সুশাস্থের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য গুলো পেতে পেইজে লাইক ও শেয়ার দিয়ে পাশে থাকবেন ।
অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিতে আজই যোগাযোগ করুনঃ
01958316295, 09606213232 | প্রতিদিন (সকাল 11 টা- বিকাল 7 টা)
Visit EW Villa Medica Bangladesh Premier Center
Navana Newbury Place 4/1/A (5th floor), Sobhanbag, Opposite of Rapa Plaza, Dhanmondi 28, Dhaka-1207, Bangladesh
এই গরমে পানিশূন্যতা দূর করার উপায়;
প্রথমত শরীরে যাতে পানির জোগান না কমে, সে দিকে অবশ্যই লক্ষ রাখা উচিত । তাই পানি পানের পরিমানের বিষয়ে নজর দিতে হবে।
খুব একটা বেশি চা-কফি পান করা থেকে বিরত থাকুন। চেষ্টা করুন স্বাস্থ্যসম্মত ফলের সরবত বা ডাবের পানি খাওয়ার।
চাইলে প্রোবায়োটিক সমৃদ্ধ দই খেতে পারেন। এতে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন এবং ক্যালসিয়াম রয়েছে যা আপনার শরীরের 88% পানির চাহিদা পূরণ করবে।
কলার আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এবং মিনারেলস। যা আমাদের দেহের পানিশূন্যতা এবং দুর্বলতাকে কাটিয়ে উঠতে সহায়তা করে।
খেতে পারেন গরমের সময় যে মৌসুমী বিভিন্ন ধরনের ফল পাওয়া যায় তা।
এ সময় বাইরে গেলে অবশ্যই ছাতা, পানির বোতল ও সানগ্লাস সঙ্গে রাখুন।
গরমের কারণে সবচেয়ে বেশি যে সমস্যা হয়, তা হলো পানিশূন্যতা । প্রচুর ঘামের কারণে পানির সঙ্গে শরীর থেকে প্রয়োজনীয় লবণ ও পানি বেরিয়ে যায়। ফলে শরীরের রক্তচাপ কমে যায়, দুর্বল লাগে, মাথা ঝিমঝিম করে। পানিস্বল্পতা গরমে সাধারণ সমস্যা হলেও অবহেলা করলে তা মারাত্মক হয়ে যেতে পারে। বিশেষ করে শিশু, বৃদ্ধ ও অসুস্থ ব্যক্তি, যারা বাইরে কাজ করেন, প্রয়োজনমতো পানি পান করার সুযোগ পান না, তারাই মারাত্মক পানিস্বল্পতায় আক্রান্ত হয়।
এ সময়ে শরীরের কোষ সজীব রাখতে প্রচুর পানি পান করতে হবে। ইলেকট্রোলাইটসের অভাব পূরণ করতে খাবার স্যালাইন খাওয়া যেতে পারে। পানির সাথে অন্যান্য তরল যেমন ডাবের পানি, ফলের রস খাওয়া যেতে পারে।
অবশ্যই বিশুদ্ধ পানি পান করতে হবে।রাস্তার কোন পানীয় গ্রহণ করা স্বাস্থ্যসম্মত নয়।
আগেই বলেছি হিটস্ট্রোক একটি মেডিকেল ইমার্জেন্সি, এর থেকে মৃত্যু পর্যন্ত হয়ে থাকে। তাই আগেই লক্ষন গুলো জানা থাকলে আপনি দ্রুত একশন নিতে পারবেন।
🔺 অতিরিক্ত গরমে ক্লান্তি বা heat exhaustion অতিরিক্ত গরমে প্রায়ই হয়ে থাকে এবং যেকোনো বয়সে যে কারো হতে পারে। এই ক্লান্তি সাধারণত তখন দেখা দেয় যখন আপনার দেহ অতিরিক্ত গরম হয়ে যায় এবং আপনার শরীর নিজেকে ঠান্ডা করার চেষ্টা করতে থাকে। সাধারণত অনেক্ষন রোদের থাকলে, হাটলে, কাজ করলে বা ব্যায়াম করলে এটা হতে পারে। তাপে ক্লান্তি বা heat exhaustion হলে দেহ আপনাকে নিম্নোক্ত লক্ষন গুলো দেখাবে:
🔸 মাথা ঘোরানো বা অজ্ঞান হয়ে যাবেন অনুভব হওয়া
🔸 স্বাভাবিকের চেয়ে অতিরিক্ত ঘাম
🔸আঠালো ত্বক
🔸বমি বমি ভাব
🔸 ম্যাসল বা পেশি ব্যাথা বা টান অনুভব
🔸প্রচন্ড পানির পিপাসা
🔸মাথা ব্যাথা
🔸 দ্রুত শ্বাস প্রশ্বাস
🔸 বাচ্চাদের ক্ষেত্রে ক্লান্তি বা ঘুম ঘুম ভাব
খাবেন:
১। পানি:
পানি আমাদের জীবন এমনি এমনি বলা হয় না, স্বাভাবিক সময়ে আমাদের পানির যে প্রয়োজন থাকে অতিরিক্ত গরমে তার পরিমান আর বেড়ে যায়। একজন সুস্থ মানুষের দিনে ২.৫লিটার পানি পান করার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। আপনি যদি সারাদিন অন্য কোনো পানি জাতীয় ফল বা খাবার না খান তবে অতিরিক্ত গরমে আপনার দেহের চাহিদা অনুযায়ী পানি বাড়িয়ে পান করতে হবে। কোনো ব্যাক্তির যদি বাইরে কাজ করতে হয় বা অনেক লম্বা সময় বাইরে গরমে থাকতে হয় তবে তাকে প্রতি ১৫-২০ মিনিট পর পর ১ কাপ বা ২০০মিলি পানি পান করতে হবে।
আবার, পানি বেশি পানও ভালো নয়। ওভারহাইড্রেশন হলে রক্তে সোডিয়ামের মাত্রা কমে যেতে পারে, কারও আবার শরীর ফুলে যেতেও পারে। কিডনি, যকৃৎ ও হৃদ্রোগীদের চিকিৎসক পানি মেপে খেতে বলেন, সে জায়গায় অতিরিক্ত পানি পান করা বিপজ্জনক হতে পারে। অ্যাথলেট বা খেলোয়াড়েরা প্রচুর ঘামেন, যাতে লবণপানি দুটিই হারায় শরীর, সে ক্ষেত্রে তাঁরা যদি শুধু বারবার পানি পান করেন, তাহলে রক্তে লবণের ভারসাম্যহীনতা হতে পারে।
২। ডাবের পানি:
ডাবের পানি দেহে লবনের, পটাসিয়াম ও অন্যান্য ইলেক্ট্রলাইটের ভারসাম্য ঠিক রাখতে সাহায্য করে। এটি খুবই চমৎকার একটা পানীয়। এই গরমে কোক, সেভেনাপ, সোডা এগুলো বাদ দিয়ে ডাবের পানি পান করুন কারন এই পানীয়জল গুলো আপনার দেহকে আরো ডিহাইড্রেট করে দেয়। তবে যাদের অনেক লো প্রেশার আছে বা কিডনি সমস্যাতে ভুগছেন তারা ডাব পান করবেন না।
৩। শশা:
এই খাবারটির ৯৫% হলো পানি। তাই তীব্র গরমে এর কোনো জুড়ি নেই। আপনি নিয়মিত দুপুরে বা রাতের খাবারে ১কাপ শসার সালাদ রাখুন আপনার শরীর এতে ঠান্ডা থাকবে।
৪। আম:
আমের ৮৮ই শতাংশ পানি। এছাড়াও ভিটামিন এ, সি, পটাসিয়াম, সোডিয়াম সহ ২০টির বেশি খনিজ এতে থাকে তাই গরমে আম একটি ভালো ফল। তবে এর ক্যালরি বেশি থাকে, তাই আপনি ক্যালরি সচেতন হলে বা ডায়াবেটিস, কিডনির রোগী হলে মেপে খাবেন।
৫। লেবু:
গরমে লেবু পানির জুড়ি নেই। লেবু পানি ডিহাইড্রেশন দুর করে খুব সহজেই এবং দেহে পটাশিয়াম ভারসাম্য ঠিক রাখতে সাহায্য করে, ঘামের সাথে দেহ থেকে অনেক প্রয়োজনীয় ঊপাদান বের হয়ে যায় তা ঠিক করতেও লেবু সাহায্য করে। তবে লেবু পানিতে চিনি মেশাবেন না।
৬। এছাড়াও যে খাবার গুলো খাবেন: টমেটো, আনার বা ডালিম, পুদিনাপাতার শরবত, নাসপাতি, ড্রাই ফ্রুটস (কাজুবাদাম, চিনাবাদাম, কাঠবাদাম, কিসমিস, খুরমা), মুগ ডাল
🛑যে খাবার গুলো এখন পরিহার করবেন।
🔺 অতিরিক্ত মশলাযুক্ত খাবার, তেলে ভাজা খাবার (পুরি, সিংগারা, সমুচা, চিকেন ফ্রাই), পোলাও, বিরিয়ানি, তেহারি, কাচ্চি, কষা গরু বা খাসির মাংস, কোক, সেভেনাপ, পেপসি, সোডা, ধুমপান, মদ
✳️এছাড়াও আপনাকে নিম্নোক্ত বিষয়গুলোকে মেনে চলতে হবে:
🔸 অতিরিক্ত সময় ঘরের বাইরে থাকবেন না
🔸 ঠান্ডা বা ছায়াযুক্ত স্থানে থাকবেন
🔸 বাইরে অনেক লম্বা সময় হাটা বা ব্যায়াম করবেন না
🔸 ঢিলেঢালা পোশাক পরুন
🔸 ব্যাগে সবসময় পানি, ছাতা, পাখা রাখুন, ভারী মেকাপ করবেন না
Информация по комментариям в разработке