Скачать или смотреть যে ২টি ভবিষ্যতবানী করার কারণে রিমান্ড ও জেলে মুফতি কাজি ইবরাহীম || Mufti Kazi Ibrahim || Holy Vabna

যে ভবিষ্যতবানী করার কারণে কারাবরণ করলো মুফতি কাজি ইবরাহীম || Holy Vabna

আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহ । যে ২টি ভবিষ্যতবানী করার কারণে জেলে যেতে হলো মুফতি কাজি ইবরাহীম হুজুরকে । আজকের এই ভিডিওটিতে এই সম্পর্কে আলোচনা হবে । তাই শেষ পর্যন্ত দেখতে থাকুন ।

মুফতি কাজী ইব্রাহিম হুজুর বিভিন্ন সময়ে স্বপ্নের আলোকে ভবিষ্যৎবাণী করেন । যার অনেকগুলো বাস্তব হলেও, অনেকগুলো ভবিষ্যৎবাণী নিয়ে তিনি সমালোচিত হয়েছেন ।

গত দুই সপ্তাহের দুই জুমার(শুক্রবার) খুতবায়, হুজুর আরও দুটি ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন । আর এই দুটি ভবিষ্যৎবাণী তার জন্য বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে । যার জন্য তাকে কারাবরণ করতে হলো । হুজুরের এই ভবিষ্যদ্বাণী গুলো ছিল তার স্বপ্নের আলোকে । তিনি সেগুলো স্বপ্নে দেখেছেন বলে জানিয়েছেন ।

সেই জুম্মার খুতবায় তিনি বলেছেন, আমি বাংলাদেশে এক ইউসুফের ঘ্রান পাচ্ছি । তবে তিনি কাকে ইউসুফ বলতে চেয়েছেন তা স্পষ্ট করে বলেননি । তার নাম তিনি খুতবায় জানাননি ।

আপনারা যারা পবিত্র কুরআনের সূরা ইউসুফ করেছেন তাঁরা জানেন । নবী ইউসুফ আঃ এর পিতা ছিলেন ইয়াকুব আঃ । একদিন ইউসুফ আঃ তার পিতাকে তার স্বপ্নের ব্যাপারে বললেন ।

পবিত্র কুরআনে মহান আল্লাহ তাআলা বলেন, যখন ইউসুফ তার পিতাকে বলল, হে আমার পিতা! আমি (স্বপ্নে) এগারটি নক্ষত্র, সূর্য এবং চন্দ্র দেখলাম; দেখলাম ওরা আমাকে সিজদাহ করছে ।

(পিতা ইয়াকূব) বলল, হে আমার পুত্র! তোমার স্বপ্ন-বৃত্তান্ত তোমার ভাইদের নিকট বর্ণনা করো না, করলে তারা তোমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করবে। শয়তান তো মানুষের প্রকাশ্য শত্রু। (সূরা ইউসুফ ৪-৫)

তারপর ইউসুফ আলাই সাল্লাম কে তার ভাইয়েরা কুয়ায় ফেলে দেয় । তারপর সেখান থেকে তাকে তুলে নিয়ে একদল কাফেলা তাকে বিক্রি করে দেয় । তারপর জুলেখার ঘটনাটি আপনাদের সবার জানা আছে । তারপর ইউসুফ আলাইহিস সালামকে কারাগারে পাঠানো হয় । দীর্ঘদিন কারাগারে থাকার পর তিনি এক স্বপ্নের ব্যাখ্যা দিয়ে কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে ছিলেন । ইউসুফ আঃ কে নির্দোষ ঘোষণা করা হয় এবং পরবর্তীতে তিনি রাষ্টীয় ক্ষমতা পেয়েছিলেন ।

অনেকেই ধারণা করছেন, হুজুর ইউসুফ আলাই সালাম এর আগে ঘটনার দাঁড়া বাংলাদেশের মাওলানা সাঈদীকে তিনি ইঙ্গিত করেছেন । তিনি দীর্ঘদিন ধরে কারাগারে রয়েছেন । যদিও মুফতি কাজী ইব্রাহিম হুজুর তার বক্তব্যে কারও নাম উল্লেখ করেননি ।

এছাড়াও তিনি বাংলাদেশ এক নতুন দল ক্ষমতায় আসার ইঙ্গিত দিয়েছেন ।

ইউসুফ আলাই সাল্লাম দীর্ঘদিন জেলে থাকার পর যখন তিনি অপবাদ মুক্ত হলেন…..

পবিত্র কুরআনে এসেছে, রাজা বলল, ইউসুফকে আমার কাছে নিয়ে এস, আমি তাকে আমার একান্ত সহচর নিযুক্ত করব। অতঃপর রাজা যখন তার সাথে কথা বলল, তখন বলল, আজ তুমি আমাদের কাছে মর্যাদাবান ও বিশ্বাসভাজন।

সে(ইউসুফ) বলল, আমাকে দেশের কোষাধ্যক্ষ নিযুক্ত করুন। নিশ্চয়ই আমি সুসংরক্ষণকারী, সুবিজ্ঞ।

এইভাবে আমি ইউসুফকে সেই দেশে প্রতিষ্ঠিত করলাম; সে ঐ দেশে যেখানে ইচ্ছা অবস্থান করতে পারত। আমি যাকে ইচ্ছা তার প্রতি দয়া করে থাকি। আর আমি সৎকর্মপরায়ণদের শ্রমফল নষ্ট করি না। (সূরা ইউসুফঃ ৫৪-৫৬)

মিসরে ইউসুফ আঃ কে আল্লাহ তাআলা কিভাবে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন….সেটা জানতে আপনাদেরকে অবশ্যই সূরা ইউসুফ পড়ার জন্য অনুরোধ করছি ।

ইউসুফ আঃ এর এই ঘটনাটিকে মূলত মুফতি কাজী ইব্রাহিম হুজুর একজন ইউসুফের ঘ্রান পাচ্ছি বলে পুরো বিষয়টির প্রতি ইঙ্গিত করেছেন । খুব সম্ভবত হুজুর তার এই কথাগুলো দিয়ে বাংলাদেশের কোন ইসলামী দলকে ক্ষমতায় যাওয়ার প্রতি ইঙ্গিত করেছেন । ক্ষমতায় যেতে কত বছর বা কতদিন লাগবে এ বিষয়গুলো নিয়ে স্পষ্ট করেননি ।

আর তার এই ভবিষ্যদ্বাণী তার জন্য কাল(জেলে যাওয়ার কারণ) হয়ে দাঁড়িয়েছে ।
যাইহোক সময় বলে দেবে তার এই ভবিষ্যদ্বাণী সঠিক কিনা ।
মহান আল্লাহতালা আমাদের সবাইকে রক্ষা করুন এবং মহান আল্লাহ তায়ালা আমাদের ভুল ত্রুটিগুলো ক্ষমা করে দিন ।(আমিন)