Скачать или смотреть জবা ফুলের চা (hibiscus flower tea)। ভেষজ গুনে ভরপুর জবা ফুলের চা মাত্র ২ মিনিটে তৈরী করুন।

জবা শুধু সৌন্দর্যেই অনন্য নয়, ভেষজ গুণেও সমৃদ্ধ। আমাদের চারপাশে বিচিত্র রঙের যেসব জবা দেখা যায়, সেগুলো থেকে আমরা নানাভাবে উপকৃত হতে পারি। মাত্রাতিরিক্ত প্রস্রাব হলে এক চা চামচ পরিমাণ জবাগাছের ছালের রস পানিসহ পাঁচ-সাত দিন খেলে উপশম হবে। অতিরিক্ত খাওয়ার পর অস্বস্তি বা বমি বমি ভাব হলে চার-পাঁচটি জবা ফুল বেটে বা চটকে শরবত করে খেলে বমি হয়ে অস্বস্তি দূর হবে। নারীদের অনিয়মিত মাসিকের ক্ষেত্রে এক গ্রাম দারুচিনির সঙ্গে দুই-তিনটি পঞ্চমুখী জবার কুঁড়ি বেটে শরবত করে পাঁচ-সাত দিন খেলে মাসিক স্বাভাবিক হয়ে যাবে। তবে শারীরিক অন্য কোনো সমস্যা থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। আবার অতিস্রাবেও ঢেঁকিছাঁটা আতপ চাল ধোয়া পানিতে দুটি পঞ্চমুখী ফুলের  কুঁড়ি বেটে শরবত করে পাঁচ-সাত দিন খেলে স্বাভাবিক হয়। চুল, দাড়ি, গোঁফ বা ভ্রুতে Fungul Infection  বা এলোপেসিয়া এরিয়েটা হলে জবা ফুল বেটে প্রলেপ লাগালে উপকার হবে। চোখের কোণে ক্ষত হয়ে পুঁজ জমলে জবাফুল বেটে চোখের ওপর ও নিচের পাতায় লাগালে উপকার পাওয়া যাবে। তা ছাড়া সাধারণ চর্মরোগে বা হাতের শুকনো চামড়া উঠতে থাকলে লাল জবা হাতের তালুতে দিনে কয়েকবার ঘষলে সেরে যাবে।

জবা (Hibiscus rosa-sinensis) বহু শাখা-প্রশাখা বিশিষ্ট গুল্ম; তিন মিটার পর্যন্ত উঁচু হতে দেখা যায়। জনপ্রিয় এই বাহারি ফুল কিন্তু আমাদের দেশি নয়, জন্মস্থান চীন। আমাদের দেশে এসেছে অনেক আগে। বর্তমানে প্রায় ১৫ থেকে ২০ ধরনের জবা দেখা যায়। তন্মধ্যে ঝুমকো ও লঙ্কা জবা অন্যতম। আধুনিক জিন প্রযুক্তির কল্যাণে বৈচিত্র্যের সীমাবদ্ধতা অতিক্রম করেছে জবা। এখন রঙ আর রূপের শেষ নেই। শুধু প্রাচ্যেই নয়, 'চীনের গোলাপ'খ্যাত জবা ছড়িয়ে পড়েছে পাশ্চাত্যেও। জবা গুল্ম শ্রেণির গাছ। ঝোপাল ও চিরসবুজ। পাতা ৭ থেকে ১২ সে.মি. লম্বা, কিনারা কাটা কাটা। ডালের আগায় একেকটি ফুল, প্রায় সারা বছর ফোটে, তবে গ্রীষ্ফ্ম-বর্ষায় বেশি ফোটে। বোঁটা লম্বা, পাপড়ির মাঝখানে গুচ্ছবদ্ধ পুংকেশরের একটি লম্বা ডাঁটা আছে, আগায় পাঁচটি গর্ভমুণ্ড, সিঙ্গেল বা ডাবল, গন্ধহীন। ফুলের নানা রঙ- লাল, সাদা, পাটকিলে, গোলাপি, হলুদ, কমলা, নীলচে ও নীলচে- বেগুনি। সলিড রঙের পাশাপাশি মিশ্র বর্ণেরও অনেক জবা দেখা যায়।