i am went to go makkah & Madina 14th February.
now 24th February 2023 we go to Wadi-e Jinn.
this is very beautiful area in madina.
we went to markka in 14th February 2023. we stayed 14 days . Makkah & medina . now we go to jabal alnour. hira cave is the very important for islami history.
ওয়াদি জ্বীন বা জ্বীনের উপত্যকা নামটি হয়তো অনেকেই শুনেছেন। সৌদি আরবের পবিত্র মদিনা শরিফ থেকে 50 কিলোমিটার দূরে অবস্থিত একটি পাহাড়ি উপত্যকা এটি। জায়গাটি পর্যটকদের কাছে বেশ আকর্ষণীয়। কারণ জনশ্রুতি অনুযায়ী, এখানে মাধ্যাকর্ষণ শক্তি কাজ করে না। ইঞ্জিন বন্ধ করে রাখলেও এখানে গাড়ি পাহাড়ি ঢালু রাস্তা বেয়ে উপরের দিকে উঠে যায়, পানি ঢেলে দিলে গড়িয়ে গড়িয়ে সেই পানি উপরের দিকে চলে যায়। অনেকের দাবি, জ্বীনের কারসাজিতেই এরকম অদ্ভূতূড়ে ঘটনা ঘটে। আর সে কারণেই এমনিতে ওয়াদি আল-বেইদা নামের এই উপত্যকাটির পরিচয় ওয়াদি জ্বীন হিসেবে।
কিন্তু আসলেই কি ওয়াদি জ্বীনে অলৌকিক কোনো ঘটনা ঘটে? আসলেই কি সেখানে গাড়ি মাধ্যাকর্ষণ শক্তির বিপরীতে চলে? নাকি পুরো ব্যাপারটাই মানুষের দৃষ্টিভ্রম? এমন কি হতে পারে যে, বাস্তবে সেখানে অলৌকিক কিছুই ঘটছে না? মানুষের চোখে যে রাস্তাকে উপরের দিকে ঢালু বলে মনে হচ্ছে, সেটা আসলে নিচের দিকেই ঢালু? গাড়ি স্বাভাবিকভাবেই সেই ঢালু পথ ধরেই নেমে যাচ্ছে, কিন্তু আশেপাশের প্রকৃতির কারণে খালিচোখে মানুষের কাছে সেটাকেই উপরের দিকে উঠে যাওয়া মনে হচ্ছে? কিন্তু কীভাবে সে ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া যাবে?
সবচেয়ে সহজ হতো যদি ওয়াদি জ্বীনে যাওয়ার সময় কেউ সাথে করে ওয়াটার লেভেল নিয়ে যেত। তাহলে হাতেনাতেই প্রমাণ পাওয়া যেত রাস্তা আসলে কোনদিকে ঢালু। কিন্তু ইউটিউবে এবং সোশ্যাল মিডিয়াতে ওয়াদি জ্বীনের উপর শতশত ভিডিও থাকলেও সেগুলোর অধিকাংশই মানুষের বিস্মিত হওয়ার অনুভূতি এবং অলৌকিকতার প্রতি অন্ধ বিশ্বাসকেই প্রতিফলন করে। গবেষণামূলক কোনো ভিডিও যদি থাকেও, এইসব ভিডিওর ভীড়ে সেগুলোকে খুঁজে পাওয়া কঠিন।
এখানে জানিয়ে রাখা ভালো, ওয়াদি জ্বীনের রহস্য কিন্তু অনেক আগেই সমাধান হয়ে গেছে। ওয়াদি জ্বীন যে আসলে একধরনের ‘গ্র্যাভিটি হিল’, এবং এ ধরনের মাধ্যাকর্ষণ শক্তিকে ‘অগ্রাহ্য করা’ গ্র্যাভিটি হিল যে সারা পৃথিবীতে আরো অনেক আছে, সেটাও নতুন কোনো তথ্য না। কিন্তু ধরে নিন আপনি সেগুলো জানেন না, বা তত্ত্বীয়ভাবে জানলেও প্রমাণ না পাওয়া পর্যন্ত বিশ্বাস করতে চান না। আবার আপনার পক্ষে এই মুহূর্তে সৌদি আরবে গিয়ে স্বচক্ষে প্রমাণ খোঁজাও সম্ভব না। তাহলে উপায়? আপনি যে পদ্ধতিটি কাজে লাগে লাগাতে পারেন, তার নাম ওপেন সোর্স ইনভেস্টিগেশন।
ওপেন সোর্স ইনভেস্টিগেশন হচ্ছে কোনো ঘটনা তদন্তের সেই পদ্ধতি, যেখানে অনলাইনে সকলের জন্য উন্মুক্ত তথ্য ভাণ্ডারের সাহায্য নিয়ে তদন্ত কাজ সম্পন্ন করা হয়। বর্তমানে ইন্টারনেটে যেকোনো বিষয়ে এতো বেশি তথ্য, ছবি এবং ভিডিও আছে, এবং সেই সাথে সেগুলোকে ঠিকভাবে কাজে লাগানোর জন্য এতো বেশি কার্যকরী টুলস আছে যে, একটু চেষ্টা করলে ঘরে বসেই অনেক রহস্যের সমাধান খুঁজে বের করা যায়। আজকের এই প্রবন্ধে আমরা ঠিক সেই কাজটাই করব। ওপেন সোর্স ইন্টালিজেন্স ব্যবহার করে বের করার চেষ্টা করব, আসলেই ওয়াদি জ্বীনে অলৌকিক কোনো ঘটনা ঘটে কিনা।
প্রথম ধাপ: ভিডিও বিশ্লেষণ
প্রথমেই আমাদের যে কাজটা করতে হবে, ওয়াদি জ্বীনের অলৌকিকত্বের দাবি করা কিছু ভিডিও খুঁজে বের করতে হবে। এর জন্য চলুন ইউটিউবে গিয়ে Wadi Jinn লিখে সার্চ দিয়ে প্রথম ভিডিওটা (চিত্র ১) চালু করি। ৬ মিনিট ৪৮ সেকেন্ডের এই ভিডিওটাতে পরিষ্কারভাবেই দেখা যাচ্ছে, এখানে পানি এবং গাড়ি ঢাল বেয়ে উপরের দিকে উঠে যাচ্ছে। কিন্তু এখন আমাদেরকে যেটা প্রমাণ করতে হবে, সেটা হচ্ছে প্রথমত, ভিডিওটা ঠিক কোন জায়গার? এটা আসলেই ওয়াদি জ্বীনের ভিডিও কিনা? আর দ্বিতীয়ত, এখানে যেরকম দাবি করা হচ্ছে, অর্থাৎ ঢাল বেয়ে উপরের দিকে উঠার দাবিটা আসলে সত্য কিনা?
চিত্র ১: ইউটিউবে ওয়াদি জ্বীনের ভিডিও
ভিডিওটা আসলেই ওয়াদি জ্বীনের কিনা, এবং হলে একেবারে ঠিক কোন জায়গার, সেটা নিশ্চিত করার জন্য আমাদেরকে ভিডিওর মধ্যে বিশেষ লক্ষ্যনীয় কিছু চিহ্ন খুঁজে বের করতে হবে, যেটা হয়তো পরে অন্য কোনো ছবি, ভিডিও বা স্যাটেলাইট ইমেজের সাথে মেলানো সহজ হবে। ভিডিওর স্থান নির্ধারণ করার এই প্রক্রিয়াকে বলা হয় জিওলোকেশন। আমাদের ভিডিওটার ৫ মিনিট ৪ সেকেন্ডের দৃশ্যটা (চিত্র ২) এক্ষেত্রে কাজে লাগতে পারে। এখানে রাস্তার সামনে হাতের বামে পাশাপাশি তিনটা পাহাড়ের চূড়া দেখা যাচ্ছে। পরে অন্য ছবির সাথে মেলানোর জন্য আমরা এই পাহাড়গুলোকে লাল, নীল এবং সবুজ আয়তাকার বাক্স দিয়ে চিহ্নিত করে রাখতে পারি।
ভিডিওটা ভালোভাবে লক্ষ্য করলে আমরা এই স্থানটার আরও কিছু বৈশিষ্ট্য খুঁজে পাব। এর মধ্যে একটা হচ্ছে, এই স্থানটার একপাশে, নির্দিষ্ট করে বললে, অধিকাংশ সময় যেদিক ফিরে ভিডিও করা হয়েছে, সেদিকে তাকালে হাতের বাম পাশে রাস্তার ঠিক পাশেই একটা পাহাড় আছে, এর বিপরীতে হাতের ডান পাশে পাহাড়গুলোর অবস্থান অনেক দূরে। আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, এখানে ল্যাম্পপোস্টগুলো শুধুমাত্র রাস্তার ডানপাশেই অবস্থিত, বামপাশে কোনো ল্যাম্পপোস্ট নেই। এই বৈশিষ্ট্যগুলোও পরবর্তীতে জিওলোকেশনের সময় কাজে লাগতে পারে। আপাতত ল্যাম্পপোস্টগুলোকে আমরা কালো রংয়ের বৃত্ত দিয়ে চিহ্নিত করে রাখতে পারি।
Информация по комментариям в разработке