নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার ঢেলাপীর এলাকায় সপ্তাহের শুক্র ও মঙ্গলবার লোকজনের হাঁকডাক, ভিড়ভাট্টায় হাঁটা মুশকিল। কারণ, এই দুই দিন ওই এলাকায় বসে ‘ঢেলাপীর’ হাট।
সৈয়দপুর-নীলফামারী সড়কের সঙ্গে লাগোয়া ঢেলাপীর হাট। শহর থেকে মাত্র দুই কিলোমিটার দূরে। সপ্তাহের ওই দুই দিন সকাল থেকে খাট, চৌকি, আলনা, শোকেস, আলমারি, সোফা,
বেঞ্চ, চেয়ার-টেবিল থেকে শুরু করে পিঠা তৈরির বেলুন-পিঁড়ি পর্যন্ত ওঠে এই হাটে। সন্ধ্যার আগ পর্যন্ত চলে বেচাকেনা। এসব ফার্নিচারের ক্রেতা মূলত নিম্ন থেকে স্বল্প আয়ের মানুষ। তাই গরিব মানুষের আসবাবের হাট হিসেবে পরিচিত হয়ে উঠেছে এই ‘ঢেলাপীর’ হাট।
নীলফামারী জেলা বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের একটি জেলা (দ্বিতীয় স্তরের প্রশাসনিক ইউনিট)। এটি রংপুর বিভাগের (বাংলাদেশের আটটি বিভাগের একটি যা ২০১০ খ্রিষ্টাব্দের ২৫ জানুয়ারিতে সপ্তম বিভাগ হিসাবে গঠিত হয়) আটটি জেলার একটি অন্যতম সীমান্তঘেষা জেলা। এ জেলার সদর বা রাজধানীর নামও নীলফামারী। নীলফামারী জেলার উত্তর সীমান্তে ভারতের জলপাইগুড়ি জেলা এবং অন্য দিকে লালমনিরহাট জেলা, রংপুর জেলা, দিনাজপুর জেলা ও পঞ্চগড় জেলা অবস্থিত।
নীলফামারী জেলাকে নীলের দেশ বলা হয়। এই জেলার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও ভূ-সংস্থান বেশ সমৃদ্ধ যা অন্যান্য জেলা থেকে এই জেলাকে কিছুটা হলেও আলাদা করেছে। জেলার উত্তর দিক উচু ও খরা পিরিত অঞ্চল, পূর্ব দিক তিস্তার বালুকাময় এলাকা, এই উচু ও বালুময় ভূমি ধীরে ধীরে দক্ষিণপশ্চিম দিকে উর্বর কৃষি জমিতে পরিণত হয়েছে। নীলফামারী অতীত ইতিহাসের অনেক সাক্ষী বহন করে। এ জেলায় সত্যপীরের গান, হাঁস খেলা, মাছ খেলাসহ অনেক উৎসব ও মেলার আয়োজন হয়।
নীলফামারী একটি কৃষি প্রধান জেলা। এ জেলার ৬৮.৫% মানুষ কৃষির উপর নির্ভরশীল। এখানকার প্রধান শিল্প বয়ন, চাল, বাশবেত প্রভৃতি। দারোয়ানী বস্ত্র কল এ জেলার সর্ববৃহৎ শিল্প প্রতিষ্ঠান। এছাড়া উত্তরা ইপিজেড ও সৈয়দপুর বিসিক শিল্প নগরীর মত শিল্প পার্ক।
দুই শতাধিক বছর পূর্বে এ অঞ্চলে নীল চাষের খামার স্থাপন করে ইংরেজ নীলকরেরা। এ অঞ্চলের উর্বর ভূমি নীল চাষের অনুকূল হওয়ায় দেশের অন্যান্য এলাকার তুলনায় নীলফামারীতে বেশি সংখ্যায় নীলকুঠি ও নীল খামার গড়ে ওঠে। ঊনবিংশ শতাব্দীর শুরুতেই দুরাকুটি, ডিমলা, কিশোরগঞ্জ উপজেলা, টেঙ্গনমারী প্রভৃতি স্থানে নীলকুঠি স্থাপিত হয়।
সে সময় বৃহত্তর রংপুর অঞ্চলের মধ্যে নীলফামারীতেই বেশি পরিমাণে শস্য উৎপাদিত হতো এখানকার উর্বর মাটির গুণে। সে কারণেই নীলকরদের ব্যাপক আগমন ঘটে এতদঅঞ্চলে। গড়ে ওঠে অসংখ্য নীল খামার। বর্তমান নীলফামারী শহরের তিন কিলোমিটার উত্তরে পুরাতন রেল স্টেশনের কাছেই ছিল একটি বড় নীলকুঠি। তাছাড়া বর্তমানে অফিসার্স ক্লাব হিসেবে ব্যবহৃত পুরাতন বাড়িটি ছিল একটি নীলকুঠি।ধারণা করা হয়, স্থানীয় কৃষকদের মুখে ‘নীল খামার’ রূপান্তরিত হয় ‘নীল খামারী’তে। আর এই নীলখামারীর অপভ্রংশ হিসেবে উদ্ভব হয় নীলফামারী নামের।
১৮৭৫ সালে মহকুমা ও পরে ১৯৮৪ সালে জেলায় উন্নীত হয়।প্রথম নির্বাচিত এবং বর্তমান জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা জয়নাল আবেদীন।
পৌরসভাসম্পাদনা
এই জেলায় মোট ৪ টি পৌরসভা
নীলফামারী পৌরসভা
সৈয়দপুর পৌরসভা
ডোমার পৌরসভা
জলঢাকা পৌরসভা
উপজেলা পরিষদসম্পাদনা
মোট ৬ টি উপজেলা নিয়ে নীলফামারী জেলা।
নীলফামারী সদর উপজেলা
ডোমার উপজেলা
ডিমলা উপজেলা
জলঢাকা উপজেলা
কিশোরগঞ্জ উপজেলা ও
সৈয়দপুর উপজেলা
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসম্পাদনা
গোড় গ্রাম স্কুল অ্যান্ড কলেজ , নীলফামারী । ]]
নীলফামারী মেডিকেল কলেজ
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সৈয়দপুর
নীলফামারী সরকারি কলেজ, নীলফামারী
নীলফামারী টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ, নীলফামারী
নীলফামারী সরকারি মহিলা কলেজ,
মশিঊর রহমান ডিগ্রী কলেজ, নীলফামারী
ডোমার সরকারি কলেজ,
চিলাহাটি সরকারি কলেজ
সৈয়দপুর সরকারি কলেজ
সৈয়দপুর সরকারি কারিগরি মহাবিদ্যালয়
ডিমলা ইসলামিয়া ডিগ্রী কলেজ
ছোটখাতা বহুমুখী ফাজিল মাদরাসা, ডিমলা, নীলফামারী।
কালেক্টরেট পাবলিক স্কুল ও কলেজ
সৈয়দপুর ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড হাই স্কুল
ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ, সৈয়দপুর
নীলফামারী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়
নীলফামারী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়
ডোমার বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়
ডোমার সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়
জলঢাকা কলেজ
টেংগনমারী ডিগ্রী কলেজ, জলঢাকা, নীলফামারী
সোনারায় সংগলশী উচ্চ বিদ্যালয়।
ডিমলা রাণী বৃন্দা রাণী সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়
কিশোরীগঞ্জ বহুমুখী মডেল উচ্চ বিদ্যালয়
কালেক্টরেট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ, নীলফামারী
বাবরীঝাড় দ্বিমূখী উচ্চ বিদ্যালয়, নীলফামারী।
লায়ন্স স্কুল এন্ড কলেজ,সৈয়দপুর
বালাগ্রাম কৃষি কলেজ। বালাগ্রাম,জলঢাকা, নীলফামারী।
বালাগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়। বালাগ্রাম,জলঢাকা, নীলফামারী।
জলঢাকা মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়, জলঢাকা, নীলফামারী।
ইউনিয়ন পরিষদ সম্পাদনা
নীলফামারী জেলায় মোট ৬০ টি ইউনিয়ন পরিষদ রয়েছে।
Информация по комментариям в разработке