Скачать или смотреть মুসাফিরের দোয়া কবুল হয়

মুসাফিরের দোয়া কবুল হয়#shortviral #islamicvideo #viralvideo #foryou #foryoupage #banglamovie
নিচের লিঙ্ক কে ক্লিক করে আমার এই ইসলামিক চ্যানেল এর সব ভিডিও গুলো দেখুন→
   / @alorpothe7471  
shortvideo viralvideo sabnur sakib khan song dinner India the movie Islamic sensory story channel background music Bangladesh Shakib Hasan

ইসলামে মুসাফির (সফরকারী) একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এবং তাদের জন্য শরীয়তে কিছু বিশেষ সুবিধা বা ছাড় (রুখসত) রয়েছে। বিভিন্ন হাদিসে মুসাফিরের বিধান ও গুরুত্ব বর্ণিত হয়েছে। নিচে কিছু প্রধান বিষয় উল্লেখ করা হলো:
১. মুসাফিরের সংজ্ঞা ও দূরত্ব:
হানাফী মাযহাব অনুযায়ী, নিজ গ্রাম বা শহর থেকে কমপক্ষে ৪৮ মাইলের (প্রায় ৭৭.২৩২ কিলোমিটার) বেশি দূরত্বে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বের হলে সেই ব্যক্তিকে মুসাফির ধরা হয়।
২. নামাজের বিধান (কসর):
মুসাফিরের জন্য চার রাকাতবিশিষ্ট ফরয নামাজ (যেমন: যোহর, আসর ও এশা) দুই রাকাত পড়া সুন্নত। একে "কসর" বলা হয়। এটি আল্লাহর পক্ষ থেকে একটি বিশেষ সুবিধা।
হাদিস: আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, "আল্লাহ তাআলা তোমাদের নবীর মুখে নামাজকে মুকিম অবস্থায় চার রাকাত ও সফর অবস্থায় দুই রাকাত ফরয করেছেন।" (মুসলিম, হাদিস: ৬৮৭)
যদি কোনো মুসাফির মুকিম (স্থায়ী বসবাসকারী) ইমামের পেছনে নামাজ পড়ে, তাহলে তাকে ইমামের অনুসরণ করে পুরো চার রাকাতই পড়তে হবে।
মুসাফির যদি একাকী অথবা মুসাফির ইমামের পেছনে ইচ্ছাকৃতভাবে চার রাকাত নামাজ পূর্ণ করে, তবে গুনাহ হবে এবং নামাজ পুনরায় পড়া ওয়াজিব।
যদি মুসাফির ইমামতি করে, তাহলে সে কসর করে দুই রাকাত পড়াবে এবং সালাম ফিরানোর পর মুক্তাদিদের জানিয়ে দেবে যে, "আপনারা নামাজ পূর্ণ করুন, আমি মুসাফির।"
৩. রোযার বিধান:
রমজান মাসে মুসাফিরের জন্য রোজা না রেখে পরে কাযা করার অনুমতি রয়েছে, যদি রোজা রাখা কষ্টকর হয়। তবে যদি কেউ সফরেও রোজা রাখতে সক্ষম হন এবং রোজা রাখেন, তাহলে তা উত্তম।
কুরআনের আয়াত: "তোমাদের মধ্যে যে অসুস্থ থাকবে অথবা সফরে থাকবে, সে অন্য দিনগুলোতে সে সংখ্যা পূর্ণ করবে।" (সূরা বাকারা, আয়াত: ১৮৫)
হাদিস: রাসূলুল্লাহ (সা.) সফরে রোজা রেখেছিলেন এবং ছেড়েও দিয়েছিলেন।
৪. দুই ওয়াক্তের নামাজ একসাথে পড়া (জমা):
সফর অবস্থায় প্রয়োজনে যোহর ও আসর এবং মাগরিব ও এশার নামাজ একসাথে করে পড়া যায়। একে "জমা" বলা হয়। এটিও মুসাফিরের জন্য একটি ছাড়।
হাদিস: ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, "রাসূলুল্লাহ (সা.) মক্কায় যোহর ও আসরকে একত্র করে পড়তেন এবং মাগরিব ও এশাকে একত্র করে পড়তেন।" (বুখারী ও মুসলিম)
৫. মুসাফিরের অন্যান্য বিধান:
মুছাফা ও মু'আনাকা: সফর থেকে ফিরে এলে এলাকার লোকজনের সাথে মু'আনাকা (কোলাকুলি) ও মুসাফা (হ্যান্ডশেক) করা।
খাবারের ব্যবস্থা: নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সফর থেকে ফিরে তাঁর সাথীদের জন্য খাবারের ব্যবস্থা করতেন। (বুখারী)
সফরের পূর্বে পরামর্শ: সফরের আগে অভিজ্ঞ লোকদের সাথে পরামর্শ করা এবং দু'রাকাত ইস্তেখারার নামাজ পড়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া।
তাড়াতাড়ি ফেরা: কাজ শেষে দেরি না করে তাড়াতাড়ি সফর থেকে চলে আসা।
রাতে না ফেরা: রাতের বেলা ঘরে ফেরার চেষ্টা না করা ভালো।
মসজিদে নামাজ: সফর শেষে নিজ ঘরে প্রবেশের পূর্বে নিকটতম মসজিদে দু'রাকাত নফল সালাত আদায় করা মুস্তাহাব।
গুরুত্বপূর্ণ বিষয়:
মুসাফিরের জন্য নামাজের কসর করা আল্লাহর পক্ষ থেকে এক ধরনের উপহার। তাই এই উপহার গ্রহণ করা ওয়াজিব বা সুন্নতে মুয়াক্কাদা।
যদি কোনো ব্যক্তি কোনো স্থানে গিয়ে ১৫ দিন বা তার বেশি থাকার নিয়ত করে, তাহলে সে সেখানে মুকিম বলে গণ্য হবে এবং তাকে পূর্ণ নামাজ পড়তে হবে ও রোজা রাখতে হবে।
এই বিধানগুলো মুসাফিরের জন্য আল্লাহ তা'আলার পক্ষ থেকে সহজতা ও রহমতস্বরূপ, যাতে তারা সফরের কষ্ট সত্ত্বেও ইবাদত পালনে সক্ষম হয়।