🔥রান্নাঘরের মেঝের নিচে কী লুকানো ছিল, তা দেখেই শিউরে উঠলেন সবাই!
জেইন ট্যারান্ট ইংল্যান্ডের প্লাইমাউথে একটি ৫০০ বছর পুরোনো কটেজ কিনেছিলেন। জানতেন বাড়িটা পুরোনো, কিন্তু এত ইতিহাস লুকিয়ে ছিল — তা কল্পনাও করেননি।
একদিন রান্নাঘরের টাইল সরাতে গিয়ে মিস্ত্রি হঠাৎ খেয়াল করেন, নিচে ফাঁপা আওয়াজ হচ্ছে।
টাইল তুলতেই বেরিয়ে আসে একটি জং ধরা ট্র্যাপডোর।
ট্র্যাপডোর খুলতেই দেখা যায় — পাথরের সিঁড়ি নিচে নামছে অন্ধকারের দিকে।
জেইন সাথে সাথে ইতিহাসবিদদের ডাকেন।
তারা পরীক্ষা করে জানায় — এটি একটি মধ্যযুগীয় কুয়া, যেখানে খুঁজে পাওয়া গেছে শত শত বছরের পুরোনো কয়েন, আর পাথরের গায়ে খোদাই করা রহস্যময় প্রতীক।
এই চিহ্নগুলো ছিল তথাকথিত “Witch Marks” — যেগুলো বিশ্বাস করা হয়, অশুভ আত্মা তাড়াতে ব্যবহৃত হত।
কিন্তু প্রশ্ন থেকে যায় — কে খোদাই করেছিল এই চিহ্নগুলো? আর কেন এত বছর ধরে এ কুয়াকে গোপন রাখা হয়েছিল?
পরে জানা যায়, এই কুয়াটি প্রায় ৩০ ফুট গভীর। খোদাই করা চিহ্নগুলো মধ্যযুগীয় ইউরোপে প্রচলিত জাদুবিদ্যার প্রতীক, যেগুলো সাধারণত শয়তান বা অশুভ আত্মার থেকে রক্ষা পেতে আঁকা হতো।
এমন চিহ্ন অন্য অনেক পুরোনো গির্জা বা গুহাতেও পাওয়া গেছে।
ইতিহাসবিদদের মতে, ইংল্যান্ডের ধর্মীয় সংস্কারের সময় অনেক গোপন জায়গা ধ্বংস করা হয়েছিল। জেইনের বাড়ির নিচের এই কুয়াও হয়তো তখনই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল।
আরও আশ্চর্যের বিষয়? গ্রামের অনেকেই বছরের পর বছর এই বাড়ি থেকে আলো দেখা যাওয়ার বা অদ্ভুত শব্দ শোনার কথা বলতেন। যেটা আগে কেবল গুজব ভাবা হতো।
এই আবিষ্কারের পর, জেইন সিদ্ধান্ত নেন তিনি কুয়াটি আর ঢাকবেন না। বরং, রান্নাঘরের মেঝেতে একটি কাঁচের প্যানেল বসিয়ে দেন, যাতে মানুষ নিচে তাকিয়ে দেখতে পারে সেই ইতিহাস।
এখন তার কটেজ শুধু একটা বাড়ি নয় — এটি একটি ঐতিহাসিক নিদর্শন।
আর এই রহস্যময় কুয়া আমাদের শেখায় — ইতিহাস সবসময় বইয়ে লেখা থাকে না, কিছু ইতিহাস পাথরের নিচে ঘুমিয়ে থাকে…
#সত্যঘটনা, #গোপনইতিহাস, #রহস্যময়আবিষ্কার, #পুরনোবাড়ি, #রান্নাঘরেরনিচে, #ট্র্যাপডোর, #কুয়ারহস্য, #ইতিহাস, #বাংলাহরর, #ভৌতিকঘটনা, #পুরনোকুয়া, #গল্পবলুন, #বাংলাগল্প, #ইতিহাসেরগল্প, #রহস্যঘেরা, #মধ্যযুগ, #আশ্চর্যআবিষ্কার, #গোপনজায়গা, #অবিশ্বাস্যঘটনা, #ভয়ংকরআবিষ্কার
Информация по комментариям в разработке