খাদ্য অধিদপ্তর ড্রাইভার নিয়োগ পরীক্ষার জন্য সাজেশন হিসেবে সাধারণ জ্ঞান, বাংলা, ইংরেজি, গণিত ও ড্রাইভার বিষয়ক প্রশ্ন ও উত্তর অনুশীলন করা প্রয়োজন।
ড্রাইভার নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন, সাজেশন, question pattern, বিগত সালের প্রশ্ন নিয়ে আলোচনা করা হলো|
খাদ্য অধিদপ্তর ড্রাইভার নিয়োগ চাকরির পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য একটি কার্যকর সাজেশন নিচে দেওয়া হলো:
বাংলা
ব্যাকরণ: বাংলা ব্যাকরণের মৌলিক বিষয়গুলো ভালোভাবে আয়ত্ত করতে হবে, যেমন - সন্ধি, সমাস, কারক ও বিভক্তি, প্রকৃতি ও প্রত্যয়, বাক্য রূপান্তর, শুদ্ধ বানান, এক কথায় প্রকাশ, বাগধারা। এই বিষয়গুলো থেকে প্রায় প্রতি বছরই প্রশ্ন আসে।
সাহিত্য: বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস, বিভিন্ন সাহিত্যিকের জীবনী ও তাদের সৃষ্টিকর্ম (যেমন - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজী নজরুল ইসলাম, মাইকেল মধুসূদন দত্ত) সম্পর্কে জানতে হবে। বিখ্যাত কবিতা, গল্প, উপন্যাস, নাটকের নাম এবং তাদের রচয়িতার নাম মনে রাখা জরুরি।
বিগত বছরের প্রশ্ন: বিভিন্ন সরকারি চাকরির বিগত বছরের বাংলা অংশের প্রশ্নগুলো সমাধান করলে প্রশ্নের ধরন সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যাবে।
ইংরেজি
Grammar: English grammar-এর কিছু গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো - Parts of Speech, Tense, Voice Change, Narration, Right form of verbs, Sentence Correction, Preposition, Synonym, Antonym, Idioms and Phrases. এই বিষয়গুলোতে ভালো দখল থাকা জরুরি।
Reading & Vocabulary: Vocabulary বাড়ানোর জন্য প্রতিদিন ইংরেজি সংবাদপত্র বা ম্যাগাজিন পড়ার অভ্যাস করা যেতে পারে। অপরিচিত শব্দের অর্থ জেনে নিতে হবে। এতে Reading Comprehension-এর জন্য ভালো প্রস্তুতি হবে।
Previous Year Questions: বিগত বছরের বিভিন্ন সরকারি চাকরির ইংরেজি অংশের প্রশ্নগুলো সমাধান করলে প্রশ্নের প্যাটার্ন বোঝা সহজ হবে।
গণিত
পাটিগণিত: লাভ-ক্ষতি, সুদকষা, ঐকিক নিয়ম, অনুপাত ও সমানুপাত, শতকরা, গড়, সময় ও কাজ, সংখ্যা সংক্রান্ত সমস্যা, পরিমাপ - এই অধ্যায়গুলো থেকে সাধারণত প্রশ্ন আসে।
বীজগণিত: উৎপাদক, বর্গ নির্ণয়, লসাগু ও গসাগু, সরলীকরণ, সূত্রাবলি থেকে প্রশ্ন আসতে পারে।
জ্যামিতি: ত্রিভুজ, বৃত্ত, চতুর্ভুজ, ক্ষেত্রফল, পরিধি, পরিসীমা সংক্রান্ত মৌলিক ধারণাগুলো স্পষ্ট রাখা দরকার।
অনুশীলন: প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময় ধরে গণিত অনুশীলন করলে পরীক্ষার হলে দ্রুত ও সঠিক উত্তর দেওয়া সম্ভব হবে।
সাধারণ জ্ঞান
বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি: বাংলাদেশের ইতিহাস, মুক্তিযুদ্ধ, সংবিধান, অর্থনীতি, ভৌগোলিক অবস্থান, বিভিন্ন স্থাপনা ও সাম্প্রতিক ঘটনাবলি সম্পর্কে জানতে হবে। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থা (যেমন - জাতিসংঘ, বিশ্বব্যাংক), চুক্তি, যুদ্ধ ও দেশ-বিদেশের সাম্প্রতিক ঘটনাবলি সম্পর্কে জ্ঞান রাখতে হবে।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি: পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন ও জীববিজ্ঞানের মৌলিক বিষয়াবলি এবং দৈনন্দিন জীবনে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ব্যবহার সম্পর্কে জানতে হবে।
সাম্প্রতিক ঘটনাবলি: পরীক্ষার আগের কয়েক মাসের গুরুত্বপূর্ণ দেশীয় ও আন্তর্জাতিক ঘটনাবলি (যেমন - নতুন আইন, বাজেট, ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, বিভিন্ন পুরস্কার) সম্পর্কে নিয়মিত খোঁজ রাখা উচিত। এর জন্য প্রতিদিন পত্রিকা পড়া, সংবাদ দেখা এবং বিভিন্ন ওয়েবসাইট অনুসরণ করা যেতে পারে।
ড্রাইভিংয়ের সাধারণ জ্ঞানের মধ্যে রয়েছে রাস্তার চিহ্ন ও ট্রাফিক সিগন্যাল বোঝা, নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখা, সঠিক গতিতে গাড়ি চালানো, সিট বেল্ট ব্যবহার করা এবং গাড়ির মৌলিক অংশগুলির প্রাথমিক রক্ষণাবেক্ষণ সম্পর্কে জ্ঞান থাকা। এছাড়াও, ওভারটেকিংয়ের নিয়ম জানা, পথচারীদের অগ্রাধিকার দেওয়া এবং বিভিন্ন আবহাওয়ায় (যেমন বৃষ্টিতে) গাড়ি চালানোর সময় বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করাও গুরুত্বপূর্ণ।
গুরুত্বপূর্ণ বিষয়সমূহ
রাস্তার নিয়মাবলী ও চিহ্ন:
বিভিন্ন ট্রাফিক সিগন্যাল (যেমন লাল, হলুদ, সবুজ বাতি) এবং রাস্তার চিহ্নগুলো বুঝতে হবে।
নিরাপদ দূরত্ব:
সামনের গাড়ি থেকে সবসময় একটি নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখতে হবে, বিশেষ করে যখন রাস্তা পিচ্ছিল থাকে।
গতিসীমা:
রাস্তার চিহ্ন ও পারিপার্শ্বিক অবস্থার ওপর নির্ভর করে যুক্তিসঙ্গত গতিতে গাড়ি চালাতে হবে।
ব্যক্তিগত সুরক্ষা:
গাড়ি চালানোর সময় সিট বেল্ট পরা বাধ্যতামূলক।
গাড়ির রক্ষণাবেক্ষণ:
গাড়ির কিছু গুরুত্বপূর্ণ অংশ এবং সেগুলোর প্রাথমিক মেরামত, যেমন টায়ার পরিবর্তন, সম্পর্কে ধারণা থাকা উচিত।
ওভারটেকিংয়ের নিয়ম:
অন্য কোনো গাড়ি আসছে কিনা তা আয়নার সাহায্যে দেখে, নিরাপদ মনে হলে ইন্ডিকেটর দিয়ে তারপর ওভারটেক করতে হবে।
পথচারী ও অন্যান্য যান:
পথচারীদের পথচারী পারাপারের জন্য অগ্রাধিকার দিতে হবে এবং ধীরগতির ভারী যানবাহনগুলোকে ওভারটেক করার সুযোগ দিতে হবে।
আবহাওয়ার প্রভাব:
বৃষ্টির সময় রাস্তা পিচ্ছিল থাকে, তাই স্বাভাবিকের চেয়ে কম গতিতে গাড়ি চালানো এবং অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি।
ট্রাফিক পুলিশের নির্দেশ:
রাস্তার যেকোনো পরিস্থিতিতে ট্রাফিক পুলিশের নির্দেশ মেনে চলতে হবে।
মনোযোগ:
গাড়ি চালানোর সময় খাওয়া বা ফোন ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকতে হবে, যাতে পারিপার্শ্বিক অবস্থা সম্পর্কে সচেতন থাকা যায়।
কিছু সাধারণ পরামর্শ:
নিয়মিত পড়াশোনা: প্রতিদিন রুটিন মেনে পড়াশোনা করা খুব জরুরি। প্রতিটি বিষয়ের জন্য নির্দিষ্ট সময় বরাদ্দ করলে প্রস্তুতি ভালো হবে।
মডেল টেস্ট: পরীক্ষার আগে বেশি বেশি মডেল টেস্ট দিলে সময় ব্যবস্থাপনার দক্ষতা বাড়বে এবং আত্মবিশ্বাস তৈরি হবে।
সংক্ষিপ্ত নোট তৈরি: প্রতিটি বিষয়ের গুরুত্বপূর্ণ সূত্র, তথ্য ও কৌশলগুলো ছোট করে নোট করে রাখলে পরীক্ষার আগে দ্রুত চোখ বুলিয়ে নেওয়া যাবে।
দুর্বলতা চিহ্নিত করা: যে বিষয়গুলোতে দুর্বলতা আছে, সেগুলো চিহ্নিত করে সেগুলোর উপর বাড়তি মনোযোগ দেওয়া উচিত।
আশা করি এই পরামর্শগুলো আপনার পরীক্ষার প্রস্তুতিতে সহায়ক হবে। আপনার যদি নির্দিষ্ট কোনো বিষয়ে আরও বিস্তারিত তথ্য প্রয়োজন হয়, তবে আমাকে জানাতে পারেন।
Информация по комментариям в разработке