"স্বপ্ন আমার" (গল্পের দ্বিতীয় অংশ) ♦️ আমার অনেক স্বপ্ন আমি পালিয়ে বিয়ে করবো

Описание к видео "স্বপ্ন আমার" (গল্পের দ্বিতীয় অংশ) ♦️ আমার অনেক স্বপ্ন আমি পালিয়ে বিয়ে করবো

"স্বপ্ন আমার" (গল্পের দ্বিতীয় অংশ) ♦️ আমার অনেক স্বপ্ন আমি পালিয়ে বিয়ে করবো

নুসরাতের এমন অদ্ভূত কথায় নীলের মাঝে কোন রূপ প্রতিক্রিয়া না দেখে নুসররাত নিজেই হতবাক হলো। কারন আগের বাকি ১১ জন পাত্র সেম এক কথা শুনার ওর তাদের অবস্থা এমন ছিলো যেন পৃথিবীর সব থেকে বড় আশ্চর্য পূর্ণ কথা শুনছে। তাদের ভাব ভনিতা দেখে এমনই মনে হয়েছিল। তবে নীলের মাঝে কোন প্রকার হেলদুল নেই। সে গুরুত্ব সহকারে ফোনের ভিতর কিছু একটা ঘাটছে। মনে হয় পৃথিবীর সমস্ত মহা মুল্যবান কাজ পরে আছে ফোনের ভেতর।

বিরক্তিতে চোখমুখ কুচকে কানের কাছে গিয়ে বেশ জুরেই চিৎকার করলাম, এইযে আমি কিছু জরুরি কথা বলছি আমার কথা গুলো কি আপনার কানে পৌঁছাতে পারছে নাকি? কিছু তো একটা বলুন। নাকি বোবা আপনি কানে শুনতে পারেন না?
এবার আমার কথায় কাজ হলো
সকল নিরবতার অবসান ঘটিয়ে খুব শান্ত ভাবেই বললো
তুমাকে আমার পছন্দ হয়েছে। আর বিয়ে টা আমি তোমাকেই করছি। আর তা তুমি যে ভাবে চাও সে ভাবেই হবে। এতে তোমার আর কোন আপত্তি থাকবে বলে আমার মনে হয় না।

সত্যি আমি যে ভাবে চাই সে ভাবেই আমাকে বিয়ে করছেন? এই এই আমাকে একটা চিমটি দেন না প্লিজ। না মামে আমি স্বপ্ন দেখছি নাকি বাস্তব।
কবুল বলার সময় বুঝতে পারবে বাস্তব নাকি স্বপ্ন। এখন চিমটি কেটে তোমার দিবাস্বপ্ব টা না ভাঙাই ভালো।

কথা গুলো বলে ছাঁদ থেকে হনহনিয়ে নেমে গেল, একবার পিছন ফিরে তাকালো ও না পর্যন্ত। আর ফোন নাম্বার টা পর্যন্ত দিয়ে গেল না। যোগাযোগ করবো কি করে, আমার স্বপ্ন আমার প্ল্যান জানাবে কি করে। ধ্যাত শা*লার জামাই বিয়ের আগেই প্যাড়া দিয়ে চলে গেল

দূর এতো সব ভেবে আমার লাভ নেই। যা হওয়ার,হবে, চিল নুসরাত চিল বলতে বলতে ছাঁদ থেকে নামবো ঠক তখনি ধাক্কা লাগে এক পিচ্চির সাথে। ৪*৫ বছরের হবে, তবে বেশ স্মার্ট মেয়েটা। পরনে জিন্স প্যান্ট আর টপস, মাথার চুল গুলো উচু করে জুটি বাধা। গায়ের রং শ্যামলা, সব বাচ্চারাই মায়াবী হয়, তবে এ মেয়েটা মনে হয় একটু বেশি মায়াবি।

হ্যালো আমি ফারিন, তুমি কি নুসরাত? যদি তুমি নুসরাত হও তো শুনো, পাপ্পা বলেছে রাত ১০ টার পর ফোন করবে। তার আগে বিয়ে নিয়ে তোমার কি কি প্লেন আছে কি ভাবে কি করতে চাও সব মনে মনে ঠিক করতে। এর পর কিন্তু আর কথার নড়চড় করতে পারবে না। আমার পাপা কিন্তু এক কথার মানুষ সো বুঝে শুনে বলো কিন্তু, আর পাপা কিন্তু খুব রাগী সবাই পাপাকে ভয় পায় শুধু আমি ছাড়া। আমি ভয় পাইনা কারন আমার পাপা আমাকে অনেক ভালোবাসে। আর পাপা বলেছে মানুষ যাকে ভালোবাসে তার জন্য সে সব করতে পারে, ভালোবাসার মানুষকে কেউ কষ্ট দিতে পারে না।
পিচ্ছি মেয়েটা কথা গুলো বলে দৌড়ে সিড়ি দিয়ে নামছে,
ঐ এটা তো বলে যাও তোমার পাপাটা কে।
তোমার হবু বর, মি.নীল চৌধুরী আমার পাপা। বায় নিচে সবাই গাড়িতে আমার জন্য উয়েট করছে, আবার দেখা হবে,
বলতে বলতে ফারিন নিমিষেই চোখের আড়াল হয়ে গেল,

মনে হাজারটা প্রশ্ন তাড়া করছে, এ ছোট মেয়েটা নীলকে পাপা কেন বলছে, কে এ মেয়ে। তাহলে কি ঐ বেডা আগে একটা বিয়ে করছিল? তার আগের বউয়ের মেয়ে ফারিন। তবে তার আগের বউ কোথায়, নিশ্চয়ই মেয়ে আর স্বামী রেখে পালিয়ে গেছে। আর যাবেই না বা কেন। ছোট্ট মেয়েটা নিজেই বলে গেল ঐ নীল ফিল নাকি রাগী বদমেজাজি। হয়তো বউয়ের সাথেও রাগ দেখাতো আর অত্যাচার করতো তাই তো এমন কিউট একটা ছোট মেয়ে রেখে আগের বউ চলে গেল,

অহহ এতোখনে বুঝতে পারলাম আমার সব শর্তে রাজি থেকেও কেন আমাকে বিয়ে করতে দ্বিমত করেনি।। এখন সবটা পরিষ্কার আমার চোখের সামনে।

Комментарии

Информация по комментариям в разработке