।। বৃশ্চিক রাশির ভালো থাকার উপায় ।।
।। আমার প্রিয় বৃশ্চিক রাশি, সব সময় মনে করেন একদম ভালো নেই, কোনো বন্ধু নেই, নেই কোনো ভালো বাসার, খবর নেওয়ার মানুষ, অথচ নিজের প্রয়োজনে যে কেউ আপনাকে কাছে টেনে নেওয়ার নাটক করে, আবার প্রয়োজন মিটে গেলে না চিনতে পারার ভান করে । আবার আপনার জিনিসটা ই চাই, যদি আপনি না দেন তাহলে আপনাকেই কাঠগরায় দাড় করায় আর সেখানে আপনি ই দোষী প্রমানিত হন ।।
এবার সময় এসেছে এগুলো থেকে বেরিয়ে আসার । এর জন্য কিছু নিয়ম কে আপনার কঠোর ভাবে মেনে চলতে হবে , মানে স্নান-খাওয়া, অফিসে যাওয়া, কাজের জায়গা তে যাওয়া এই রকম আর কি ।
।। যদি সত্যি মেনে চলতে পারেন তাহলে খুবই উপকৃত হবেন ।।
একটা কথা মনে রাখবেন সব সময় ; ভালো থাকা এবং ভালো রাখা একটা অভ্যেস-এর ব্যাপার, এর জন্য কিন্তু অক্লান্ত পরিশ্রমের প্রয়োজন আর যাদু হয় না, যাদু তৈরী করতে হয়।
প্রথমেই নিজের যত্ন নেওয়া, নিজেকে নিয়ে ভাবা, নিজেকে ভালো রাখা, নিজেকে ভালো বাসা, নিজের আবেগ কে নিজের বশে রাখা, বক্তা নয় শ্রোতা হবো আর অন্যের জীবন, অন্যের জিনিস, অথবা ওর হলো আমার হলো না কেন এই ধরনের মন্তব্য থেকে দূরে থাকব। কারো থেকে কিছু চাইব না , আশা করবো না, জ্ঞানোত কোনো অন্যায় করবো না । আর নিজের সব ভালো জিনিস লুকিয়ে রাখবো বুদ্ধি করে, মানে বুঝতে হবে কার থেকে লুকিয়ে রাখতে হবে স্বযত্নে । এটা কিন্তু আপনাকেই করতে হবে পরিস্থিতি নির্ভর করে , কি ভাবে, কেমন করে সেটা একটু চোখ-কান খোলা রাখলেই বুঝতে পারবেন ।
উদাহরণস্বরূপ বলতে পারি আমার এই চ্যানেল অথবা ভিডিও গুলির লিঙ্ক আমি কোথাও শেয়ার করি না ।। আমার ইউটিউব পরিবার ছাড়া আর কেউ জানেন ও না যে আমি এমন একটা কাজ ভালোবেসে করি ।।
আর একটা কথা মনে রাখতে হবে ।। অন্ত ই আরম্ভ ।। মানে প্রতি টি পদে বৃশ্চিক রাশির মানুষ দের কিছু বোঝার আগেই সব কিছু শেষ হয়ে যায় আবার নতুন করে সব শুরু করতে হয় ।।
তাই নিজে থেকে কিছু শেষ করতে যাবেন না । কোনো কাজকে মাঝখানে ছেড়ে দেবেন না । মনে রাখবেন যত বাধা-ই আসুক আপনাকে এগিয়ে যেতে-ই হবে, পিছিয়ে যাওয়ার কোনো উপায় নেই যা হওয়ার হবে , সব কিছু ওপর ওলা বুঝে নেবে ।
দেখুন বলা যত সহজ করা ততটাই কঠিন । কিন্তু সেই কঠিন কাজ টাই যদি করতে পারেন তাহলে আপনি সত্যি ই ভালো থাকবেন । আবেগ কে বশে রাখতে আর মাথা ঠান্ডা রাখতে হবে।।
চোখের জল কে স্বযত্নে লুকিয়ে রাখবেন, তাহলে অন্য কেউ আপনার দুর্বল জায়গা টা জেনে সেখানে আঘাত করতে পারবে না ।।
এখন থেকে নিয়ে আগামী 2-3 মাস ঝগড়া করবেন না, কেউ যদি আপনার সঙ্গে চেষ্টা করে আপনি বোকার মতো দেখে চলে আসবেন যদি গায় হাত দেওয়ার চেষ্টা করে তাও চলে আসবেন।
তারপর একটা পাত্রে খানিকটা পরিস্কার জল নিয়ে নিজের সব খারাপ লাগা টুকু বলে জল টা কোনো গাছের গোড়ায় ঢেলে প্রকৃতির থেকে আশীর্বাদ আর তার সহ্য ক্ষমতার খানিকটা চেয়ে নেবেন ।।
যতটা সম্ভব বাচ্চা দের সঙ্গে সময় কাটানোর চেষ্টা করুন, 16-25 বছরের ছেলে-মেয়ে দের সমালোচনা না করে তাদের বন্ধু হতে চেষ্টা করুন তবে শ্রোতা হিসাবে ।।
রোজ নিয়ম করে আধঘন্টা ধ্যান করতে হবে মনকে সংযত করার জন্য ।
মনে রাখবেন শনির সাড়ে সাতি, ঢাইয়া, দশা, মহাদশা, অন্তর দশা এগুলো আপনা কে তৈরি করে ।
শনিদেব মানুষের জীবনে একজন মূর্তি কারের কাজ করেন । যে পাথরে ছেনি হাতুড়ির আঘাত করা যায় না, তা-দ্বারা মূর্তি ও তৈরি হয় না ।।
সেজন্য পাথর থেকে মূর্তি তৈরি হওয়ার প্রস্তুতি আজ থেকেই শুরু হোক ।
দেখুন চলার পথে অনেক কাঁটা থাকবে আর খুব ধীরে-সুস্থে সেগুলো থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে এগিয়ে চলতে হবে ।।
এগুলো একদিনে ই হবে না এর জন্য প্রচুর অধ্যাবসায় আর মনোসংযোগের প্রয়োজন ।। ভালো থাকবেন আর ভালো রাখবেন ।।
মনে রাখবেন সর্ব শক্তিমান সর্বদা আপনাদের আশীর্বাদ করছেন ।।
।। যদি আমার এই বার্তা র মাধ্যমে আপনার কিছু মাত্র উপকার হয় আমার খুব ভালো লাগবে, আর জানার ইচ্ছে ও রইল ।।
Информация по комментариям в разработке