Скачать или смотреть গবাদি পশুর রোগ নিয়ন্ত্রণ | gobadi pranir rog niyontron | Livestock disease control

গবাদি পশুর রোগ নিয়ন্ত্রণ | gobadi pranir rog niyontron | Livestock disease control
www.desihaatfpo.com
  / desihaatfpo  

Join Whatsapp Group : https://chat.whatsapp.com/JDIP2JzhNRY...
Join Facebook Group : https://www.facebook.com/share/g/7mWi...
#fpc #farming #agriculture #fpo #training #technology #farming #farmingvideos #farminglife #new #technolagyfarming #education #viralvideo #viralshorts #cow #milk #cowmilk
আরও জানতে আমাদের অফিস এ কল করুন : tel:8001007864

Farmers Produce Company (কৃষক উৎপাদক সংস্থা )
গঠন করলে কি কি সুবিধা পাওয়া যায় ?
১. ন্যায্য় মূল্যে সরকারী ধান ক্রয় কেন্দ্র ।
২. অনলাইন এর মাধ্যমে কৃষি জাত পণ্য ক্রয় বিক্রয়
৩. চুক্তি চাষ
৪. বীজ বিক্রয় কেন্দ্র
৫. সার বিক্রয় কেন্দ্র
৬. chc কেন্দ্র
৭. csc কেন্দ্র
৮. Export Import
৯. কীটনাশক বিক্রয় কেন্দ্র
১০. মাটি পরীক্ষা কেন্দ্র
১১. গবেষণা কেন্দ্র
১২. কৃষি শিক্ষা কেন্দ্র
১৩. Agri-Infra Fund থেকে দু কোটি টাকা পর্যন্ত লোন পেতে পারেন
১৪. মাছ ও পশু পালন এর কাজের জন্য লোন
১৫. Agri মার্কেট linkage

আরও জানতে আমাদের অফিস এ কল করুন : tel:8001007864

এই ইউটিউব চ্যানেলটি Subscribe করুন এখানে ক্লিক করে :
   / @desihaatfpo2020  .

এফপিও গঠনের জন্য নিম্নলিখিত ....
1. ন্যূনতম 10 জন ব্যক্তি প্রয়োজন
২. প্যান কার্ড, আধার কার্ড, ভোটার আইডি এবং ব্যাংক পাসবুক
৩. পাসপোর্ট সাইজের ছবিটির তিন কপি প্রয়োজন

অফিস প্রুফের জন্য
1. বৈদ্যুতিক বিল প্রমাণ
২. মালিকের এনওসি
৩. ল্যান্ড ক্রয় দলিল

এফপিওর নাম: "সংস্থার পক্ষে আপনার পছন্দের কোনও নাম" দিতে হবে।
একটি এফ পি ও যাতে লোন পায় তার জন্য আমরা প্রজেক্ট রিপোর্ট বানিয়ে দিয়ে থাকি |

গবাদি পশুর রোগ নিয়ন্ত্রণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ রোগজনিত সমস্যার কারণে গবাদি পশুর উৎপাদনশীলতা কমে যায় এবং অর্থনৈতিক ক্ষতি হয়। রোগ নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে পশুর সুস্থতা বজায় রাখা, দুধ ও মাংসের উৎপাদন বাড়ানো, এবং গ্রামীণ অর্থনীতিকে আরও শক্তিশালী করা যায়। গবাদি পশুর রোগ নির্ণয় ও নিয়মিত চিকিৎসার মাধ্যমে এই সমস্যা থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব।

গবাদি পশুর সাধারণ রোগ:
গবাদি পশুর বেশ কিছু সাধারণ রোগ রয়েছে, যেগুলো সময়মতো শনাক্ত করে সঠিক চিকিৎসা না করলে উৎপাদনশীলতা এবং মৃত্যুর হার উভয়ই বাড়তে পারে। এই রোগগুলো নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা, সঠিক পুষ্টি এবং পরিচর্যার মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করা যায়।

১. পা ও মুখের রোগ (Foot and Mouth Disease - FMD)
লক্ষণ: পশুর পা ও মুখে ক্ষত সৃষ্টি হয়, লালা ঝরে, গরু হাঁটতে কষ্ট পায়, এবং খাওয়া বন্ধ করে দেয়।
প্রতিরোধ: নিয়মিত ভ্যাকসিন প্রদান করা উচিত। এই রোগ অত্যন্ত সংক্রামক, তাই সংক্রমিত পশুকে অন্যদের থেকে আলাদা রাখা উচিত।
২. ক্ষুরা রোগ (Hoof Disease)
লক্ষণ: পশুর ক্ষুরে পুঁজ জমা হয় এবং পশু খুঁড়িয়ে হাঁটে। ক্ষুরে প্রদাহ হয়।
প্রতিরোধ: পশুর ক্ষুর পরিষ্কার রাখা এবং মাটিতে জীবাণুনাশক ছিটিয়ে রাখা উচিত।
৩. গলাফুলা (Anthrax)
লক্ষণ: পশুর গলা ফুলে যায়, জ্বর হয়, এবং তীব্র শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়। দ্রুত চিকিৎসা না করলে পশুর মৃত্যু হতে পারে।
প্রতিরোধ: গলাফুলা ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা। পশুর খাওয়ার জল ও খাদ্য বিশুদ্ধ রাখা।
৪. ব্রুসেলোসিস (Brucellosis)
লক্ষণ: গর্ভপাত, বন্ধ্যাত্ব, এবং গরুর দুধের উৎপাদন হ্রাস।
প্রতিরোধ: নিয়মিত পরীক্ষা এবং গর্ভধারণের আগে ভ্যাকসিন প্রদান করা উচিত।
৫. জ্বর ও পেটের সমস্যা (Bloat)
লক্ষণ: গরুর পেট ফুলে যায়, শ্বাসকষ্ট হয়, এবং অনেক সময় গরুর মৃত্যু হতে পারে।
প্রতিরোধ: সঠিক খাদ্য নিয়ন্ত্রণ এবং গো খাদ্যে ফাইবারের পরিমাণ বাড়ানো। খাদ্যের পরিবর্তন ধীরে ধীরে করা উচিত।
গবাদি পশুর রোগ নিয়ন্ত্রণের উপায়:
গবাদি পশুর রোগ নিয়ন্ত্রণের জন্য কিছু কার্যকর পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়, যা গবাদি পশুর সুস্থতা ও উৎপাদনশীলতা নিশ্চিত করতে সহায়ক।

১. নিয়মিত ভ্যাকসিন প্রদান:
গবাদি পশুর রোগ নিয়ন্ত্রণের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপায় হলো নিয়মিত ভ্যাকসিন প্রদান। বিশেষত পা ও মুখের রোগ, ক্ষুরা রোগ, এবং গলাফুলার মতো রোগের ক্ষেত্রে ভ্যাকসিনের গুরুত্ব অপরিসীম। ভ্যাকসিনের মাধ্যমে পশুর শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে এবং সংক্রমণের হার কমে।

২. পরিচ্ছন্নতা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা:
গবাদি পশুর আশ্রয়স্থল সব সময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা উচিত। পানি ও খাবারের পাত্র নিয়মিত পরিষ্কার করা উচিত। পশুর সঠিক পরিচর্যা এবং পরিচ্ছন্নতা রোগের সংক্রমণ রোধ করতে সাহায্য করে।

৩. জীবাণুনাশক ব্যবহার:
গবাদি পশুর বসতিস্থানে নিয়মিত জীবাণুনাশক ব্যবহার করা উচিত। বিশেষত ক্ষুরা রোগ ও অন্যান্য সংক্রমণ প্রতিরোধে মাটিতে জীবাণুনাশক ছিটানো কার্যকরী।

৪. পুষ্টিকর খাদ্য সরবরাহ:
সুস্থ গবাদি পশু পেতে হলে তাদের জন্য সুষম ও পুষ্টিকর খাদ্যের ব্যবস্থা করা জরুরি। পশুকে পর্যাপ্ত পরিমাণ প্রোটিন, ভিটামিন এবং খনিজযুক্ত খাদ্য দিতে হবে। পুষ্টির ঘাটতির কারণে গবাদি পশুর রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়।

৫. নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা:
গবাদি পশুর নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা উচিত। পশুদের কোনো অস্বাভাবিক লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত পশু চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে। সময়মতো রোগ নির্ণয় এবং সঠিক চিকিৎসা রোগ নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

৬. রোগাক্রান্ত পশু পৃথক রাখা:
যেকোনো সংক্রামক রোগের ক্ষেত্রে, আক্রান্ত পশুকে অন্যদের থেকে আলাদা রাখা উচিত। এতে রোগের বিস্তার রোধ করা সম্ভব হয়। পৃথক স্থানে রোগাক্রান্ত পশুর সঠিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করা উচিত।

৭. প্রাকৃতিক প্রতিরোধ ব্যবস্থা:
প্রাকৃতিক উপায়ে রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব। উদাহরণস্বরূপ, গবাদি পশুর খাদ্যে ঔষধি গাছপালা যোগ করা যেতে পারে, যা তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়ক। এছাড়াও প্রাকৃতিক জীবাণুনাশক যেমন নিমপাতা, তুলসী ইত্যাদি ব্যবহার করা যেতে পারে।