Скачать или смотреть পশ্চিমবঙ্গের সবচেয়ে বড় ব্রহ্মা মন্দির | Largest Brahma Temple in West Bengal

আমাদের রাজ্যে সবচেয়ে বড় মন্দিরের কথা উঠলেই আমাদের মাথায় আসে মায়াপুর ইসকনের চন্দ্রোদয় মন্দিরের কথা । কিন্তু আমরা সকলেই জানি যে মন্দিরটি এখনো উদ্বোধন হয়নি । হুগলি জেলার বনমালী পুরে এমনই এক বিশাল মন্দির আছে, যে মন্দির সত্যি কথাই আকারে বা আয়তনে কোন অংশেই চন্দ্রোদয় মন্দির থেকে কম নয় । আর আপনি চাইলে খুব সহজে এই মন্দির থেকে ঘুরে আসতে পারেন ।
হাওড়া বর্ধমান কর্ড লাইনে ট্রেনে চেপে আপনাকে নামতে হবে বারুইপাড়া স্টেশনে এবং সেখান থেকে আপনি অটো ধরে চলে আসতে পারবেন এই বনমালীপুরে । হাওড়া বারুইপাড়া ট্রেনের ভাড়া মাত্র ১০ টাকা এবং বারুইপাড়া থেকে বনমালীপুরের অটো ভাড়া ১৫ টাকা । স্টেশনের পাশেই অটোস্ট্যান্ড থেকে প্রচুর অটো ছাড়ছে । এই অটোতে উঠে আপনি বনমালী পুরের ব্রহ্মদত্ত ধাম যাচ্ছেন এই কথাটা বললে সঠিক জায়গায় নামিয়ে দেবে।
এই বিশাল মন্দিরে প্রবেশ প্রবেশের সময় সকাল ৮ টা। বলতে গেলে তারপর থেকে সন্ধ্যে ৮টা পর্যন্ত প্রায় সারাদিনই মন্দির খোলা থাকে । তবে আটটার সময় এই মন্দিরে সকালের আরতি হয়। সে আরতিতে কিন্তু খুবই সুন্দর।

এই বার আসা যাক মন্দিরের প্রসঙ্গে । এই মন্দিরটি উৎসর্গ করা হয়েছে ভগবান দত্তাত্রেয় উদ্দেশ্যে। হলেন অত্রিমুণী ও অনসূয়ার সন্তান । বলা হয় ভগবান বিষ্ণুর অংশজাত এই ভগবান দত্তেও ছিলেন তিন মাথা বিশিষ্ট এবং তার শরীরে একত্রে ব্রহ্মা-বিষ্ণু মহেশ্বর এর বাস। এবং এই মন্দিরটিতে আছে এই তিন দেবতার একত্র অবস্থান।

মন্দিরের একদম উপরে আছে ব্রহ্মার মন্দির। তার ঠিক নিচে অর্থাৎ প্রধান কক্ষে আছে ভগবান বিষ্ণু অবতার ভগবান দত্তাত্রেয় র মূর্তি এবং তার নিচে আছে একটি শিবলিঙ্গ ।
যদিও মন্দিরটি এখনো সম্পূর্ণ তৈরি হয়নি তবে এর বেশির অংশটাই বেশিরভাগ অংশই দর্শকদের জন্য খুলে দেয়া হয়েছে। তাই আপনারা চাইলে অবশ্যই এই মন্দিরটি তে একবার হলেও আসতে পারেন।
তবে মন্দিরের উপরে যে ব্রহ্মার মন্দির আছে সেই মন্দিরটিতে কিন্তু এমনি সময় সাধারণ দর্শনার্থীদের জন্য খোলা হয় না ।তবে আমার মতন আপনি যদি তাদের বিশেষ অনুরোধ করেন তাহলে অবশ্যই তারা আপনাকে এই মন্দিরটি খুলে ঘুরিয়ে দেখাবে। আরেকটা কথা এখানে বলে রাখি এই মন্দিরে ভোগ প্রসাদ গ্রহণের সুব্যবস্থা আছে , তবে তা প্রতিদিন নয় ।কেবলমাত্র বৃহস্পতিবার দিন দুপুর বেলা এই প্রসাদ বিতরণ করা হয় । এবং এই প্রসাদের জন্য কিন্তু কোন মূল্য দিতে হয় না।
তবে আপনাদের কে বলবো এই বসন্তে হাতে মাত্র কয়েকটা ঘন্টা সময় নিয়ে একদিন বেরিয়ে পড়ুন এবং এই সুন্দর মন্দিরটি থেকে ঘুরে আসুন আপনাদের এই ব্লক সংক্রান্ত আরো কিছু জানার থাকলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন ধন্যবাদ।