দিনাজপুরের কোন লিচু ভালো?কোন জাতের লিচু গাছ প্রতিবছর ফলন দেয়?

Описание к видео দিনাজপুরের কোন লিচু ভালো?কোন জাতের লিচু গাছ প্রতিবছর ফলন দেয়?

দিনাজপুরের সবথেকে ভালো লিচু চারা কোনটি? প্রতিবছর ফলন দেয় এমন লিচু চারা নিতে যোগাযোগ করুন আমাদের সাথে।
দিনাজপুরের বেদানা জাতের লিচু গুণে, মানে ও বৈশিষ্ট্যে সেরা। দিনাজপুরের বিভিন্ন উপজেলায় কমবেশি এ লিচুর চাষ হলেও দিনাজপুর সদর উপজেলার মাশিমপুর, শিকদারগঞ্জ, মহব্বতপুর, উলিপুর গ্রামে উত্কৃষ্ট মানের বেদানা লিচু পাওয়া যায়।

যেকোনো লিচুর চেয়ে বেদানা লিচুর মিষ্টতা ও শাঁসের পরিমাণ সবচেয়ে বেশি। অন্যান্য জাতের লিচুর শাঁসের পরিমাণ যেখানে ১৯ শতাংশ, সেখানে বেদানা জাতের লিচুর শাঁসের পরিমাণ সর্বচ্চো ২৮ শতাংশ। আকারে গোলাকার, এ লিচুর রঙ গোলাপি, এর বীজ ছোট, রসাল। খোসা পাতলা। অন্য জাতের লিচুর খোসা খুললে লিচুর রস মাটিতে বা শরীরে গড়িয়ে পড়ে কিন্তু বেদানা লিচুর খোসা ছাড়ানোর পর রস মাটিতে বা শরীরে পড়ে না। অনন্য এসব বৈশিষ্ট্যের কারণে বেদানা লিচুর জনপ্রিয়তা ও চাহিদা দেশের সর্বত্র।

দিনাজপুরের লিচু

দিনাজপুর জেলা লিচুর জন্য বিখ্যাত। এ জেলায় বাংলাদেশের সেরা লিচু উৎপন্ন হয়। এ জেলায় বিভিন্ন জাতের লিচু উৎপন্ন হয়, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- মাদ্রাজী, বোম্বাই, বেদানা ও চায়না-৩। নিম্নে দিনাজপুর জেলার লিচু চাষ বিষয়ে সংক্ষিপ্ত তথ্য উপস্থাপন করা হলো।

৮ মিটার × ৮ মিটার কিংবা ১০ মিটার × ১০ মিটার ব্যবধানে চারা বপন করতে হবে। গর্তের আকার: ১ মিটার × ১ মিটার × ১ মিটার হওয়া প্রয়োজন। চারা রোপণের ১০–১৫ দিন আগে গর্ত তৈরি করতে হবে এবং সার ও মাটি মিশিয়ে গর্তটি ভরাট করতে হবে। চারা বপণের সময় সাবধানে চারাটি গোড়ার মাটিরবল সহ গর্তের মাঝামাঝি সোজাভাবে লাগাতে হবে।

দিনাজপুর জেলায় লিচু আবাদের তথ্য

লিচু চাষের আওতায মোট জমি  ১৫০০ হেঃ  ( ৩৭০৫ একর)

মোট লিচু গাছের সংখ্যা

গড়ে ১ শতক জমিতে ১টি গাছ

গড়ে ১হেঃ জমিতে ২৪৭টি গাছ

১৫০০ হেঃ জমিতে ৩,৭০,৫০০ টি গাছ

লিচুর ফলনঃ-

 গড়ে প্রতি গাছে ৪০০০ টি লিচু ( অন ইয়ার )

১৫০০ হেঃ (৩,৭০,৫০০ গাছ) ফলন ১৪৮,২০,০০০ টি

 

লিচুর মূল্যঃ-

(২০১২ ইং ) 

 

ক্রমিক নং

     জাত

 আগাম মুল্য (প্রতি ১০০টির)

নাবী মূল্য (প্রতি ১০০টির )

মন্তব্য

১।

মাদ্রাজী

২০০/-

৪০০/-

আগাম

২।

বোম্বাই

২০০/-

৪০০/-

মধ্যম

৩।

বেদানা

৭০০/-

১১০০/-

মধ্যম নাবী

৪।

চায়না - ৩

৬০০/-

১১০০/-

 নাবী

২০১২ ইং সালে ১৪৮,২০,০০০ লিচুর গড় মূল্য = ৩৭০ কোটি টাকা

উৎপাদনে / পরিচর্যা খরচ:

সার , নিড়ানী , সেচ ও বালাই নাশক এর একত্রে খরচ (গড় খরচ ) ৩৫,০০০/-

সব খরচ বাদে এক একরে গড়ে লাভ ৩,০০,০০০/- টাকা

 

জাত ভিত্তিক লিচুর উৎপাদনঃ-

মাদ্রাজী = ৩০%

বোম্বাই =৩৯%

বেদানা = ৫%

চায়না =২৫ %

কাঠালী বোম্বাই ১%

 

স্থান ভেদে লিচুর ব্যবহার

মোট উৎপাদনের প্রায় ২০% জেলায় ব্যবহার হয়

বাকী ৮০% দেশের বিভিন্ন স্থানে যায়                                                                                          

লিচুর ভাল ফলন পেতে সময় ভিত্তিক করনীয়

সময়

করনীয় কাজ

           বাস্তবায়ন পদ্ধতি

 জুন - জুলাই

১।  ফল সঙগ্রহের পরপর ডাল ছাটাই / কর্তন/ গুটি কলম করা ।

 

২। জলাবদ্ধতা না হতে দেয়া।

১। ফল সংগ্রহের পরপর ডালের ১৫ - ২০ ভাগ ডাল ছাঁটাই করা । সরাসরি ছাঁটাই না করে গুটি কলম করলে ডাল ছাঁটাই এর কাজ করা হয়।

২। গোড়ায পানি যেন না জমে তার ব্যবস্থা নেয়া।

 

আগষ্ট - সেপ্টেম্বর ও মার্চ - এপ্রিল

১। সার প্রয়োগ

 

২। ডলোচুন ব্যবহার

 

৩। মাকড় দমন 

১। অতি ফলন্ত গাছের গোড়ায় ৫০ কেজি কম্পোষ্ট , ২ কেজি পচাখৈল, ২কেজি  ইউরিয়া , ১ কেজি টিএসপি, এবং .৫০০ গ্রাম্এমওপি এবং .৫০০ গ্রাম জিপসাম গাছের গোড়া থেকে কমপক্ষে ৩/৪ ফুট দুরে মাটির সাথে মিশিয়ে দেয়া।

২। প্রতি গাছের গোড়ায় ১০০ গ্রাম ডলোচুন গ্রযোগ করা।

৩। গাছের পাতা বাদামী রঙ এর হয়ে কোকড়ানো এই ডাল/ পাতা অপসারন করে সালফার জাতীয় মাকড় নাশক ৭দিন পরপর ২বার প্রয়োগ করা।  

অক্টোবর - নভেম্বর

১। মুকুল আসা নিশ্চিত করন।

১। মুকুল আসা নিশ্চিত করনে পিজিআর / পসল উজ্জিবন (হরমন ) প্লনোকিক্স / ইথরেল/ বেফালন আনুমোদিত মাত্রায় ২ মাসে ২বার ডাল ও পাতায় স্প্রে করা।

২। ভাল ফলন  রোধে সেচ বন্ধ রাখা । 

ডিসেম্বর

১। আগাছা নিযন্ত্রন

২। মাকড় দমন

১। গোড়া পরিস্কার ও কোপানো ।

২। ২/৩ বার মাকড় নাশক ( থিওভিট / রনভিট / কুমুলাক্স )  স্প্রে করা। 

জানুয়ারী - ফেব্রয়ারী

১। মুকুর বের হওয়া থেকে ফুল ফোটা পর্যন্ত।

১। এক্রোবেট এম জেট / কনট্রাফ ছত্রাকনাশক পরিমিত মাত্রায স্প্রে করা । এনথাকনোজ রোগ দমনের জন্য এগুলি ছাড়া  আদ্র ও কুয়াশা যুক্ত আবহাওয়ায় টপসিন / ট্রিল্ট / ব্যাভিষ্টিন সপ্তাহে ২ বার স্প্রে করা ।

মার্চ- এপ্রিল

ফল ও গাছের অবস্থা সতেজ করার জন্য।

১। অনুখাদ্য ( ভস্ক্রল সুপার / ওকোজিম / ক্রপপ্লাস ) এই জাতীয দ্রব্যাদি অনুমোদিত মাত্রায় প্রয়োগ করা্

২। কচি ফল অবস্থায় চক পাউডার ২ গ্রাম ও বোরিক এসিড ২ গ্রাম প্রতি লিটার পানিতে মিশিযে স্প্রে করা।

৩। সাইপার মেথ্রিন জাতীয় কীটনাশক ২ বার স্প্রে করা।

মে

১। ফলের অবস্থা পরিবর্তন করার জন্য ।

১। ধারাবাহিক ভাবে সেচ দেয়া।

২। ফল ছিদ্র কারী পোকা দমনে ডায়জিনন / লেবাসিড/ সুমিথিযন স্প্রে করা । 

https://www.facebook.com/profile.php?...

ইউটিউব লিংক
   / @mdmamur1408  

ফেসবুক পেইজ লিংক
https://www.facebook.com/foodParadise...

মোবাইল
01717525876
#দিনাজপুরেরলিচু #দিনাজপুর

Комментарии

Информация по комментариям в разработке