নাস্তিক ও ইসলামবিদ্বেষীদের প্রতি জবাব!
আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাঃ বলেনঃ
“নিকটতম আসমান ও যার তার কাছে তার মধ্যকার দূরত্ব পাঁচশত বছর, প্রতি আসমানের দূরত্ব পাঁচশত বছর, সপ্তম আসমান ও কুরসীর দূরত্ব পাঁচশত বছর, কুরসী থেকে পানির দূরত্ব পাঁচশত বছর, আর ‘আরশ পানির উপর, আল্লাহ তা'আলা 'আরশের উপর, তবে তিনি জানেন তোমাদের অবস্থা, যার উপর তোমরা আছ।”
সহীহ, ইবন খুযাইমাহ, আত-তাওহীদ ১০৫; দারেমী, আর-রাদ্দু আলাল জাহমিয়্যাহ, ৬২; আবুশ শাইখ জ আযামাহ; আল-লালেকাঈ, শারহু উসূলি ই'তিক্বাদি আহলিস সুন্নাতি ওয়াল জামা'আহ (৩/৩৯৬); ই কাইয়্যেম, ইজতিমা'উল জুয়ূশ ১০০।
অপর হাদীসে রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেনঃ“তোমরা কি জান, আসমান ও যমীনের দূরত্ব কত? সাহাবায়ে কেরাম বললেন, না। আল্লাহর শপথ আমরা জানি না। রাসূল বললেন, এ দুয়ের মধ্যে দূরত্ব হয় এক, না হয় দুই অথবা তিন ও সত্তর বছর, আর তার উপরে থাকা আসমানও অনুরূপ দূরত্বে, এভাবে রাসূল সাত আসমান গুনে বর্ণনা করলেন। তারপর বললেন, সাত আসমানের পরে একটি সমুদ্র রয়েছে যার উপর ও নিচের দূরত্ব এক আসমানা থেকে আরেক আসমানের দূরত্ব। তার উপর রয়েছে আটটি বন্য ছাগল, যাদের খুর ও হাঁটুর মাঝখানের দূরত্ব এক আসমান ও অপর আসমানের মাঝখানের দূরত্বের মতো। তারপর এদের পিঠে রয়েছে ‘আরশ; যার উপর ও নিচের মধ্যকার দূরত্ব এক আসমান ও আরেক আসমানের মাঝখানের দূরত্বের মতো। আর আল্লাহ এর উপর।”(৮২)
সহীহ। তিরমিযী, হাদীস নং ৩৩২০; ইবন মাজাহ, হাদীস নং ১৯৩; আহমাদ, আল-মুসনাদ (১/২০৭); আবু দাউদ, হাদীস নং ৪৭২৩; দারেমী, আর-রাদ্দু আলা বিশর আল-মারীসী, ৪৮৮; আজুররী, আশ-শ ২৯৩; লালেকাঈ, আস-সুন্নাহ (৩/৩৯০); ইবন আবী আসেম, আস-সুন্নাহ (১/২৫৩); ইবন খুযাইমাহ, যা তাওহীদ ১০১; ইবন মানদাহ, আত-তাওহীদ (১/১১৭)। জাওযাকানী হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন (১৯) অনুরূপ ইবন তাইমিয়্যাহ তার ফাতাওয়ায় এটিকে সহীহ বলেছেন (৩/১৯২); ইবনুল কাইয়্যেম, তাহি সুনানে হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন (৭/৯২);
ঈমাম ইবনুল কাইয়্যেম রহঃ তার তাহযীবুস সুনান গ্রন্থে বলেনঃআসমান থেকে আসমানের দূরত্ব এ হাদীসে বর্ণিত হয়েছে, ৭১ বছর অথচ অপর হাদীসে
পাঁচশত বছর, এর মধ্যে সামঞ্জস্য বিধান হচ্ছে, এটি সফর কীভাবে করা হচ্ছে সেটার
উপর নির্ধারিত হবে। যদি উটে সফর করে তবে ৫০০ বছর আর যদি দ্রুতগামী ঘোড়ায় হয় তবে তা হয় যাবে ৭১ বছর।
Информация по комментариям в разработке