Скачать или смотреть মিয়া বাড়ী ঝিনাইদাহ, Mia R Dalan, ঝিনাইদাহের বিখ্যাত জমিদার বাড়ী।

মিয়ার দালান বাংলাদেশের ঝিনাইদাহ জেলার সদর থানার মুরারিদাহ নামে একটি প্রাচীন গ্রামে অবস্থিত।
এটি একটি প্রাচীন জমিদার বাড়ী।এই বাড়ী টি এলাকার মানুষের কাছে বিভিন্ন নামে পরিচিত যেমনঃ মিয়ার দালান, মিয়া বাড়ী, চৌধুরী বাড়ী, সেলিম চৌধুরীর বাড়ী ও আস্ফরন্নেসা ভবন। নব গঙ্গা নদির উত্তর পাশে ভবনটি নির্মিত হয়েছে।ভবনের গায়ে লেখা আছে ১২২৯ সালে ভবনটির কাজ শুরু আর শেষ ১২৩৬ অর্থাৎ বাড়িটি নির্মিত হতে ৭ বছর সময় লেগেছে। বাংলা ১২৩৬ মানে ইংরেজি ১৮৩০ সালে ভবনটি নির্মিত হয়েছে অর্থাৎ ২০২০ সালে বাড়িটির বয়স ১৯০ বছর। বাড়িটির ভীত খুবি শক্ত যে কারনে নদীর স্রোত এখনো বাড়িটিকে গ্রাস করতে পারে নাই। বাড়িটি নির্মাণে সে সময় ৭৫,০০০ টাকা খরচ হয় । বাড়িটির নির্মাণ কৌশল কতটা নিখুঁত ছিল সেটি ভবনটি দেখলেই বুঝা যায়। কথিত আছে ভবনটি মিয়া সাহেবের স্ত্রির জন্নে নির্মিত তাহলে আমরা ধরে নিতে পারি জমিদারের স্ত্রীর নাম আস্ফরন্নেসা। কারন ভবন টি আস্ফরন্নেসা ভবন বলেও জানে। যাই হোক বিষয়টস্যত ইতিহাস বিদ গবেষক গনের কাজ তাদের উপরেই ছেড়ে দিই।বাড়িটির গায়ে আমারা শত বছর পুরাতন বাংলা লেখা পেয়েছি যেমনঃ
(শ্রী শ্রী রাম, মুরারিদহ গ্রাম ধাম, বিবি আস্ফরন্নেসা নাম, কি কহিব পুরিরি বাখান, ইন্দ্রের আম্রাপুরি,
নব গঙ্গা উত্তরধারি, ৭৫০০ টাকায় করিল নিরমান,এদেশে কাহার সাধ্য , নদীর বাঁধিয়া আদ্ধ,জল মধ্যে কমল সমান।কলিকাতার রাজচন্দ্র রাজ, ১২২৯ শুরু করি কাজ,১২৩৬ সালে সমাপ্ত দালান।)
এ লেখা থেকে বুঝা যায় কলিকাতার রাজচন্দ্র রাজ বাড়িটি নির্মাণের সাথে জড়িত এবং গর্ব করে বলে নদীর পাশে বাড়ী নিরাম্নের কৌশল তার জানা আছে। যে কারনে বাড়িটি এত্ত অবহেলার মদ্ধেও মাথা উঁচু করে নদীর পাশে দাঁড়িয়ে আছে।

এখানে ২ বছর আগেও ১১ মাথা বিশিষ্ট বিরল প্রজাতির খেজুর গাছ ছিল যেটি জমিদার সাহেব হয়ত লাগিয়েছিল
কিন্তু অবহেলার কারনে গাছটি মৃত বরন করেছে। এলাকার লোক এখন তার সাক্ষি।
সর্বশেষে বলতে চাই চুয়াডাঙ্গা জেলায় অবহেলিত কালুরপুল গন্ধক রাজার বাড়ী যেমন পর্তুগীজ দপ্তরের অধীনে একটি জাদুঘর স্থাপন হচ্ছে, তেমনি টাঙ্গাইলে ঘাটাইলে মাটির নিচে শ্রীকৃষ্ণের মন্দির, মিয়া বাড়ী করতিপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণের অপেক্ষায় আছে। হয়ত অপেক্ষা করতে করতে একদিন সব চুরি হয়ে যাবে, যাই হোক ডাক্তার আসার আগে রোগী মারা যেন না যায় সেজন্নেই আমরা সহযাত্রী দল কাজ করবে, আপনারা সুধু শেয়ার করে আমাদের এগিয়ে নিয়া যাবেন এই অপেক্ষাই রইলাম।
বিঃদ্রঃ আমি অভ্র তে লিখি বাংলা ফ্রন্ট অনেক সময় খুঁজে পায় না তাই বানান ভুলটি মার্জনা করিবেন আশা করি।