Скачать или смотреть পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর শুভ উদ্বোধন Paira Thermal Power Station

দেশের বৃহৎ ১৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর শুভ উদ্বোধন
Hon'ble Prime Minister inaugurated the country's largest 1320 MW Pigeon Thermal Power Station
Paira Tap Biddut Kendro 1320 Megawatt PM
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সোমবার 21-3-22 পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় আসছেন। তিনি দেশের বৃহৎ ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র উদ্বোধন করবেন। পটুয়াখালী জেলা প্রশাসন প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে সব প্রস্তুতি শেষ করেছে।
পায়রা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র
বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র কোথায় অবস্থিত
পায়রা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র কোন নদীর তীরে অবস্থিত
ভেড়ামারা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র উইকিপিডিয়া
তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র কয়টি
তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র নিয়োগ
নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি পায়রা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র
পায়রা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে নিয়োগ ২০২১
দেশের ৫০ বছরের ইতিহাসে কম সময়ে এমন বড় অবকাঠামো নির্মাণ করার ঘটনা দেখা যায়নি। পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৬৬০ মেগাওয়াট ক্ষমতার প্রথম ইউনিট উৎপাদনে আসে ২০২০ সালের ১৩ জানুয়ারি। আর দ্বিতীয় ইউনিট উৎপাদন শুরু করে একই বছরের ২৬ আগস্ট। প্রায় ৪৮ মাস (৪ বছর) পরে এই প্রকল্পের নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। কিন্তু করোনা মহামারি পরিস্থিতিতে এতদিন কেন্দ্রটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়নি। বাংলাদেশে এটাই প্রথম নির্ধারিত সময়ের আগেই কাজ শেষ করার নজির স্থাপন করেছে পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র। এই প্রকল্পের ব্যয় বা মেয়াদ বাড়েনি, বরং এ প্রকল্পে সাশ্রয় হয়েছে। পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ বিশ্বের ১৩ তম দেশ হিসেবে আলট্রাসুপার ক্রিটিক্যাল টেকনোলজি ব্যবহারকারী দেশের তালিকায় নাম উঠালো। এ কেন্দ্রে আলট্রাসুপার ক্রিটিক্যাল টেকনোলজি ব্যবহার করা হয়েছে, যা পরিবেশ বান্ধব সর্বাধুনিক প্রযুক্তি। এটি ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতার এই বিদ্যুৎকেন্দ্র। দেশে উৎপাদনে আসা বিদ্যুৎকেন্দ্র গুলোর মধ্যে পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রটি সবচেয়ে বড়। এটি নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছিল ২৪৭ কোটি মার্কিন ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২১ হাজার কোটি টাকা। ব্যয় হয়েছে ২৩০ কোটি ডলার (প্রায় ১৯ হাজার ৫৫০ কোটি টাকা)। কিন্তু পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র নিয়ে পরিবেশবাদীদের অভিযোগ রয়েছে যে, কয়লার ব্যবহারের কারণে এটি পরিবেশের ক্ষতি করবে। বছরে ৪০ লাখ টন কয়লা ব্যবহার করা হবে এ কেন্দ্রে। পায়রা তাপবিদুৎ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী তারিক নূর (অপারেশন এটাচ) জানান, প্রকল্পের মেয়াদ ছিল ৬ বছর, কিন্তু ৩ বছরের মধ্যে বিদুৎ উৎপাদন করে জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হচ্ছে। বর্তমানে এ কেন্দ্র থেকে উৎপাদিত বিদ্যুৎ ন্যাশনাল গ্রিড লাইনে গোপালগঞ্জ-ফরিদপুর-ভেড়ামাড়ার মাধ্যমে জাতীয় গ্রিডের ওয়ের্স্টান গ্রিডে সংযুক্ত হচ্ছে। যার মধ্যে বরিশাল বিভাগের জেলাগুলো ছাড়া ওয়েস্টার্ন গ্রিডের মাধ্যমে খুলনা বিভাগেও বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে। বরিশাল বিভাগে বর্তমানে বিদ্যুতের চাহিদার ১০০০ মেগাওয়াট বিদুৎ সরবরাহের পাশাপাশি খুলনা বিভাগের চাহিদার ২০০০ মেগাওয়াটের মধ্যে বাকি বিদ্যুৎ এখান থেকে সরবরাহ করা হচ্ছে। পরবর্তীতে পদ্মা রিভার ক্রসিং টাওয়ারের কাজ শেষ হলে তা ইস্টার্ন গ্রিডেও সরবরাহ করা হবে। পায়রা ১৩২০ মেগাওয়াট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদিত বিদ্যুৎ, জাতীয় গ্রিডে সরবরাহের জন্য পটুয়াখালীর পায়রা থেকে পটুয়াখালী সদর হয়ে গোপালগঞ্জ জেলার মকসুদপুর উপজেলা পর্যন্ত আগেই ১৭৬ কিলোমিটার দীর্ঘ ডবল সার্কিটের হাইভোল্টেজ বিদ্যুৎ লাইন টানা হয়েছে। এর মাধ্যমে বর্তমানে বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু রয়েছে। এ ছাড়াও গোপালগঞ্জ গ্রিড থেকে ঢাকার আমিন বাজার পর্যন্ত সঞ্চালন লাইন নির্মাণের কাজ চলছে। পিডিবি সূত্রে জানা গেছে, ডিজেল দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদনে ইউনিটপ্রতি ব্যয় প্রায় ৩০ টাকা, ফার্নেস তেলে ১৪ টাকা ও কয়লায় ৭৮ টাকা। সবচেয়ে কম ব্যয় গ্যাসে, ইউনিটপ্রতি ৪ টাকার মতো। সার্বিকভাবে দেশে এখন গড় বিদ্যুৎ উৎপাদন খরচ ইউনিটপ্রতি সাড়ে ৮ টাকার মতো। দেশের ক্রমবর্ধমান বিদ্যুৎ চাহিদা মেটাতে সরকার এক দশক আগে বেশ কয়েকটি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করে। সূত্র অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চীন সফরের সময় ২০১৪ সালে এই বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ চুক্তি সই হয়। পরে গঠিত হয় বাংলাদেশ-চায়না পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড। যৌথ উদ্যোগের এই কোম্পানির ব্যবস্থাপনায় পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের কাজ পায় চীনের ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান এনইপিসি ও সিইসিসি কনসোর্টিয়াম। ১১৪ পটুয়াখালী-৪ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব অধ্যক্ষ মহিবুবুর রহমান মহিব (এম,পি) সাংবাদিকদের বলেন, দক্ষিণাঞ্চলের উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রীর ভূমিকা কোনো দিন ভোলার নয়। তাই সফল রাষ্ট্রনায়ক প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার আগমনে কলাপাড়া, রাঙ্গাবালী ও মহিপুরের মানুষ আনন্দিত। উক্ত উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানিবিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, বিদ্যুৎ সচিব হাবিবুর রহমান, ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন।