যিনার শাস্তি। মাওলানা দেলোয়ার হোসেন সাঈদী।

Описание к видео যিনার শাস্তি। মাওলানা দেলোয়ার হোসেন সাঈদী।

যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহর। দরুদ ও সালাম আল্লাহর রাসূল (সা) এর উপর। পরম করুণাময় ও অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি।

দুনিয়াতে কেবল লজ্জাস্থানের ব্যভিচারের শাস্তি আছে ।

প্রথমে জেনে নেই ব্যভিচার কয় প্রকার। 

দুই প্রকার অবৈধ sex আছে।

Fornication 

Adultery বা পরকিয়া


Fornication হল দুজন অবিবাহিত নারী-পুরুষের যৌনসম্পর্ক। মানে, একজনও বিবাহিত নয়। উল্লেখ্য, বাবামা বা বাবামার অনুপস্থিতিতে অভিভাবককে না জানিয়ে গোপন বিয়ে করলে সে বিয়েও বৈধ হবে না এবং তাদের যৌন সম্পর্ক fornication হবে। 

আর, পরকিয়া বা Adultery হল দুজন নারী-পুরুষ এর মধ্যে যৌনসম্পর্ক যাদের মধ্যে একজন বিবাহিত তবে অপরজনের সাথে নয়। এক্ষেত্রে দুজনই বিবাহিত হতে পারে, আবার একজন কেবল বিবাহিত হতে পারে। তবে, দুজন পরস্পর বিবাহিত নয়। 

এ দুই ক্ষেত্রে দু রকম শাস্তি আছে। দুটোই আলোচনা করছি... তবে, এটা মনে রাখতে হবে এ শাস্তি কেবল ইসলামিক রাষ্ট্রতেই দেয়া যাবে। এবং শরিয়া সরকার সেটা প্রয়োগ করবে। কোন ব্যক্তি না। এরকম নন-মুসলিম দেশে বিচার সেদেশের আইনে হবে, চাইলে আদালত শরীয়া আইনে বিচার করবে না চাইলে করবে না এটা সে দেশের ব্যাপার । 

প্রথমে, Fornication এর শাস্তি:
এই কেসে, শরিয়া আইনে দুজনকেই ১০০ বেত্রাঘাত করতে হবে এবং সাথে একবছরের জন্য বহিষ্কার হতে পারে সমাজ হতে। এবং তওবা করতে হবে। আর বেত্রাঘাতের ক্ষেত্রে এটাই ইসলামী শরী‘য়াতের সবচেয়ে বড় শাস্তি। 

“ব্যভিচারী ও ব্যভিচারিণী উভয়কে এক’শ ঘা করে বেত্রাঘাত কর। আল্লাহর বিধান কার্যকরী করবে এদের প্রতি দয়া যেন তোমাদের অভিভূত না করে। যদি তোমরা আল্লাহ ও পরকালে বিশ্বাসী হয়ে থাক। ঈমানদারদের একটি দল যেন এদের শাস্তি প্রত্যক্ষ করে।” (সূরা আন নূর ২৪:২)

adultery বা পরকিয়ার শাস্তি:
এ কেসে, যে অবিবাহিত তাঁকে ১০০ বেত্রাঘাত করতে হবে। আর যে বিবাহিত তাঁকে শরিয়াতের আইন মাফিক পাথর নিক্ষেপে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে হবে। আর যদি দুজনেই বিবাহিত হয় তবে দুজনেই পাথর নিক্ষেপে মৃত্যুদণ্ড। যাতে করে সে তার কুকর্মের উপযুক্ত ফলাফল ভোগ করতে পারে আর হারাম কাজে তার প্রতিটি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ যেমন করে মজা উপভোগ করেছিল, এখন তেমনি করে ঠিক তার উল্টা যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি ভোগ করবে। এ মৃত্যুদণ্ডেও যদি তাদের পাপের পূর্ণ প্রায়শ্চিত্ত না হয় এবং তারা উভয়েই তওবা না করে মারা যায় তাহলে তাদেরকে জাহান্নামের আগুনে শাস্তি দেয়া হবে।

কিছু হাদিস এ প্রসঙ্গে বলতে হয়, 

রাসুল (স) বলেছেন, “কোন ব্যভিচার ব্যভিচারের সময়ে মুমিন অবস্থায় ব্যভিচার করে না। কোন চোর চুরির সময় মুমিন অবস্থায় চুরি করে না। কোন মদখোর মদ খাওয়ার সময় মুমিন অবস্থায় মদ পান করে না, কোন লুন্ঠনকারী লুন্ঠন করার সময় মুমিন অবস্থায় লুন্ঠন করে না”। [বুখারি,মুসলিম ও আবু দাউদ]

এজন্য তওবা করতেই হবে। 

রাসুল (স) আরো বলেছেন, “কোন ব্যক্তি যখন ব্যভিচার করে তখন তার ভেতর থেকে ঈমান বেরিয়ে যায়, এরপর তা তার মাথার উপর ছায়ার মত অবস্থান করতে থাকে। এরপর সে যখন তা থেকে তওবা করে তখন তার ঈমান পুনরায় তার কাছে ফিরে আসে”। [আবু দাউদ]

হযরত আবু হুরায়রা বর্ণিত অন্য এক হাদীসে রাসুল (স) আরো বলেছেন, “যে ব্যক্তি ব্যভিচার করে অথবা মদ পান করে, আল্লাহ তার কাছ থেকে ঈমান ঠিক এমনভাবে কেড়ে নেন, যেমন কোন মানুষ তার মাথার উপর দিয়ে জামা খুলে থাকে।” 

রাসুল (স) বলেন, “কিয়ামতের দিন আল্লাহ তিন ব্যক্তির সাথে কথা বলবেন না, তাদের দিকে তাকাবেন না, তাদেরকে পবিত্রও করবেন না এবং তাদের জন্য যন্ত্রণাদায়ক কঠোর শাস্তি নির্ধারিত থাকবে। তারা হচ্ছে বৃদ্ধ ব্যভিচারী, মিথ্যাবাদী শাসক এবং অহংকারী গরীব।” [মুসলিম ও নাসায়ী]

হযরত ইবন মাসউদ রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, আমি বলেছিলাম, "হে আল্লাহর রাসূল! আল্লাহর কাছে সবচেয়ে বড় পাপ কী?" তিনি বললেন, "আল্লাহর সমকক্ষ কাউকে নির্ধারণ করা।" আমি বললাম, "এটা নিশ্চয়ই জঘন্যতম গুনাহ। তারপর কী?" তিনি বললেন, "তোমার সন্তান তোমার সাথে আহারে বিহারে অংশ নিবে এ আশংকায় সন্তানকে হত্যা করা।" আমি বললাম, "এরপর কী?" তিনি বললেন, "তোমার প্রতিবেশীর স্ত্রীর সাথে ব্যভিচারে লিপ্ত হওয়া।" [বুখারি ও মুসলিম]

Комментарии

Информация по комментариям в разработке