চেকের মামলায় খালাস প্রাপ্তির উপায়/মিথ্যা চেকের মামলায় কি করবেন?/How to acquit the check case?

Описание к видео চেকের মামলায় খালাস প্রাপ্তির উপায়/মিথ্যা চেকের মামলায় কি করবেন?/How to acquit the check case?

মোবাইল ফোনের মাধ্যমে আইনি পরামর্শ পেতে ০১৭১৬-৮৫৬৭২৮ নম্বরে ৫১০ টাকা বিকাশ করে পরামর্শ নিতে পারবেন। সরাসরি সাক্ষাৎ করে আইনী পরামর্শ নিতে চাইলে ০১৭১৬-৮৫৬৭২৮ নম্বরে ১৫৩০ টাকা বিকাশ করে সাক্ষাতের সময়সূচি জেনে নিয়ে নির্ধারিত সময়ে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র (যদি থাকে) নিয়ে চেম্বারে আসতে হবে। ঠিকানা: ব্যারিষ্টার দোলন এন্ড এ্যাসোসিয়েটস, প্রেস্টিজ হোমস (১ম তলা), চিটাগাং হোটেলের সামনে, সেগুনবাগিচা, ঢাকা। অথবা প্রামাণিক ল’ চেম্বার, জজ কোর্ট চত্ত্বর, কুষ্টিয়া। This Channel does not promote and encourage any illegal content, illegal activities. The aim and objects of this channel is to create a law-conscious population.

বন্ধুরা আজ চেকের মামলায় আসামীর বাঁচার উপায়সমূহ নিয়ে আলোচনা করব। আসামী যদি সেই বিষয়গুলো আদালতে প্রমাণ করতে পারে, তাহলে মাননীয় আদালত আসামীকে চেক ডিসঅনার মামলায় খালাস দিতে বাধ্য। প্রমাণের বিষয়গুলো কি কি-সে বিষয়ে আইনী আলোচনা করতে আমি। একটি কেস ষ্টাডিতে জানা যায়, আসামী ব্যবসায়িক কারণে বাদীর নিকট থেকে নয় লক্ষ কুড়ি হাজার টাকা ধার গ্রহণ করেন। এরপর টাকা পরিশোধে চেক দেন। সেই চেকটি ব্যাংক থেকে ডিসঅনার হয়েছে। বাদী আদালতে মামলা করে দিলেন। সেই মামলায় আসামী পক্ষে ডিফেন্স নিতে গিয়ে দেখা গেল যে, দিন, ক্ষণ, তারিখ, সময়, টাকা লেনদেনের স্থান, সাক্ষীদের উপস্থিতি এসব কোন কথায় বাদির নালিশী আরজিতে উল্লেখ নেই। এমনকি বাদী জবানবন্দীতেও এ কথাগুলো বলেন নাই। এনআই এ্যাক্ট মামলা প্রমাণের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় হাতিয়ার নোটিশ প্রাপ্তির বিষয়। আসামীর উপর নোটিশ জারী ১৩৮ ধারার মামলার পূর্ব শর্ত, ব্যর্থতায় আসামী খালাস পাবে।
এ মামলায় ১। আসামী কর্তৃক লিগ্যাল নোটিশ প্রাপ্ত হওয়ার কোন তারিখ উল্লেখ করেননি, ২। নোটিশ প্রাপ্তির প্রমাণস্বরুপ প্রাপ্তি স্বীকার মাননীয় আদালতে সাবমিট করতে পারেন নাই, ৩। ফেরত খামও আদালতে উপস্থাপন কিংবা নালিশী আরজিতে উল্লেখ করতে পারেন নাই, ৪। পোষ্ট মাষ্টারের কোনরুপ প্রত্যয়নপত্রও সাবমিট করতে পারেন নাই। এ বিষয়ে উচ্চতর আদালতের একটি সিদ্ধান্ত রয়েছে ৩৯ বিএলডি পেজ নং-২২২। সেখানে বলা হচ্ছে যে, আসামীর উপর নোটিশ জারীর বিষয়ে কোন সন্দেহ সৃষ্টি হলে এবং যদি লক্ষ্য করা যায় যে, আসামী ইচ্ছাকৃতভাবে নোটিশ উপেক্ষা করে নাই, তাহলে ১৩৮ ধারার পূর্বশর্ত পরিপালনে ব্যর্থতার কারণে আসামী খালাস পাবে। কারণ ১৩৮ ধারার (১) উপধারার প্রোভাইশো (বি) তে বলা হয়েছে, আসামী কর্তৃক নোটিশ প্রাপ্তির তারিখ থেকে ৩০ দিন সময় দিতে হবে। যদি আসামী নোটিশ প্রাপ্ত না হয়, সেই প্রাপ্তির তারিখ জানার সুযোগ আছে কি-না? এই ৩০ দিনের সময় না দিয়ে যদি মামলা দায়ের করা হয় তাহলে বাংলাদেশের সংবিধানের ৩১ অনুচ্ছেদের মৌলিক অধিকার পরিপন্থী। এবার এনআই এ্যাক্টের তামাদি বিষয়ে আলোচনা করব। তামাদির মেয়াদ এ আইনের ১৪১(বি) ধারায় ধার্য্য করা হয়েছে। ফৌজদারী কার্যবিধির ২২১ ধারার ৫ উপধারায় বলা হয়েছে যে, অভিযোগ গঠনের সময় অপরাধ সংগঠনের আইনানুগ সকল উপাদান অভিযোগে থাকতে হবে। যদি নালিশী দরখাস্তে আসামী কর্তৃক নোটিশ প্রাপ্তির তারিখ উল্লেখ না থাকে, সেই তারিখ থেকে ৩০ দিন সময় না দেয়া হয়, সেই ৩০ দিন অতিবাহিত হওয়ার পর পরবর্তী ৩০ দিনের মধ্যে মামলা করা না হয়, তাহলে ১৩৮ ধারার চেক ডিসঅনারের অপরাধ সংগঠনের ০৩টি উপাদানের অনুপস্থিত থাকবে বলে তা অপরাধ সংগঠনে ব্যর্থ হবে। অনেক সময় রাষ্ট্রপক্ষ থেকে জেনারেল ক্লজেস এ্যাক্ট এর ২৭ ধারার বিধান তুলে ধরে কিছু লেইম এক্্রকিউজ উপস্থাপন করা হয়। চেক ডিসঅনারের অপরাধের ক্ষেত্রে জেনারেল ক্লজেস এ্যাক্ট এর ২৭ ধারার বিধান প্রয়োজ্য হবে কি-না? দ্যা জেনারেল ক্লজেস এ্যাক্ট প্রনীত হয়েছে ১৮৯৭ সালে আর দ্যা নেগোসিয়েবল ইনষ্ট্রমেন্ট এ্যাক্ট প্রনীত হয়েছে ১৮৮১ সালে।
১৬ বছর আগে জন্ম হয়েছে এনআই এ্যাক্টের। আর দ্যা জেনারেল ক্লজেস এ্যাক্ট এর ২৭ ধারা বলছে যে, এই ধারার বিধানাবলী কার্যকরী হবে দ্যা জেনারেল ক্লজেস এ্যাক্ট চালু হওয়ার পর থেকে। এ বিষয়ে ৬৪ ডিএলআর ২৫৫ পাকায় উচ্চ আদালতের একটি দারুন সিদ্ধান্ত রয়েছে। এবার আসি নোটিশ জারির বিষয়ে অনুমান প্রতিষ্ঠিত করার ক্ষেত্রে ডাক পিওনকে পরীক্ষা করার বিষয়ে কি বলা আছে। ভারতীয় সুপ্রিম কোর্ট ৭ এসসিসি ৫১০ পৃষ্ঠায় বলছেন বাদী ডাক পিওনকে আদালতে পরীক্ষা করে নোটিশ জারির বিষয় ২৭ ধারার অধীন সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এবার আসি নোটিশ জারি হয়েছে প্রমাণের দায়িত্ব কার? নোটিশ যে জারি হয়েছে তা প্রমাণের দায়িত্ব একমাত্র বাদীর। এ বিষয়ে ৬০ ডিএলআর ৬৭৭ পৃষ্ঠায় উচ্চ আদারতের একটি দারুন সিদ্ধান্ত রয়েছে। আবার চেকটি অনেক সময় ব্ল্যাংক চেক হয়ে থাকে। ঋণ প্রদানের আগেই কিছু ব্ল্যাংক চেক নেয়া হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে বোম্বে হাইকোর্ট ২০১০ সালের ডিসিআর ২ নং ভলিউমের ৩১৭ পৃষ্ঠায় একটি দারুন সিদ্ধান্ত দিয়েছেন।
হাইকোর্ট বলছেন, ঋণ প্রদানের আগে জামানত স্বরুপ হিসেবে ব্ল্যাংক চেক গ্রহণ করা হলে তা কোন দায়-দেনার অস্তিত্ব সৃষ্টি করে না বিদায় তার দ্বারা চেক ডিসঅনারের মামলা দায়ের করা যায় না। আবার জালিয়াতির মাধ্যমে অর্জিত চেক দিয়ে পক্ষদের মধ্যে কোন দায়দেনার অধিকার সৃষ্টি করে না বলে উচ্চ আদালাতের সিদ্ধান্ত রয়েছে। (এআইআর ১৯৭৫ অল ১০৪)। আবার চেকের উপর ওভাররাইটিং থাকলে কিংবা টে¤পারিং করে তর্কিত চেকের টাকার অংক পরিবর্তন করলেও আসামী খালাস পাবে। এক্সেত্রে ভারতের পাঞ্জাব এবং হরিয়ানা হাইকোর্ট ২০১০ সালে ডিসিআর ১ নং ভলিউমের ১০৮ পৃষ্ঠায় একটি দারুন সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। আবার আসামীর স্বাক্ষর, টাকার অংক এবং পেয়ীর নাম ভিন্ন হাতের লেখা হলে এনআই এ্যাক্টের ৩ (ই) ধারার বিধান অনুসারে এটাকে ইস্যুয়েন্স অব চেক বলা যাবে না। সেই চেক আইনানুগভাবে বৈধ হবে না। এ বিষয়ে ৫৬ ডিএলআর ৬৩৬ পৃষ্ঠায় একটি দারুন সিদ্ধান্ত আছে। সাধারণ উপরোক্ত বিষয়গুলো প্রমাণ করতে পারলেই চেক ডিসঅনারের মামলায় আসামীর খালাস পাওয়া সম্ভব।
#law_tips_bd
#chequebouncecase
#Cheque_dishonor_case
#N.I._Act_case
#negotiableinstrument
#চেকের মামলা

Комментарии

Информация по комментариям в разработке