Скачать или смотреть বেগুনের উপকারিতা ও ক্ষতি। beguner upokarita o khati.

বেগুনের উপকারিতা ও ক্ষতি।
বেগুন গাছের উপকারিতা। বেগুন পাতার উপকারিতা। বেগুনের বিচির উপকারিতা।
বৈজ্ঞানিক নাম Solanum melongena.


বিষক্রিয়ায়– কোনও ক্রমে দেহে বিষ সঞ্চার হলে অর্থাৎ কোনও প্রকার পোকামাকড় পেটে গিয়ে শরীর ফুলে যাওয়া, বমিভাব বা বমি হওয়া, শরীরে জ্বালা, অক্ষুধা প্রভৃতি বিষক্রিয়ায় এই সব উপসর্গ দেখা দিলে, এক্ষেত্রে সাদা বেগুন হলেই ভাল হয়, যেগুলি দেখতে হাঁসের ডিমের মতো, এই বেগুন যদি না চিনেন অথবা হাতের কাছে না পাওয়া যায় তাহলে যে-কোনও প্রকার বেগুনের পাতার রস এক চা-চামচ করে একটু গরম করে সকালে একবার বিকালে একবার খেলে বিষক্রিয়ার দোষগুলি দূর হয়ে যাবে।

সংগ্রহণী রোগে– এই রোগে দিনের বেলায় দাস্ত বেশি হয়, আর রাত্রিবেলা এর উপদ্রব থাকে না। আয়ুর্বেদের মতে, এক্ষেত্রে পিত্ত ক্ষয় হয়ে গিয়ে শ্লেষ্মাটা প্রধান হয়ে গিয়েছে। এটা পুরনো আমাশয়েও হয়। এ ক্ষেত্রে যে-কোনও বেগুনই হোক না কেন তার মূল চূর্ণ করে ১ গ্রাম মাত্রায় ঘোলের সঙ্গে মিশিয়ে একবার করে খেলে দুই-তিন দিনের পর থেকে গ্রহণীর উপদ্রবটা কমে যাবে। এটা খুব পরিক্ষিত। গ্রাম অঞ্চলে নবপ্রসূতির এই গ্রহণীরোগ হলে সাধারণে মানুষ বলে সূতিকা হয়েছে, আর এই বেগুনের মূল চূর্ণ করে ঘোলের সঙ্গে খাওয়ালে এই রোগ ভালো হয়।


মেদহ্রাসে– যাদের অল্প বয়সে ছিল দেহের সাধারণ গড়ন বা বেশি চিকন স্বাস্থ্যের অধিকারী, কিন্তু বয়স বাড়ার সাথে সাথে খুব মোটা হয়ে গেছে এখন খুব বেশি পরিশ্রম করতে পারেননা বেশি হাঁটাহাঁটি করলে অথবা একটু চিৎকার দিয়ে কথা বললে শ্বাস প্রশ্বাস বেড়ে যায়। দেখতে খুব ভালো লাগলেও ধীরে ধীরে হৃদযন্ত্র দুর্বল হয়ে যাচ্ছে বা হার্টের সমস্যা দেখা দিচ্ছে । এখন এই সকল সমস্যা দূর করতে চাইলে এদের মেদ কমানোটা খুব জরুরী তাই সামান্য লবণ দিয়ে কিছুদিন বেগুনপোড়া খাওয়ার খুব প্রয়োজন। আর এই সময় আলু, চিনি বা যে-কোনও মিষ্টি খাওয়া একেবারে বন্ধ করে দিতে হবে। একবেলা ভাত আর দুই বেলা কড়া সেঁকা রুটি (পাঁপড়ের মতো) খেতে হবে। এর দ্বারা মেদটা আস্তে আস্তে কমে যাবে। আর বাকি সকল সমস্যা চলে যাবে।

অগ্নিমান্দ্যে– হজমের সমস্যা,ভাল খিদে হচ্ছে না, খাওয়ার রুচি নেই, সেক্ষেত্রে বেগুনের পাতা রান্না করে খেলে এই সকল সমস্যা কমে যায়। কোনও কোনও প্রাচীন বৈদ্য ওটাকে সিদ্ধ করে ওই জলটা খেতে দিতেন। এই চিকিৎসাটা খুব পরীক্ষিত।

রক্তের স্বল্পতায়– অনেকেরই স্বাস্থ খুব ভালো , কিন্তু মাথাটা হঠাৎ ঘুরে গেল, গায়ে (ত্বকে) লাবন্যতার অভাব, পিত্তবৃদ্ধি, বুকের স্পন্দন হঠাৎ হঠাৎ কমে যাওয়া, কিছুদিন বাদে পা দুটো একটু ফুলতে থাকা। এক্ষেত্রে কুলি বেগুন ১০-১২ গ্রাম কুচিয়ে ৩-৪ কাপ জলে সিদ্ধ করে এক কাপ থাকতে নামিয়ে ছেঁকে ওই জলটায় সামান্য লবণ মিশিয়ে প্রত্যহ একবার করে খেলে রক্তকণিকা বৃদ্ধি পায় এবং শরীর বলবান হয়।”

প্রিয় দর্শক বেগুনের আরো অনেক ঔষধি গুনাগুন থাকলেও আজ সংক্ষেপে এই কয়টি বিষয় নিয়ে আলোচনা করলাম।

আয়ুর্বেদ চিকিৎসা সংক্রান্ত কোন পরামর্শ জানতে চাইলে ফোন করুন এই নাম্বারে 01790477793 অথবা নিচের কমেন্টস বক্সে গিয়ে কমেন্টস করুন ভিডিওটি দেখার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ; আল্লাহ হাফেজ ।