Скачать или смотреть অবৈধ সুইস ব্যাংকে লেনদেন রুখতে বদ্ধপরিকর সরকার

কালো টাকার আড়ত হিসেবে খ্যাত সুইস ব্যাংক নিয়ে হইচই শুরু হয়েছে। তবে বাংলাদেশ সরকার এই অবৈধ পথ বন্ধ করার তীব্র চেষ্টা চালাচ্ছে। ইতিমধ্যে সুইস রাষ্ট্রদূতকে এ বিষয়ে তথ্য দেওয়ার জন্য তলবও করেছে।

জানা যায়, সুইস ব্যাংক ব্যবস্থায় গোপনীয়তার ইতিহাস ৩০০ বছরের পুরোনো। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় কর ফাঁকি দিতে ইউরোপের দেশগুলো থেকে ধনীরা সুইস ব্যাংকে ভিড় বাড়ায়। অ্যাডলফ হিটলারও সুইস ব্যাংকে টাকা রেখেছিলেন। সুইস ব্যাংকে অর্থ রাখলে সুদ পাওয়া যায় না, বরং বাড়তি খরচ আছে।

সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশের টাকা রাখার হিসাব পাওয়া যায় ২০০৪ সালে। তৎকালীন ক্ষমতাসীন দল বিএনপির বিভিন্ন নেতা-কর্মীরা সুইস ব্যাংকে টাকা রাখা শুরু করেন। এরপর থেকে দুর্নীতিবাজদের অন্যতম আশ্রয় হয়ে দাঁড়ায় সুইস ব্যাংক।

তবে সম্প্রতি দুর্নীতিবাজদের থামাতে এবং পাচারকৃত টাকা ফেরত আনতে উদ্যোগী হয়েছে বর্তমান সরকার। কেননা বর্তমান সরকার দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে। এতে করে বিপাকে পড়েছে দুর্নীতিবাজ চক্র।

সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত নাথালি শুয়ার্ড জানান, সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশিদের জমা টাকার বিষয়ে তথ্য পেতে কিভাবে চুক্তি করা যায় সে বিষয়ে সব ধরনের তথ্য তারা বাংলাদেশ সরকারকে দিচ্ছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রীও জানিয়েছেন, সুইস ব্যাংকে রাখা টাকার তথ্য আনার সর্বাত্মক চেষ্টা চালানো হচ্ছে। যদিও সুইস রাষ্ট্রদূত একটু সহযোগীতার মনোভাব দেখিয়েছেন। কিন্তু এটা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব।

বিশিষ্টজনরা বলছেন, সরকারের এই প্রচেষ্টা যদি সফল হয় তবে দেশের দুর্নীতিবাজরা আরও ভয় পাবে। দেশের পাচার হওয়া অনেক অর্থ আবারও ফিরে আসবে দেশে। এতে করে দেশের অর্থনীতিতে নতুন জোয়ারও সৃষ্টির সম্ভাবনা তৈরি হবে।


This Channel is the Based on News and Current Affairs. The uploaded all contents are Made by our own team. Also Sometimes We are using some Third-Party materials where we have the specific authorization and permission to use this on YouTube.