মূর্তিভাঙা প্রকল্প : মহিউদ্দিন মোহাম্মদ । অডিওবুক @olyyoulislam
#philosophy #audiobook #bengaliaudiobook #education #mohiuddinmohammad #olyyoulislam
মূর্তিভাঙা প্রকল্প ! Most Powerful book Murtivanga Prokolpo ! Popular book in bangla Murtivanga Prokolpo ! Bengali philosophy book Murtivanga Prokolpo ! Most Powerful writer in bangladesh Mohiuddin Mohammad ! Bangladeshi writer Mohiuddin Mohammad ! MOHIUDDIN MOHAMMAD other books are আধুনিক গরু-রচনাসমগ্র, টয়োটা করোলা,ভোর হলো দোর খোলো খুকুমণি ওঠো রে, দার্শনিক রচনাবলী ১ : গরুটি আছে কি না? #asadnoor asad noor, মহিউদ্দিন মোহাম্মদ লেখক
আরে, মূর্তিভাঙ্গা প্রকল্প?
নাহ, এই মূর্তিটি কোন দেবতা বা দেবীর প্রতিনিধিত্ব করার জন্য নয়। এটা অনেকটা মানুষের মানসিকতার/অপধারণার দেয়ালের মতো যা লেখক ভাঙতে চান। লেখক আগেই সর্তকবাণী দিয়ে শুরু করেছিলো যে এই বইয়ে মিসরিডিং হওয়ার চান্স বেশি, (মিসরিডিং- ভুল পাঠ। যেখানে পাঠক অথবা লেখক, যেকোনো একজনের, অথবা উভয় জনের, ভাষা ও বুদ্ধির সীমাবদ্ধতার কারণে কোনো লেখার পাঠোদ্ধার হয়।)
বইটি চারটি গল্পের সমন্বয়ে রচিত।
কর্ণফুলির গান
লোকের জঙ্গল
দর্শন কি?
পশু নয়, ফলমূল
কর্ণফুলীর গান ৬২ টি ছোট ছোট মতবিরোধি লেখা নিয়ে।
সবচেয়ে ভালো লেগেছে লোকের জঙ্গল যেখানে লেখক দেখিয়েছেন মিডিওকার রা কেন শত্রু। অজ্ঞতা এবং বুদ্ধিহীন বিদ্যা যে একই মুদ্রার দুটি দিক সেটি নিয়ে ভালোই আলোচনা করেছেন।
দর্শন কি? তে লেখক লিখেছেন দর্শন কেন প্রয়োজন, কেন তা বিলুপ্তির পথে।
সবচেয়ে বোল্ড লেখা বলতে গেলে পশু নয়, ফলমূলে। যেহেতু ধ্যান ধারণা কম এ বিষয়ে তাই কিছু বলার নেই এদিক আমার।
পরিশেষে, মহিউদ্দিন মোহাম্মদের রচনাগুলি আমাদের পূর্ব ধারণাকে চ্যালেঞ্জ করার এবং আমাদের দিগন্তকে প্রসারিত করার ক্ষেত্রে সাহিত্যের শক্তির প্রমাণ হিসাবে কাজ করে। অপ্রচলিত বিষয়গুলির অন্বেষণের মাধ্যমে, তিনি আমাদের নিজেদের বিশ্বাসকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য চাপ দিয়েছেন এবং মানব মনের জটিলতাগুলিকে আলিঙ্গন করতে আমাদের উৎসাহিত করেছেন। যদিও আমরা তার উপস্থাপিত সমস্ত কিছুর সাথে একমত নাও হতে পারি, এই বুদ্ধিবৃত্তিক বক্তৃতার মাধ্যমেই আমরা আমাদের চারপাশের বিশ্ব সম্পর্কে বিকশিত হতে এবং গভীরভাবে উপলব্ধি করতে পারি। যাইহোক, এই বিষয়টিতে জোর দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ যে এই বই সম্পূর্ণ সত্য বা ব্যক্তিগতভাবে নেওয়ার জন্য নয়। তিনি তার নিজস্ব চিন্তাভাবনা এবং মতামত উপস্থাপন করছেন, এবং এটি সম্পূর্ণভাবে সম্ভব যে পাঠকরা তার যুক্তিগুলির সাথে নিজেদের দ্বিমত পোষণ করতে পারেন। তবুও, এটি দৃষ্টিভঙ্গির বৈচিত্র্য এবং ভিন্ন ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গির সাথে জড়িত থাকার ইচ্ছা যা বিশ্ব সম্পর্কে আমাদের বোঝাপড়াকে সমৃদ্ধ করে এবং বুদ্ধিবৃত্তিক বৃদ্ধিকে উৎসাহিত করে।
যে-বুদ্ধিজীবী জনগণের কাছে প্রিয়, তাকে সন্দেহের চোখে দেখতে হবে। জনগণকে মুগ্ধ করা, জনগণের সমীহ আদায় করা, এগুলো বুদ্ধিজীবীর কাজ নয়। এগুলো যাদুকর, পীর-দরবেশ, ও পুঁথিজীবীর কাজ। এ দেশে দুই ধরনের লোককে বুদ্ধিজীবী বলা হয়। এক- যিনি জনগণের মগজ খেয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন। দুই- জনগণ যার মগজ খেয়ে সুখনিদ্রা যায়। কিন্তু যিনি মগজ সৃষ্টি করেন, নষ্ট মগজ মেরামত করেন, বা সমাজের ময়লায় ঢেলে দেন অবলীলায় সাবান, তাকে এ অঞ্চলে বুদ্ধিজীবী ডাকা হয় না। বুদ্ধিজীবী এখানে তিনি, যিনি জনগণ যা শুনতে চায় তা শোনাতে পারেন। জনগণ যা দেখতে চায়, তা দেখাতে পারেন। যা বললে জনগণের ঘুম ভেঙে যায়, যা উচ্চারণ করলে কেঁপে ওঠে স্থিতাবস্থা, তা মুখে আনা থেকে বিরত থাকাই বুদ্ধিজীবীতা। অর্থাৎ জনতা মনে করে - বুদ্ধিজীবী একপ্রকার ঘুমের বড়ি, যার কাজ সারাক্ষণ নির্বোধদের মাথায় পালক বুলিয়ে দেয়া।
Информация по комментариям в разработке