Скачать или смотреть অনিয়মের অভিযোগে বিদ্ধ ডাকসু ও জাকসু নির্বাচন, গণতন্ত্রের জন্য উদ্বেগ || simplicity

VALUES empower our life!
Friends,
ডাকসু ও জাকসু নির্বাচনে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) নির্বাচন বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে জর্জরিত ছিল।

#### ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন

২০২৫ সালের সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠিত ডাকসু নির্বাচনে numerous অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।
*প্রধান অভিযোগসমূহ:*

*ভোট কারচুপি ও জাল ভোট:* নির্বাচনের দিন একাধিক প্রার্থী ও প্যানেল ভোট কারচুপির অভিযোগ তোলে।
*পক্ষপাতিত্ব ও আচরণবিধি লঙ্ঘন:* বিভিন্ন প্রার্থী ও প্যানেল নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ আনে। প্রতিদ্বন্দ্বী প্যানেলগুলো একে অপরের বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগও করেছে।
*এজেন্ট ও সাংবাদিকদের বাধা:* ভোটকেন্দ্রে পোলিং এজেন্টদের দায়িত্ব পালনে বাধা দেওয়া এবং সাংবাদিকদের প্রবেশে বাধা দেওয়ার মতো ঘটনাও ঘটেছে। ৯ জন পোলিং এজেন্ট ভোটগ্রহণে অনিয়মের বিষয়ে প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

*নির্বাচন বর্জন:* নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগে দুজন সহ-সভাপতি (ভিপি) প্রার্থী ভোট বর্জন করেন। তারা এই নির্বাচনকে ‘প্রহসন’ বলে আখ্যায়িত করেন এবং শিবির-সমর্থিত প্রার্থীকে জেতানোর জন্য পূর্ব-পরিকল্পিত বলে অভিযোগ করেন।

*অনলাইন হয়রানি:* বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ভিপি প্রার্থী আব্দুল কাদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আক্রমণাত্মক ও অপমানজনক প্রচারণার শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করেন।

*বহিরাগতদের প্রভাব:* ছাত্রদলের পক্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের প্রবেশদ্বারগুলোতে জামায়াত-শিবিরের কর্মীদের ব্যাপক উপস্থিতির অভিযোগ করা হয়, যা নির্বাচনী পরিবেশকে প্রভাবিত করেছে বলে তারা মনে করে।

#### জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) নির্বাচন

দীর্ঘ ৩৩ বছর পর অনুষ্ঠিত জাকসু নির্বাচনকে ঘিরেও ব্যাপক উৎসাহ থাকলেও নির্বাচনটি বিতর্ক এড়াতে পারেনি।
*প্রধান অভিযোগসমূহ:*

*নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র:* ইসলামী ছাত্রশিবির সমর্থিত সাধারণ সম্পাদক (জিএস) প্রার্থী মাজহারুল ইসলাম নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তোলেন। তিনি এর জন্য বিএনপিপন্থী দুজন শিক্ষককে দায়ী করেন।

*অব্যবস্থাপনা ও কারচুপি:* নির্বাচনের দিন ব্যাপক অব্যবস্থাপনার অভিযোগ ওঠে। অতিরিক্ত ব্যালট পেপার সরবরাহ, সময়মতো ভোটগ্রহণ শুরু না হওয়া এবং পোলিং এজেন্টদের আচরণ নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়। তাদের অভিযোগ, জামায়াত-সংশ্লিষ্ট একটি প্রতিষ্ঠান থেকে ব্যালট পেপার ছাপানো হয়েছে, যা শিবিরকে অনৈতিক সুবিধা দিয়েছে।

*ভোট বর্জন:* ছাত্রদল ছাড়াও আরও চারটি প্যানেল অনিয়ম ও পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলে নির্বাচন বর্জন করে।

*নির্বাচন কমিশনের সদস্যের পদত্যাগ:* নির্বাচন কমিশনের সদস্য ও ফার্মেসি বিভাগের অধ্যাপক মাফরুহী সাত্তার নির্বাচনে নানা অনিয়ম এবং কমিশনের অসহযোগিতার অভিযোগ তুলে পদত্যাগ করেন, যা নির্বাচনের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্নকে আরও জোরালো করে।

*আচরণবিধি লঙ্ঘন:* ছাত্রশিবির ও ছাত্রদলের বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ ওঠে। শিবিরের বিরুদ্ধে বিভিন্ন হলে প্রচারপত্র বিলি করার অভিযোগ করেন একাধিক প্রার্থী। অন্যদিকে, ছাত্রদলের একজন কেন্দ্রীয় নেতাকে অবৈধভাবে হলে অবস্থান করার অভিযোগে বের করে দেওয়া হয়।

*ডোপ টেস্টের ফলাফল প্রকাশ না করা:* নির্বাচনের আগে প্রার্থীদের জন্য বাধ্যতামূলক ডোপ টেস্টের ফলাফল প্রকাশ না করেই ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়, যা নিয়েও সমালোচনা হয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) নির্বাচনের ফলাফল এবং উদ্ভূত অভিযোগগুলো নিছক ক্যাম্পাসের গণ্ডিতে সীমাবদ্ধ থাকবে না বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। বরং এই ঘটনাপ্রবাহ বাংলাদেশের জাতীয় রাজনীতিতে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারে, যা আগামী জাতীয় নির্বাচনের গতিপথ নির্ধারণে সহায়ক হতে পারে।

*জাতীয় রাজনীতিতে সম্ভাব্য প্রভাবগুলো নিম্নরূপ:*

*১. তরুণ প্রজন্মের রাজনৈতিক মনোভাবের প্রতিফলন:* ডাকসু নির্বাচনের ফলাফলকে নতুন প্রজন্মের রাজনৈতিক চিন্তাভাবনা ও প্রবণতা যাচাইয়ের একটি সুযোগ হিসেবে দেখা হচ্ছে। নির্বাচনে ইসলামী ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেলের বিজয়কে অনেকে প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি তরুণদের অনাস্থার বহিঃপ্রকাশ হিসেবে দেখছেন।

*২. প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য সতর্কবার্তা:*
*বিএনপি:* ডাকসুতে ছাত্রদলের শোচনীয় পরাজয় দলটির জন্য একটি বড় ধাক্কা।এটি বিএনপির সাংগঠনিক দুর্বলতা, নেতৃত্বের বিভাজন এবং তরুণ প্রজন্মের সাথে তাদের বিচ্ছিন্নতাকে নির্দেশ করে বলে মনে করা হচ্ছে।
*আওয়ামী লীগ:* ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ থাকায় নির্বাচনে অংশ নিতে না পারলেও, ডাকসুতে শিবিরের বিজয় আওয়ামী লীগের জন্যও একটি কৌশলগত সংকেত।

*৩. জামায়াতে ইসলামী ও শিবিরের নতুন মেরুকরণ:* দীর্ঘদিন ধরে রাজনৈতিকভাবে কোণঠাসা থাকার পর ডাকসু ও জাকসুতে ছাত্রশিবিরের বিজয় জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতিতে নতুন প্রাণের সঞ্চার করেছে।

*৪. নির্বাচনী ব্যবস্থায় নতুন আলোচনার সূত্রপাত:* ডাকসু নির্বাচনের ফলাফলের পর আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (Proportional Representation বা PR) পদ্ধতির নির্বাচনের দাবি নতুন করে আলোচনায় এসেছে।
*৫. আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে প্রভাব:* ডাকসু নির্বাচনে ছাত্রশিবিরের বিজয় আন্তর্জাতিক মহলেরও দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।ভারতের কংগ্রেস নেতা শশী থারুরের মতো ব্যক্তিত্বরা এ বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন, যা বাংলাদেশের ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে সম্পর্কের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে।
If you like the video kindly leave a comment below the description and do share your response.
Thanks for watching:)