়া কোর্ট
ভেড়ামারা
পোড়াদহ জংশন
ঈশ্বরদী জংশন
রাজশাহী পৌঁছায়: রাত ১০:৪০
কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়:
এই সময়সূচী পরিবর্তন হতে পারে।
বিভিন্ন স্টেশনে ট্রেন থামার সময় সাধারণত ২-৫ মিনিট হয়ে থাকে, তবে কিছু বড় স্টেশনে এটি বেশি হতে পারে।
সাপ্তাহিক ছুটির দিন এবং অন্যান্য কারণে সময়সূচীর পরিবর্তন হতে পারে।



লহব🟥 LHB Coach - LHB কোচ মানে হল লিংকে-হোফম্যান-বুশ কোচ। এটি ভারতীয় রেলওয়ের এক ধরনের আধুনিক যাত্রীবাহী কোচ। জার্মানির লিংকে-হোফম্যান-বুশ নামক একটি কোম্পানি এই কোচ ডিজাইন করে এবং ভারতীয় রেলওয়ের কারখানায় (যেমন কাপুরথালা, চেন্নাই, রায়বেরিলি) এগুলো তৈরি হয়।
LHB কোচগুলি পুরনো ICF (ইন্টিগ্রাল কোচ ফ্যাক্টরি) কোচের তুলনায় অনেক উন্নত এবং এর কিছু বিশেষ বৈশিষ্ট্য রয়েছে:
নিরাপত্তা: এই কোচগুলোতে সেন্টার বাফার কাপলিং (CBC) ব্যবহার করা হয়, যার ফলে দুর্ঘটনার সময় কোচগুলো একে অপরের উপর উঠে যাওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে। এছাড়াও, এগুলোতে উন্নত ব্রেকিং সিস্টেম ও অ্যান্টি-টেলিস্কোপিক ডিজাইন রয়েছে।
গতি: LHB কোচগুলো উচ্চ গতিতে চলার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে এবং পুরনো কোচের তুলনায় ঝাঁকুনি অনেক কম হয়, ফলে যাত্রীরা আরও আরামদায়ক ভ্রমণ অনুভব করেন।
ওজন: এগুলো স্টেইনলেস স্টিল দিয়ে তৈরি হওয়ায় পুরনো কোচের তুলনায় হালকা।
ধারণক্ষমতা: LHB কোচগুলো লম্বা হওয়ায় বেশি যাত্রী বহন করতে পারে।
জীবনকাল ও রক্ষণাবেক্ষণ: এই কোচগুলোর জীবনকাল পুরনো কোচের চেয়ে বেশি এবং এদের রক্ষণাবেক্ষণ খরচও তুলনামূলকভাবে কম।
আধুনিক সুবিধা: LHB কোচগুলোতে উন্নত শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা, বড় জানালা এবং আধুনিক টয়লেট ব্যবস্থা থাকে।
বর্তমানে ভারতীয় রেলওয়ে পুরনো ICF কোচগুলো পরিবর্তন করে ধীরে ধীরে LHB কোচ ব্যবহার করছে।


🟥 লোকোমোটিভ - GT42ACL locomotive


GT42ACL লোকোমোটিভ হল একটি ডিজেল-ইলেকট্রিক লোকোমোটিভের মডেল, যা আমেরিকান কোম্পানি প্রগ্রেস রেল (Progress Rail) তৈরি করে। এই মডেলটি মূলত বাংলাদেশ রেলওয়ের ব্রড-গেজ (1,676 মিমি) লাইনের জন্য তৈরি করা হয়েছে।
GT42ACL লোকোমোটিভের কিছু গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য নিচে উল্লেখ করা হলো:
সাধারণ তথ্য:
নির্মাতা: প্রগ্রেস রেল (Progress Rail), যুক্তরাষ্ট্র।
মডেল: GT42ACL
রেলওয়ে গেজ: ব্রড-গেজ (1,676 মিমি)
প্রথম প্রবর্তন: ২০২০/২০২১ সালে বাংলাদেশে।
মোট উৎপাদন: বাংলাদেশ রেলওয়ের জন্য ৪০টি লোকোমোটিভের চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।
কারিগরি বৈশিষ্ট্য:
ধরণের নাম: ডিজেল ইলেকট্রিক
ইঞ্জিন মডেল: ইএমডি (Electro-Motive Diesel) 12N-710G3B-EES
প্রাইম মুভার: ১২ সিলিন্ডারের ৭১০ সিরিজের ইঞ্জিন
সর্বোচ্চ গতি: ১৩০ কিমি প্রতি ঘণ্টা (কিছু ক্ষেত্রে ১০০ কিমি প্রতি ঘণ্টা উল্লেখ আছে)
ক্ষমতা আউটপুট: ৩,২৫০ হর্সপাওয়ার (Braking Horsepower)
ট্যাঙ্ক ধারণক্ষমতা: ৫,০০০ লিটার (কিছু ক্ষেত্রে ৪,০০০ লিটার উল্লেখ আছে)
চাকার বিন্যাস: Co-Co (প্রতিটি বগিতে তিনটি করে মোট ছয়টি চাকা যা আলাদাভাবে চালিত হয়)
নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা: EM2000 মাইক্রোপ্রসেসর কন্ট্রোল সিস্টেম, যা এক্সাইটেশন ও লোড কন্ট্রোল, অ্যাডhesion কন্ট্রোল, ইঞ্জিন কন্ট্রোল এবং ডায়াগনস্টিক সিস্টেম পরিচালনা করে।
ট্রাকশন: এসি (AC) ট্রাকশন মোটর, যা উন্নত দক্ষতা এবং কর্মক্ষমতা প্রদান করে।
গুরুত্বপূর্ণ দিক:
এটি বাংলাদেশ রেলওয়ের ইতিহাসে প্রথম ইএমডি (EMD) ভিত্তিক ব্রড-গেজ ডিজেল-ইলেকট্রিক লোকোমোটিভ।
এগুলো বাংলাদেশ রেলওয়ের সবচেয়ে আধুনিক লোকোমোটিভ হিসেবে বিবেচিত হয়।
এই লোকোমোটিভগুলো যাত্রীবাহী এবং মালবাহী উভয় ট্রেনেই ব্যবহারের জন্য তৈরি করা হয়েছে।
এগুলোতে উন্নত নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য, কম নির্গমন এবং উল্লেখযোগ্য হারে বেশি भार বহন করার ক্ষমতা রয়েছে।
ফুল এয়ার কন্ডিশন্ড (AC) ক্যাব রয়েছে যা চালকদের জন্য আরামদায়ক কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করে।
GT42ACL লোকোমোটিভগুলো বাংলাদেশ রেলওয়ের পরিবহন ব্যবস্থায় একটি গুরুত্বপূর্ণ সংযোজন এবং এটি রেলওয়ের দক্ষতা ও আধুনিকীকরণে সহায়ক ভূমিকা পালন করছে।

ভিডিও - 14th May 2025 around 11:00 a.m to 2:00 p.m