কংসাবতী বা কাঁসাই নদী তীরবর্তী পশ্চিম মেদিনীপুরের একটি ছোট গ্রাম হল পাথরা। ইতিহাসবিদ ও পুরাতত্ত্ববিদরা এই গ্রামকে 'মন্দিরময় পাথরা' নামে উল্লেখ করেছেন। এ বঙ্গের বুকে প্রান্তিক এই ছোট্ট গ্রামটিতে অনেকগুলি মন্দির প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, যার সঠিক সংখ্যা আজ আর জানা যায়না! কিছু মন্দির চলে গিয়েছে কংসাবতী গর্ভে। তবে বর্তমানে পাথরায় জীর্ণ ও অক্ষত অবস্থায় ৩০-৩৫টি মন্দির রয়েছে। গঠনরীতির দিক দিয়ে এখানকার মন্দিরগুলি অভনবত্বের দাবি রাখে। চালা, রত্ন, দালান, দেউল, মঞ্চ - সবধরণের রীতির মন্দির শিখতে পাওয়া যায় এখানে।
বাংলার নবাব আলীবর্দী খাঁর সময় (শাসনকাল ১৭৪০-১৭৫৬ খ্রীস্টাব্দ) বঙ্গের অবিভক্ত মেদিনীপুর জেলার পাথরা গ্রামটি রতনচক পরগনার অন্তর্ভুক্ত ছিল। সেই সময়ে বাংলা-বিহার-উড়িষ্যার নবাব বা সুবেদার ছিলেন আলীবর্দী খাঁ। তাঁর তত্ত্বাবধানে ছিল কয়েক হাজার পরগনা। তার মধ্যে এই রতনচক পরগনার নায়েব ছিলেন বিদ্যানন্দ ঘোষাল। ওনার কাজ ছিল প্রজাদের থেকে খাজনা আদায় করে সেরেস্তায় জমা করা ও পরে তা নবাবের কাছে পৌঁছে দেওয়া। কিন্তু বিদ্যানন্দ তাঁর গুরুদেবের কথায় সেবামূলক কাজে ব্রতী হয়ে খাজনার অর্থ বিভিন্ন ধর্মীয় ও সাধারণ মানুষের উন্নয়নমূলক কাজে ব্যায় করতে শুরু করেন। মন্দির তৈরি ছিল তার মধ্যে অন্যতম কাজ। কিন্তু নায়েব হিসেবে বিদ্যানন্দ নিজের দায়িত্ব পালন করেননি এবং ফলস্বরূপ নবাবের বিরাগভাজন হন। শাস্তি হিসেবে তাঁর হাত-পা বেঁধে মাঠের মধ্যে পাগলা হাতির সামনে ফেলে দেওয়া হয়। কিন্তু সেই হাতি বিদ্যানন্দের কোনো ক্ষতি না করে পরপর তিনবার পাশ কাটিয়ে চলে যায়। এই সংবাদ নবাবের কানে পৌঁছলে নবাব বিদ্যানন্দকে দেকে পাঠান এবং শাস্তি মকুব করে তাঁকে রতনচক পড়্গণাটি দান করে দেন।
যাঁকে বাদ দিয়ে পাথরার বৃত্তান্ত অসম্পূর্ণ থেকে যায়, তিনি হলেন ইয়াসিন পাঠান মহাশয়। পাথরার ইতিহাস, মন্দিরগুলির সংরক্ষণ, বাংলার মানচিত্রে মন্দিরময় পাথরার যুক্ত হওয়া সম্ভব হয়েছে পাথরার প্রাণপুরুষ তথা পাথরা পুরাতত্ব সংরক্ষণ কমিটির সম্পাদক ইয়াসিন পাঠানের জন্য। মন্দির রক্ষায় তাঁর ভূমিকা অনস্বীকার্য। একজন মুসলিম হয়ে হিন্দুদের ধর্মস্থান রক্ষায় তাঁর বহু বছরের লড়াই ও কর্মকান্ডের স্বীকৃতি স্বরূপ ভারত সরকার তাঁকে 'কবির' পুরস্কার প্রদান করেন।
Pathra is a village of temples on the bank of the river Kangsabati. Pathra is situated at a distance of about 135 km from Kolkata. From Medinipur and Kharagpur railway station, Pathra is just 13 km and 17 km away respectively. One can stay at Gopegarh Eco-Tourism Centre, which is just 13 km from Pathra temple complex.
Online booking website of Gopegarh Eco-Park: https://www.wbsfda.org/
Double-bedded AC Room: ₹ 1000 (per night)
Double-bedded Non-AC Room: ₹ 500 (per night)
Dormitory Room (10 beds): ₹ 100 (per head per night)
►YouTube channel: TRAVEL with PAL
/ travelwithpal
►Instagram: @travelwithpal
►Facebook page: Travel with Pal
/ mytravelscape
►Telegram: TRAVELwithPAL
https://t.me/travelwithpal
-----------------------------------------
►Facebook group: Wanderlust ভ্রমণপিপাসু বাঙালী
/ 558954564475717
-----------------------------------------
Follow me on Google Map as Level 8 Local Guide:
https://maps.app.goo.gl/kofFZzWEyr8bt...
Music courtesy: Bensound, YouTube music library
#travelwithpal #pathravillage #paschimmedinipur #pathrabangla #templevillage #gopegarh #gopegarhecopark
Pathra bangla, pathra village, pathra west midnapore, pathra paschim medinipur, temple village pathra, pathra west bengal, mondirmoy pathra, pathra west medinipur, pathra gram, poschim mednipur pathra gram, how to reach pathra, kolkata to paschim medinipur, kolkata to pathra, mandirmoy pathra, historical place, heritage, travel with pal, khirai bangla, tourist places in paschim medinipur, pathra temple village, old temples in india, মন্দিরময় পাথরা, পাথরা, Yeasin Pathan
Информация по комментариям в разработке