Скачать или смотреть অন্তরাত্মা শীতল করা সুরেলা কন্ঠে সূরা হাশরের শেষের তিন আয়াত তেলাওয়াত শুনুন ও শিখুন।

সূরা হাশরের শেষ তিন আয়াতের অর্থ হলো আল্লাহর একত্ববাদ, তাঁর গুণাবলী এবং সৃষ্টিকর্তা ও রিজিকদাতা হিসেবে তাঁর মহত্ত্ব প্রকাশ করা। এই আয়াতগুলো পাঠ করলে আল্লাহ তাআলা পাঠকারীর জন্য ৭০ হাজার ফেরেশতা নিযুক্ত করেন যারা সন্ধ্যা পর্যন্ত তাঁর জন্য রহমতের দোয়া করেন। যে ব্যক্তি এই আয়াতগুলো সকালে তিলাওয়াত করে মারা যায়, সে শহীদের মর্যাদা লাভ করে, এবং সন্ধ্যায় পড়লেও একই সওয়াব পাওয়া যায়।
সূরা হাশরের শেষ তিন আয়াতের অর্থ
আয়াত ২২: তিনি আল্লাহ, যিনি ব্যতীত কোনো উপাস্য নেই; তিনি অদৃশ্য ও দৃশ্যের পরিজ্ঞাতা। তিনি পরম করুণাময়, পরম দয়াময়।
আয়াত ২৩: তিনিই আল্লাহ, তিনি ব্যতীত কোনো উপাস্য নেই। তিনিই মালিক, তিনিই পবিত্র, তিনিই শান্তি, নিরাপত্তাবিধায়ক, তিনিই রক্ষক, তিনিই পরাক্রমশালী, তিনিই প্রবল, তিনিই অহংকারের অধিকারী। ওরা যাকে শরিক করে আল্লাহ্ তার থেকে পবিত্র, মহান।
আয়াত ২৪: তিনিই আল্লাহ, সৃজনকর্তা, উদ্ভাবনকর্তা, রূপদাতা, সব সুন্দর নাম তাঁরই। আসমান ও জমিনের সবকিছু তাঁরই তাসবিহ (পবিত্রতা ঘোষণা) করে এবং তিনি পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়।
সূরা হাশরের শেষ তিন আয়াত পাঠের ফজিলত
শহীদের মর্যাদা: যে ব্যক্তি সকালে এই আয়াতগুলো পাঠ করার পর মারা যায়, সে শহীদের মর্যাদা লাভ করে। সন্ধ্যায় পড়লেও একই সওয়াব পাওয়া যায়।
ফেরেশতাদের রহমতের দোয়া: এই আয়াতগুলো পাঠ করলে আল্লাহ তাআলা ৭০ হাজার ফেরেশতা নিযুক্ত করেন, যারা সন্ধ্যা পর্যন্ত পাঠকারীর জন্য রহমতের দোয়া করতে থাকেন।
নিরাপত্তা ও বরকত: সকাল-সন্ধ্যায় এই আয়াতগুলো পাঠ করলে মানুষ দুনিয়া ও আখিরাতে নিরাপত্তা, সুরক্ষা এবং বরকত লাভ করে।
আল্লাহর সুন্দর নাম: এই আয়াতগুলোতে আল্লাহর অনেক সুন্দর নাম (আসমাউল হুসনা) উল্লেখ করা হয়েছে, যা পাঠের মাধ্যমে আল্লাহর মহত্ত্ব ও তাঁর সুন্দর নাম সম্পর্কে জানা যায়।