Скачать или смотреть বাংলাদেশের ইতিহাসের প্রাচীন মসজিদ (১৪৭৯খ্রিস্টাব্দে)( হিজরী ৮৮৪)এই দারসবাড়ী মসজিদটি প্রতিষ্ঠিত 🤔😱

ঐতিহাসিক দারসবাড়ী মসজিদ
বিভিন্ন প্রত্নতাত্ত্বিক সূত্রমতে বাংলাদেশর ঐতিহাসিক সবচেয়ে পুরাতন মসজিদ অবস্থান চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার ছোট সোনা মসজিদের সন্নিকটে মসজিদটির অবস্থান ভারত বাংলাদেশের সীমান্ত সোনামসজিদ স্থল বন্দর থেকে মহানন্দা নদীর পাড় ঘেঁষে প্রায় তিন কিলোমিটার দূরে বাংলাদেশ রাইফেলস এর সীমান্ত তল্লাশি ঘাঁটি অদূরে অবস্থিত দখল দরওয়াজা। দখল দরওয়াজা থেকে প্রায় এক কিলোমিটার হেঁটে আমবাগান এর মধ্য দিয়ে অগ্রসর হয়ে একটি দীঘি পার হয়ে দক্ষিণ-পশ্চিমে ঘোষপুর মৌজায় দারসবাড়ী মসজিদ অবস্থিত পুরুষানুক্রমে স্থানীয় জনসাধারণ এই স্থানকে দারসবাড়ী বলে থাকেন বর্তমানে এই স্থান পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে। দর্শ অর্থ পাঠ সম্ভবত একসময় মসজিদ সংলগ্ন একটি মাদ্রাসা ছিল এখানে। ঐতিহাসিক অনুসন্ধানের সময় মুন্সি এলাহী বক্স কর্তৃক আবিষ্কৃত একটি আরবি শিলালিপি অনুযায়ী (লিপি দৈর্ঘ্য১১ ফুট 3 ইঞ্চি, প্রস্থ 2 ফুট 1 ইঞ্চি) (1479 খ্রিস্টাব্দে) (হিজরী 884)সুলতান শামস উদ্দিন ইউসুফ শাহের রাজত্বকালে তার আদেশক্রমে এই মসজিদ প্রতিষ্ঠিত হয়। ইট নির্মিত এই মসজিদের অভ্যন্তরের আয়তন ক্ষেত্রে দুই অংশে বিভক্ত। এর আয়তন 99.ফুট 5ইঞ্চি,34 ফুট 9ইঞ্চি । পূর্ব পাশে একটি বারান্দা যা 10ফুট 7 ইঞ্চি চওড়া। বারান্দার খিলানে সাতটি প্রস্তর স্তম্ভের উপরে 6টি ক্ষুদ্রাকৃতির গম্বুজ এবং মধ্যবর্তী টি অপেক্ষাকৃত বড় ছিল। উপরের 9 গম্বুজের চিহ্ন বসেষ রয়েছে উত্তর-দক্ষিণে তিনটি করে জানালা ছিল। উত্তর-পশ্চিম কোণে মহিলাদের নামাজের জন্য পোস্ত রম্বের উপরে একটি ছাত ছিলো। এর পরিচয় স্বরূপ এখনো একটি মেহরাব রয়েছে। এতদ্ব্যতীত পশ্চিম দেওয়ালের পাশাপাশি তিনটি করে নয়টি কারুকার্য খছিত মেহরাব বর্তমান রয়েছে । এই মসজিদটি ও বাংলার প্রথম যুগে মুসলিম স্থাপত্যের কৃতির একটি উল্লেখযোগ্য নিদর্শন। এখানে প্রাপ্ত তোগরা অক্ষরে উৎকীর্ণ ইউসুফী শাহী লিপিটি এখন কলকাতা জাদুঘরে রক্ষিত আছে। জেনারেল ক্যানিং হান তার নিজের ভাষাতেই একে দারসবাড়ী বা কলেজ বলেছেন
------------------------------------------------------
আরো বিস্তারিত জানতে যোগাযোগ করুনঃ পর্যটন সেল, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও উপজেলা নিবার্হী অফিসারের কার্যালয়, শিবগঞ্জ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, মোবাইল :01318-320157