বন্ধুরা এই ভিডিওটি ভালো লাগলে অবশ্যই লাইক কমেন্ট ও শেয়ার করুন🌻ও আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে হলে💐
🏵️🌹🌺প্রতিবাদী """""""""
{{বিধানের একটি গল্প))
১.
আমার বন্ধু কাইয়ুম প্রায় সময়ই আমার কাপড় পরে ওর প্রেমিকার সাথে ঘুরতে যায়। শত হলেও বন্ধু মানুষ, তাই মুখের উপর না করতে কেমন রগে টান খায়। আবার আমার নতুন কাপড়গুলো পরে নোংরা করছে এটাও মানতে পারছিলাম না। রাতে যে কাপড়টা ঘুছিয়ে রাখি সকালে অফিসে পড়ে যাব বলে, ঘুম থেকে উঠে দেখি কাইয়ুম সেটা পরে বেড়িয়ে গেছে। কিছু বলতে গেলে হেসে বলে, বন্ধুর জন্য বন্ধু জান দিতে পারে আর তুই সামান্য কাপড় দিতে পারবি না? কী করা যায় এমনটাই ভাবতে শুরু করলাম। আন্ডার প্রবলেম, তাই সমস্যার কথা কাউকে বলতে পারছিলাম না। আমাদের এলাকার ভাঙা ব্রিজের নিচে আতিক তান্ত্রিক থাকে। পাবলিক তাকে আতিক পাগলা বলেই ডাকে। কানের ভলিয়্যুম বাড়িয়ে রাখলে শোনা যায় আতিক পাগলা অনেক মন্ত্র-তন্ত্র জানে। সে বিভিন্ন সমস্যার সমাধান দেন। বাধ্য হয়ে আতিক তান্ত্রিকের কাছে যাব বলে ঠিক করলাম। সন্ধ্যা হবে হবে এমন সময় পাগলা আতিকের দরবারে গিয়ে হাজির হলাম। সামনে বড় করে সাইনবোর্ডে লেখা—আতিক তান্ত্রিক, যাবতীয় রোগের সমাধান করা হয়, ২৪ ঘণ্টা সার্ভিস দিয়ে থাকি। কোনোরকমে তান্ত্রিকের সামনে গিয়ে দাঁড়ালাম। আমার দিকে ট্যারা দৃষ্টিতে তাকিয়ে বলল, ‘প্যান্টের চেইনটা ভালো করে লাগা। দোকানপাট সবি তো খুইলা রাখছত।’ তান্ত্রিকের কথায় আমার মাথা ভন ভন করতে লাগল। সাহস নিয়ে তাকিয়ে দেখি সত্যি, তাড়াহুড়া করতে গিয়ে প্যান্টের চেইন লাগতেই ভুলে গেছি! চেইন লাগাতে গিয়ে দেখি, প্যান্টের চেইনই নষ্ট, তারমানে কাইয়ুম প্যান্টের চেইন নষ্ট করে ফেলছে। মনে মনে এক হাজার একটা বকা দিয়ে আতিক পাগলার সামনে গিয়ে বললাম, ‘কাগু, আমি তো আন্ডার প্রবলেমে পড়েছি।’ আতিক পাগলা আমার দিকে তাকিয়ে বলল, ‘বাংলা বল, আমার আবার ইংরেজি বোঝার ক্ষমতা নাই।’ আমি ঠাণ্ডা সুরে বললাম, ‘মানে আমার বন্ধু, আমার কাপড়-চোপড় পরে নষ্ট করে ফেলে, ‘না’ করলেও শোনে না।’ আতিক পাগলা মুচকি হেসে বললেন, ‘পাঁচশো এক টাকা আগে বাক্সে ফেল।’ আমি কুইকলি ফেললাম। তারপর আবার আমার দিকে এক চোখে তাকাল। ‘যা, কালকে রাইতে আসবি, তোর জন্য স্পেশাল দাওয়া বানাইতে হইব।’ ‘ঠিক আছে তান্ত্রিক বাবা।’ বের হওয়ার সময় একজন ভক্তকে জিজ্ঞেস করলাম, ‘উনি এক চোখে তাকান কেন?’ ভক্ত রেগে বলল, ‘বাবা এক চোখে ঘুমাচ্ছে, আর এক চোখ দিয়ে সার্ভিস দিচ্ছে।’ মারাত্মক কথা, এক চোখে ঘুমায়!
২.
পরদিন যথাসময় হাজির হলাম। আতিক পাগলা একটা পলিথিনে কী যেন পেঁচিয়ে আমার হাতে দিয়ে বলল, ‘এই জিনিসটা তোর প্যান্ট আর শার্টের মধ্যে দিয়ে রাখবি। খবরদার চোখ খুলে দিবি না, চোখ বন্ধ করে দিবি। তুই যদি দেখে ফেলিস তাহলে ওষুধে কাজ হবে না।’ আমি তাড়াতাড়ি বাসায় চলে এলাম। এবার কাইয়ুম পাগলারে জব্দ করতে হবে। আমার জামাকাপড় পরে বহুত ফুটানি করছে। কিন্তু পলিথিনের মধ্যে জিনিসটা কী? যাক এত কিছু ভাবার দরকার নেই। বাবা বলেছে এটা দেখলে কাজ হবে না। চিন্তা করে দেখলাম, কাইয়ুম এখন ঘরে এসে আমার লুঙ্গি পড়বে, তাই একটা লুঙ্গি আর গেঞ্জি বের করে চোখ বন্ধ করে তার মধ্যে জিনিসটা দিয়ে দিলাম। মনে মনে কললাম, ‘লও ঠ্যালা এইবার কাইয়ুম ভাঙ্গু।’ অনেক খাটাখাটনি করে আমার অবস্থা খারাপ, গোসল করা দরকার। বাথরুমে ঢুকে এক জগ পানি ঢালতেই কারেন্ট চলে গেল। শালায় এই দেশের লোডশেডিংয়ের কোনো নিয়ম-কানুন নেই। ঠিক সেই মুহূর্তে দরজায় কে যেন নক করল। প্রথমে ভাবলাম কাইয়ুম আসছে। দরজায় নক করার শব্দ বাড়তেই লাগল। বাথরুম থেকে চিত্কার করে বললাম, ‘কে?’ ‘আমি।’ ‘আমি কে?’ ‘সেতু।’ সেতু মানে তো বাড়িওয়ালার মেয়ে। খাইছে, বাড়িওয়ালার মেয়ে লোডশেডিংয়ের সময় কী চায়। তাড়াতাড়ি অন্ধকারে কাপড় পরতে গিয়ে কোন লুঙ্গি পড়লাম নিজেও জানি না। দরজায় খুলতেই সেতু বলল, ‘আব্বায় কইছে ভাড়া দিতে।’ আমি কিছু একটা বলতে যাচ্ছিলাম, ঠিক সেই মুহূর্তে চুলকানি শুরু হলো। আমার লাফালাফি দেখে বাড়িওয়ালার মেয়ে বলল, ‘ভাড়া চাইছি, নাচতে তো কই নাই।’
হায় হায় সর্বনাশ, আমি তো বাবার ওষুধ দেওয়া লুঙ্গি পরে ফেলছি। এ রকম চুলকানি তো বাপের জন্মে দেখি নাই। তখন আর চুলকানি ছাড়া মাথায় কিছু আসছিল না। ঘরের ভেতর আমার লুঙ্গি ড্যান্স চলছিল। বাড়িওয়ালার মেয়ে ভাবল—আমাকে বুঝি ভূতে ধরেছে। তাই ভয়ে ‘ভূত ভূত’ বলে চিত্কার করে পালাল। চুলকাইতে চুলকাইতে আমার অবস্থা যায় যায়। কিছুক্ষণ পর কাইয়ুম এসে দেখল আমি চুলকাইন্না ড্যান্স করছি। ও হেসে বলল, ‘দোস্ত তুই তো হেভি ট্যালেন্ট, মিউজিক ছাড়াই ড্যান্স করতাছোত।’ আমার দাপাদাপি শুনে বাড়ির সব ভাড়াটিয়ে এসে হাজির। একজন গেছে হুজুর ডাকতে, আমার ভূত ছাড়াবে। ঘটনা তিল থেকে তাল হয়ে গেল। ঘণ্টাখানেক বাদে চুলকানি কমলে, শান্ত হয়ে বসলাম। মনে মনে তান্ত্রিক বাবার গুষ্টি উদ্ধার করছি। হুজুর এসে আমাকে শুকনা মরিচ শুকাতে লাগল। এত করে বললাম, ‘ভূত-টুত কিছু না, তারা বিশ্বাসই করছে না। কোনো রকমে অন্ধকারে গেঞ্জি একটা নিয়ে পালালাম। এখানে থাকলে নিশ্চিত ঝাড়ুর বাড়ি খেতে হবে। রাস্তা নেমে এসে হাঁপাতে লাগলাম। তান্ত্রিকরে হাতের কাছে পেলে কিক মেরে আফ্রিকা পাঠিয়ে দিতাম। ঠিক সেই মুহূর্তে শরীরে আবার চুলকানি শুরু হলো। খাইছে লুঙ্গির পর এবার ভুলে ওষুধ দেওয়া গেঞ্জি পরে ফেলেছি। আবারও ননস্টপ চুলকানি শুরু।💮💐🌹🌺
🌺যোগাযোগ করতে পারেন নিচে একটি ফেসবুকের লিংক দেওয়া আছে 🌺🌻🌼
🌴🌻🌺🌷🌲🏵
/ bidan.dos
Информация по комментариям в разработке