শিল্পীবৃন্দঃ
প্রথম সারি (সামনে, বসে, বাঁদিক থেকে) - তাপসী দাশগুপ্ত, অপর্ণা কর্মকার, মল্লিকা মুখোপাধ্যায়, তৃপ্তি পাত্র, সুতপা চক্রবর্তী, সুস্মিতা রায় গঙ্গোপাধ্যায়, সীমা সরকার
দ্বিতীয় সারি (চেয়ারে, বাঁদিক থেকে) - অপর্ণা ভট্টাচার্য, প্রীতিপ্রভা বিশ্বাস, মুনমুন দেব, রুনা মজুমদার, সাগরিকা হালদার, সীমাশ্রী অধিকারী, তপতী চক্রবর্তী
তৃতীয় সারি (দাঁড়িয়ে) – সঙ্গীতা চট্টোপাধ্যায়, চম্পা বিশ্বাস, সুদীপ্তা সেন, সুস্মিতা রায়, কাকলী সরকার, তিস্তা ভট্টাচার্য, অসীমা দে দত্ত
চতুর্থ সারি (দাঁড়িয়ে) – সোমা মুখোপাধ্যায়, মাম্পি মোদক, গার্গী রায় ঘোষ, অমিত নিয়োগী, বিদ্যাব্রত মজুমদার, নবেন্দুনারায়ণ চৌধুরী, রৌণক চট্টোপাধ্যায়, তনুশ্রী দত্ত, অনিতা ভূষণ
পরিচালনা : রুনা মজুমদার
বত্রিশ বছর বয়সে ১২৯৯ বঙ্গাব্দে তেষট্টিতম মাঘোৎসবে (২৩/০১/১৮৯৩) উপলক্ষ্যে কবি যে ছটি গান লেখেন, আলোচ্য গানটি তার অন্যতম। এর মধ্যে চারটি গানের সুর মহীশূর থেকে সংগ্রহ করেন সরলা দেবী চৌধুরানী। তিনি রবীন্দ্রনাথের নদিদি স্বর্ণকুমারী দেবীর ছোট কন্যা।
‘জীবনের ঝরাপাতা’ গ্রন্থে তাঁর উক্তি গুরুত্বপূর্ণ – “মহীশূরে যখন গেলুম, সেখান থেকে এক অভিনব ফুলের সাজি ভরে আনলুম। রবিমামার পায়ের তলায় সে গানের সাজিখানি খালি না করা পর্যন্ত মনে বিরাম নেই। সাজি থেকে একএকখানি সুর তুলে নিলেন তিনি, সেগুলিকে মুগ্ধচিত্তে নিজের কথা দিয়ে নিজের করে নিলেন – তবে আমার পূর্ণ চরিতার্থতা হল। আনন্দলোকে মঙ্গলালোকে, এস হে গৃহদেবতা, এ কী লাবণ্যে পূর্ণ প্রাণ, চিরবন্ধু চিরনির্ভর – প্রভৃতি আমার আনা সুরে বসানো গান।“ (পৃঃ ৪০)।
গানটি যে মূল গান অনুসারে রচিত, তাও সরলা দেবীর কাছ থেকে প্রাপ্ত – ‘কায়ৌ শ্রী গৌরী করুণা লহরী’ (‘রবীন্দ্রসঙ্গীত গবেষণা গ্রন্থমালা’, প্রফুল্লকুমার দাস, খণ্ড ৩)।
আলোচ্য গানটি তত্ত্ববোধিনী পত্রিকার ফাল্গুন সংখ্যায় প্রথম প্রকাশিত হয়। কোনো তাৎক্ষণিক স্বরলিপি প্রণীত হয়েছিল কিনা, অথবা কে গেয়েছিলেন, সে তথ্য দেখিনি।
প্রথম স্বরলিপি করে প্রকাশ করেন কাঙ্গালীচরণ সেন তাঁর ব্রহ্মসঙ্গীত স্বরলিপির (১-৬ খণ্ড, ১৩১১-১৩১৮) প্রথম খণ্ডে।
কবির প্রয়াণের দু’বছর পূর্বে (১৩৪৬) স্বরবিতানের চতুর্থ খণ্ডে গানটি প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা হয়েছে মহিশূরী ভজন ও একতাল এবং স্বরলিপিকার কাঙ্গালীচরণ সেন। প্রথম সংস্করণের সম্পাদনা করেন শৈলজারঞ্জন মজুমদার এবং দ্বিতীয় সংস্করণের সম্পাদনা করেন ইন্দিরা দেবী চৌধুরানী।
আশ্চর্যের বিষয়, স্বরবিতানটির সুরভেদ/ছন্দোভেদ অংশে কাঙ্গালীচরণের মূল স্বরলিপিটি দেওয়া হয়েছে। এর অর্থ প্রথমে যে স্বরলিপিটি আছে, তা কাঙ্গালীচরণের স্বরলিপির সম্পাদিত রূপ। দুজন সম্পাদকের মধ্যে কে এটি সম্পাদনা করেন, তা আমাদের জানা নেই। সম্পাদিত এই পার্থক্যের উৎস ও যুক্তি কী, তার ব্যাখ্যা দেওয়া হয়নি।
মূল স্বরলিপি ও সম্পাদিত রূপটির মধ্যে পার্থক্যের কয়েকটি উদাহরণ এই লিঙ্কটিতে পাওয়া যাবে: https://drive.google.com/file/d/1fdoe...
দর্শনঃ
ব্রহ্মসঙ্গীতটির সুদীর্ঘ অবয়ব তিনটি শব্দের পদ্মপত্রের উপর স্থিতিলাভ করেছে –মঙ্গলালোক, সত্য এবং সুন্দর। বাকি গানটি উক্তি তিনটি স্থিতপ্রজ্ঞ শব্দত্রয়ের চতুর্দিকের জ্যোতিচ্ছটা। তাঁর ব্রহ্মসঙ্গীতে ধ্রুপদের ব্যাপক ব্যবহারের ঐতিহ্য এখানে অনুসৃত হয়নি বলে উক্ত জ্যোতিচ্ছটা আরো আলোকোজ্জ্বল হয়ে আমাদের বৌদ্ধিক অনুভবকে আরাম দেয়।
উক্ত শব্দত্রয়ের দ্যোতনা কবির জীবনে বারবার পরিবর্তিত হয়েছে। কারণ সত্যের নিরালম্ব চিরন্তনতায় তাঁর আস্থা নেই। ফলতঃ মঙ্গল ও সুন্দরের ধারণাও পরিবর্তিত হয়। তাঁর সৌন্দর্যদর্শনের এটি অন্যতম স্বাধীন দিক।
এই স্বাধীনতা মঙ্গলময় আনন্দকে বস্তুতঃ কর্মক্ষেত্রেও খুঁজে ফেরে।
ক। বৈশাখ মাসে (১২৯৯) জার্মান কবি হাইনের (Heinrich Heine, ১৭৯৭-১৮৫৬) নটি কবিতা মূল জার্মান থেকে অনুবাদ করে ‘সাধনা’য় প্রকাশ করেন।
খ। কার্তিক মাসে লেখেন বিখ্যাত কবিতা ‘যেতে নাহি দিব’। সুকুমার সেন একে ভারতীয় সাহিত্যের ক্ষুদ্রতম মহাকাব্য বলেছেন। মঙ্গলের স্নেহার্দ্র বাস্তব সাংসারিক দাবি এখানে প্রস্ফুটিত, যা পরব্রহ্ম সাধনার ঊর্ধ্বে এক সেক্যুলার আবেদন।
“…শুধু নিজ হৃদয়ের স্নেহ-অধিকার প্রচারিল -
যেতে আমি দিব না তোমায়।“
গ। ইতিপূর্বে উক্ত মঙ্গলের একটি বাস্তব স্থাপত্যগত শৈলীর প্রতিষ্ঠা ঘটেছে। পূর্ব বছরে ৭ই পৌষ ১২৯৮ (ডিসেম্বর ১৮৯১) শান্তিনিকেতনে মন্দিরের উদ্বোধন হয়। বিভিন্নভাবে এর অনপনেয় প্রভাব বাঙালি জীবনে পরবর্তী নগর সংস্কৃতির অন্যতম নোঙর হিসাবে কাজ করেছে।
সরোদ : কৌশিক মুখোপাধ্যায়
এস্রাজ : দেবাশিস হালদার
তবলা : দেবাশিস সিংহরায়
অর্গ্যান : উত্তম সরকার
হারমোনিয়াম : রুনা মজুমদার
ভিডিও : রূপম সরকার
এডিটিং, মিক্সিং, মাস্টারিং : উত্তম সরকার
গবেষণামূলক টীকা : নির্মাল্য মজুমদার
অক্ষরবিন্যাস : বিদ্যাব্রত মজুমদার
সাউন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং : তরুণ দাস
সফটওয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং : অরূপকুমার নাগ
কল্যাণী রবীন্দ্রসঙ্গীত চর্চাকেন্দ্রের উদ্যোগ
No infringement of copyrights is intended.
Информация по комментариям в разработке