হেপাটাইটিস বি একবার হলে আর নেগেটিভ হয় কি? । Hepatitis B Positive Treatment

Описание к видео হেপাটাইটিস বি একবার হলে আর নেগেটিভ হয় কি? । Hepatitis B Positive Treatment

নিয়ে MediTalk Digital এ বলেছেন ডা. শওকত হোসেন (রোমেল) // অ্যাপয়েন্টমেন্ট 01707533047

হেপাটাইটিস বি পজিটিভ যেভাবে বুঝবেন

বিদেশে যাওয়ার জন্য স্বাস্থ্য পরীক্ষা, স্বেছায় রক্তদান কিংবা গর্ভকালীন রক্ত পরীক্ষা করতে গিয়ে অনেকের হেপাটাইটিস বি এবং কখনো কখনো হেপাটাইটিস সি ধরা পড়ে। অনেকে একেবারে ভেঙে পড়েন বা হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েন। কারণ অনেকের ধারণা, হেপাটাইটিস বি বা সি পজিটিভ মানেই হলো লিভার সিরোসিস, নিশ্চিত মৃত্যু।

হেপাটাইটিস বি পজিটিভ মানে কী?
কোনো ব্যক্তির হেপাটাইটিস বি পজিটিভ মানে নিচের যেকোনোটি হতে পারে:

১. তিনি হেপাটাইটিস বি ভাইরাসের ইনকিউবেশন বা স্ফুরণপর্বে আছেন

২. বি ভাইরাস দিয়ে একিউট হেপাটাইটিস (স্বল্পমেয়াদি প্রদাহ) হয়েছে

৩. বি ভাইরাস সংক্রমণ হয়েছিল এবং তা থেকে আরোগ্য লাভ করেছেন

৪. উপসর্গ ছাড়াই ভাইরাসের এন্টিজেন বহন করছেন কিংবা

৫. তিনি হেপাটাইটিস বি জনিত দীর্ঘমেয়াদি রোগাক্রান্ত।

হেপাটাইটিস বি ভাইরাস ইনফেকশনের ইনকিউবেশন বা স্ফুরণপর্ব ৩০-১৮০ দিন পর্যন্ত হয়ে থাকতে পারে। সাধারণত এ সময় অবসাদগ্রস্ততা, পেটে অস্বস্তি অনুভূত হতে পারে। শারীরিক উপসর্গ বা জন্ডিস দেখা দেওয়ার বেশ কয়েক সপ্তাহ আগেই HBsAg পজিটিভ দেখা দেয়। এ সময় লিভার এনজাইমগুলোও বাড়তে পারে।

একিউট হেপাটাইটিস বি–এর ক্ষেত্রে সংক্রমণের এক থেকে চার মাস পর সাধারণত উপসর্গ দেখা দেয়। শতকরা দুজনের ক্ষেত্রে লিভার ফেইলিউর হতে পারে। বড়দের ক্ষেত্রে শতকরা ৯৫ জন শরীর থেকে সংক্রমণ দূর করতে সক্ষম হয়ে থাকেন।

ক্রনিক (দীর্ঘমেয়াদি) হেপাটাইটিস বি–এর ক্ষেত্রে HBsAg সাধারণত ছয় মাসের বেশি সময় যাবৎ প্রদাহ উপস্থিত থাকে। নবজাতকের ইনফেকশনের ক্ষেত্রে ৯০ শতাংশ, এক থেকে পাঁচ বছর বয়সীদের ক্ষেত্রে ২০-৫০ শতাংশ, বড়দের ক্ষেত্রে ৫ শতাংশের কম লোক ক্রনিক হেপাটাইটিস বি–তে আক্রান্ত হতে পারেন। ক্রনিক ইনফেকশনের অবশ্য মাত্রাভেদ রয়েছে। কখনো খুব সক্রিয় আবার কখনো খুব নিষ্ক্রিয় থাকতে পারে।

রক্ত পরীক্ষায় হেপাটাইটিস বি কিংবা সি ধরা পড়লে আতঙ্কগ্রস্ত না হয়ে চিকিৎসক, লিভার বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন। নিশ্চিতকরণ পরীক্ষার মাধ্যমে ভাইরাসের উপস্থিতি ও সক্রিয়তা সম্পর্কে নিশ্চিত হোন। অনেক ক্ষেত্রে ভাইরাস নিষ্ক্রিয় অবস্থায়ও দীর্ঘদিন থাকতে পারে। সঠিকভাবে চিকিৎসা নিলে ক্রনিক হেপাটাইটিস, লিভার সিরোসিস নিয়েও ভালো থাকা যায়। ভাইরাস বহন করেও চাকরি, দৈনন্দিন কাজকর্ম করতে কোনো বাধা নেই। ভেঙে পড়বেন না, সঠিক চিকিৎসা নিন। ঝাড়ফুঁক, কবিরাজি, হোমিওপ্যাথি, পানিপড়া, ডাবপড়া থেকে দূরে থাকুন।

আপনি কি হেপাটাইটিস বি পজিটিভ
হেপাটাইটিস বি ভাইরাসকে নীরব ঘাতক বলা হয়। বাংলাদেশেও এর প্রাদুর্ভাব বেশ লক্ষণীয়।

বিভিন্ন কারণে শারীরিক পরীক্ষা–নিরীক্ষা করাতে গিয়ে অথবা কাউকে রক্ত দিতে গিয়ে সাধারণত কারও শরীরে ভাইরাসটি ধরা পড়ে। কারণ, বেশির ভাগ ক্ষেত্রে এটি রক্তে সুপ্ত অবস্থায় দীর্ঘকাল রয়ে যায়।

তবে হেপাটাইটিস বি ভাইরাস সংক্রমণের সময়মতো সঠিক চিকিৎসা না করা হলে পরবর্তী সময়ে লিভার সিরোসিস, লিভার ক্যানসারসহ নানা রকম জটিলতা দেখা দিতে পারে।

কীভাবে বুঝবেন
আপনার শরীরে হেপাটাইটিস বি ভাইরাসের উপস্থিতি আছে কি না, এটা জানতে একজন পরিপাকতন্ত্র ও লিভার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। চিকিৎসক নানা দিক পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা ও পরামর্শ দেবেন। এখানে বলে রাখা ভালো, এই রোগের চিকিৎসা ও ফলোআপ সাধারণত দীর্ঘমেয়াদি হয়ে থাকে। অনেকের ক্ষেত্রে সারা জীবন চিকিৎসা নেওয়ারও প্রয়োজন হতে পারে।

নিরাময় সম্ভব
হেপাটাইটিস বি ভাইরাসের চিকিৎসা নেই—অনেকের মধ্যে এমন ভুল ধারণা আছে। আবার অনেকে মনে করেন, কোনো সমস্যা যেহেতু হচ্ছে না, তাহলে চিকিৎসার কী দরকার। আসলে হেপাটাইটিস বি ভাইরাস নির্মূলে বর্তমানে খুবই কার্যকরী কিছু ওষুধ রয়েছে। রোগের প্রাথমিক অবস্থায় সঠিক চিকিৎসা করলে অনেক ক্ষেত্রে এটি নিরাময় সম্ভব। তা ছাড়া চিকিৎসা নিলে এই ভাইরাসজনিত জটিলতা যেমন লিভার সিরোসিস ও লিভার ক্যানসার থেকে বেশির ভাগ রোগীকে বাঁচানো সম্ভব।

পজিটিভ হলে
কোনো ব্যক্তি এই ভাইরাস বহন করছেন জানতে পারলে তাঁর উচিত হবে পরিবারের অন্য সদস্যদের বিশেষ করে মা–বাবা, ভাই-বোন ও সন্তানদের শরীরে এই ভাইরাস আছে কি না, সেটাও জেনে নেওয়া। কারণ, যাঁদের শরীরে এ ভাইরাস নেই, তাঁরা টিকা দিয়ে খুব সহজেই এই ভাইরাস থেকে মুক্ত থাকতে পারবেন।

কোনো গর্ভবতী নারী যদি হেপাটাইটিস বি ভাইরাসের রোগী হয়ে থাকেন, তাঁর উচিত হবে গর্ভকালীন গাইনি এবং পরিপাকতন্ত্র ও লিভার বিশেষজ্ঞের অধীনে থাকা। সন্তান প্রসব অবশ্যই হাসপাতালে হতে হবে। কারণ, এ সময় মায়ের কাছ থেকে তাঁর গর্ভের সন্তানের শরীরে এই ভাইরাস চলে যেতে পারে। সে জন্য সন্তান জন্মানোর পরে সন্তানকে এই ভাইরাস প্রতিরোধে দ্রুত টিকা দিয়ে দিতে হবে।

মনে রাখুন
বাংলাদেশ সরকার সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচিতে এই ভাইরাসের টিকা অন্তর্ভুক্ত করেছে। আশা করা যায়, ভবিষ্যতে এই ভাইরাসের আক্রমণ থেকে আমরা ধীরে ধীরে মুক্তি পাব। তবে যাঁরা এখনো পাননি, তাঁদের অবশ্যই নিতে হবে।

এই ভাইরাস বহনকারী ব্যক্তি কাউকে রক্ত দিতে পারবেন না।

Комментарии

Информация по комментариям в разработке