বাঙালির মস্তিষ্ক ও তাহার অপব্যবহার ||আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়|| প্রথম পর্ব

Описание к видео বাঙালির মস্তিষ্ক ও তাহার অপব্যবহার ||আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়|| প্রথম পর্ব

ভারতীয় প্রাচীন রসায়নবিদ, চিকিৎসক, দার্শনিক ও কবি #আচার্য_প্রফুল্লচন্দ্র_রায়। তার ‘#বাঙালির_মস্তিষ্ক_ও_তাহার_অপব্যবহার’ বইটি প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯১০ সালে।

বইটির মূল পৃষ্ঠাসংখ্যা ৩৯। সেই সংস্করণেরই একটি দুর্লভ কপি আমি পড়ি। সেই কপি থেকেই আপনাদের সাথে #Ooniworld শেয়ার করলাম। বইটি কর্মবিমুখ, অলস, চাকরিপ্রিয়, হীনমন্য বাঙালির জন্য একটি #দূরদর্শী রচনা এ ব্যপারে কোন সন্দেহ নেই। মোট কথা #bangali_jatir_itihas তুলে ধরা হয়েছে
আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র বলতেন তিনি ভুলক্রমে #রসায়নবিদ হয়েছেন। তাঁর বরাবরই অনুরাগ ছিলো ইতিহাস, জীবনী সাহিত্য ও সাধারণ সাহিত্যের প্রতি।

বইটি সম্পর্কে তিনি তার বিভিন্ন আলোচনায় বলেছেন, ‘আমি #বাঙালি_চরিত্র বিশ্লেষণ করে তাদের দোষ-ত্রুটি দেখাতে দ্বিধা করিনি, #অস্ত্রচিকিৎসকের মতোই তাদের দেহে ছুরি চালিয়েছি এবং ব্যাধিগ্রস্ত অংশ নির্ণয় করে তার সমাধান দেয়ার চেষ্টা করেছি।’

বইটির শুরুতে আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায় উল্লেখ করেছেন যে প্রায় সহস্র বছর ধরে #হিন্দু_ধর্ম একপ্রকার মৃতপ্রায় হয়ে রয়েছে। ভারতবর্ষে তিমিরাচ্ছন্নতার সূচনা হয় দ্বাদশ শতাব্দীতে ইউরোপে স্বাধীনচিন্তার স্রোত প্রকাশের পর থেকে। এক্ষেত্রে তিনি সে সময়ের প্রখ্যাত অধ্যাপক ওয়েবারের মতামতের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে বলেন- ‘ভারতবর্ষে মুক্ত ও স্বাধীনচিন্তার শেষ নক্ষত্র #ভাস্কচার্য ।

তিনি দ্বাদশ শতাব্দীর বেশ কয়েকজন মহামহোপাধ্যায়কে নিয়ে টিপ্পনি কেটে বলেন- ‘তাদের কাজ ছিলো বিবিধ টীকা রচনা করে টোলের ছাত্রদের মধ্যে আতঙ্ক উৎপাদন করা। পরবর্তী সময়গুলোতে এ ধারা অপরিবর্তিত থাকে, এদিকে সে সময় ইউরোপের গ্যালিলিও, কেপলার, নিউটন ইত্যাদি মনীষীরা প্রকৃতির নতুন নতুন তত্ত্ব উদঘাটন ও উপস্থাপন করছিলেন।’

অনেকে মনে করেন #মুসলিম_শাসনামল ভারতে জ্ঞানচর্চাকে সে সময় অনেকাংশে ব্যহত করে, প্রফুল্লচন্দ্র এ ব্যাপারে সহমত প্রকাশ করেননি। তিনি বলেন, ‘সে সময়ে মুসলিম শাসন স্থায়ীরূপে প্রতিষ্ঠিত হয়নি। তাছাড়া মুসলিম শাসনামলেও বাংলাদেশে বিশেষত নবদ্বিপ ও বিক্রমপুরে হিন্দুশাস্ত্রের যথেষ্ট চর্চা ছিলো।’

বইটির শেষাংশে তিনি বলেন, ‘আপনি যদি সমাজের মত মতো না চলেন তবে সমাজ আপনার পথে বেত্রাঘাত করবে, আপনাকে একঘরে করে রাখবে। অথচ সমাজকে কলুষিত করে রেখেছে #মিথ্যাচার

এ অবস্থা থেকে উত্তরণ আবশ্যক এবং তা ধীরে ধীরে আসবেই। সেজন্য অবশ্য প্রয়োজনীয় বস্তু হলো স্বাধীনচিন্তা, অন্যের গোলামির বলয় থেকে বেড়িয়ে স্বতন্ত্র কর্মসংস্থান তৈরি।

#bangalir #mostisko
#প্রবন্ধপাঠ - --- #বনি_আমিন
Background video clip from "Videezy.com"
#Ooni_world

Комментарии

Информация по комментариям в разработке