Скачать или смотреть গুলশা মাছের পোনা | gulsa fish | বিক্রয় করা হবে | যোগাযোগ করুন 01713539212

#দেশীগুলশামাছেরপোনা #gulsafish #
মাছ চাষ সম্পর্কিত নতুন নতুন ভিডিও পেতে আমাদের চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করুন
   / @fishmarketingbd  

অর্ডার করতে কল করুন:-
০১৭১৩৫৩৯২১২
আমাদের ঠিকানা- গ্রাম:-ধলা পোস্ট-ধলা থানা-ত্রিশাল জেলা-ময়মনসিংহ|
গুলশা একটি ছোট মাছ যা অন্যান্য ছোট মাছের তুলনায় খেতে বেশ স্বাদের। দিন বদলের সাথে সাথে এই মাছটি আর তেমন একটা দেখা যায়না। তবু চেষ্টা চলছে এটি প্রকৃতিতে টিকিয়ে রাখার জন্য। বর্তমানে এই মাছটির চাষ করা হচ্ছে। এতে একদিকে যেমন এই মাছটি রক্ষা করা যাবে অন্যদিকের দেশে মাছের চাহিদা পূরণ করতে এই মাছটি ব্যাপক ভূমিকা পালন করবে।

চাষের সুবিধা

গুলশা মাছ মূলত সব ধরনের পুকুরেই চাষ করা যায় সেটা মৌসুমী পুকুর হোক আর জলাশয়েই হোক।

এ মাছ চাষে পুকুরের সব স্তরের খাবারের ব্যবহার নিশ্চিত।

৫-৬ মাসের মধ্যেই কয়েক ধরণের রুইজাতীয় মাছের পাশাপাশি  গুলশা মাছ বাজারজাত করা যায়।

শুধু রুইজাতীয় মাছ চাষের চেয়ে অধিক মুনাফা পাওয়া যায়।

গুলশা মাছ সুস্বাদু, একারনে এর বাজার মূল্যও অনেক বেশি।

চাষ পদ্ধতি

পুকুর প্রস্তুতি

শুকনো মৌসুমে পুকুর থেকে জলজ আগাছা পরিষ্কার ও পাড় মেরামত করতে হবে।

ছোট মাছ চাষের ক্ষেত্রে পুকুর শুকানো উচিত নয়। তাই বার বার ঘন ফাঁসের জাল টেনা রাক্ষুসে মাছ ও ক্ষতিকর প্রাণি অপসারণ করতে হবে।

প্রতি শতকে ১-২ কেজি পাথুরে চুন প্রয়োগ করতে হবে। মাটির গুণাগুণের ওপর ভিত্তি করে চুনের মাত্রা কম-বেশি হয়ে থাকে।

এই মাছের পোনা ছাড়ার পূর্বে পুকুরে সার প্রয়োগ করতে হবে। সার প্রয়োগ করলে পুকুরে প্রাকৃতিক খাদ্য জন্মায় আর সে খাদ্য পোনারা খেতে পারে।

মাছের পোনা ছাড়ার পূর্বে প্রতি শতকে ৪-৬ কেজি গোবর ও ১০০ গ্রাম করে ইউরিয়া ও টিএসপি দিতে হবে।

পোনা ছাড়ার পূর্বে খেয়াল রাখতে হবে পুকুরের পানি সবুজ কিংবা বাদামী রং ধারণ করছে কিনা যদি বাদামি কিংবা সবুজ রং ধারন করে তাহলে সেসময় মাছের পোনা ছাড়তে হবে।

গুলশা মাছের পরিচর্যা
৭-১০ দিন পর পর সার প্রয়োগ করতে হবে কেননা পুকুরে প্রাকৃতিক খাবার না থাকলে মাছের সাধারণ উৎপাদন ব্যহত হয় । তাই নিয়মিতভাবে পুকুরে সার প্রয়গ করতে  হবে।

প্রতি শতক হিসেব করে ৩০০ গ্রাম কম্পোস্ট সারের সাথে ৫ গ্রাম ইউরিয়া ও ৫ গ্রাম টিএসপি সার পানিতে মিশিয়ে পরের দিন সকাল বেলায় পুকুরের পানিতে ছিটিয়ে দিতে হবে।

পকুরের পানিতে জৈব ও রাসায়নিক সার মিশিয়ে দেয়া যেতে পারে এতে করে উৎপাদন বেড়ে যায়।

নির্দেশনা

পুকুরের নিচে যদি বেশী পরিমাণে কাদা জমে যায় তাহলে সেখানে গ্যাস জমে যেতে পারে । সেজন্য পুকুরের তলদেশে যেন ক্ষতিকর কাদা জমে না যায় সেজন্য খেয়াল রাখতে হবে। পারলে হয়রা কিংবা জাল দিয়ে টেনে পুকুরের তলদেশের কাদা ওলটপালট করে গ্যাস বের করে দিতে হবে।

মাসে একবার পুকুরের মাছের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে দেখতে হবে কোন রোগ আক্রমণ করলো কিনা।

তবে খেয়াল রাখতে হবে যদি পুকুরের পানি বেশী সবুজ হয়ে যায় তাহলে সার দেয়া বন্ধ করে দিতে হবে।
আংশিক আহরণঃ গুলশা মাছ কার্পজাতীয় মাছ এর সাথে চাষ করা হয়। কারপ জাতীয় মাছ ও গুলশা মাছের বৃদ্ধির হার সমান নয়। বেশি লাভের জন্য বড় মাছ আহরণ করে ছোট মাছগুলোকে বড় হওয়ার সুযোগ করে দেয়া উচিত। তাই কার্প জাতীয় যে মাছগুলো ৫০০-৭০০ গ্রামের উপরে হবে তা আহরণ করে সমসংখ্যক পোনা ছাড়তে হয়।
চুড়ান্ত আহরণঃ বছর শেষে সব মাছ আহরণ করে ফেলতে হবে। বাজার দর এবং পরবর্তী ফসলের জন্য পোনা প্রাপ্তির ওপর নির্ভর করে চুড়ান্ত আহরণের সময়কাল ঠিক করতে হবে।

গুলশা মাছ ৮-৯ মাস চাষে  ৪৫-৫০ গ্রাম ওজনের হয় এবং তা বিক্রয়ের জন্য উপযুক্ত হয়।