Скачать или смотреть পরিচয় গোপন রেখে মুসলমান মেয়েকে বিয়ে করতে এসে ধরা খেলেন কাদিয়ানী পিতা ও ছেলে

পরিচয় গোপন রেখে মুসলমান মেয়েকে বিয়ে করতে এসে ধরা খেলেন #কাদিয়ানী পিতা ও ছেলে
উত্তরের সর্বশেষ জেলা পঞ্চগড়। যেসব ইস্যুতে আলোচনায় থাকে জেলাটি তার অন্যতম একটি ‘কাদিয়ানী সম্প্রদায়’| এ জেলার মানুষ আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল ও ধর্মীয় ব্যাপারে অনেক ক্ষেত্রেই তাদের জানাশোনা কম হওয়ায় কাদিয়ানীরা এ সুযোগ কাজে লাগায়। আর্থিকভাবে অসচ্ছলদের অর্থ সহায়তা, ফ্রি প্রাইভেট পড়ানোসহ বিভিন্ন প্রলোভনে মুসলিমদের ঈমান হরণের চেষ্টা করে এই অমুসলিমরা। উত্তরাঞ্চলের দরিদ্র মানুষের জীবনে অন্যতম এক অভিশাপ যৌতুক। কন্যা সন্তান জন্মের আনন্দের থেকেও এ অঞ্চলের বাবাদের ভাবিয়ে তোলে বিয়ের সময় মেয়ের যৌতুকের ব্যাপারটি। দরিদ্র কবলিত বাবাদের অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে অনেক সময় কাদিয়ানীরা এসব মেয়েদের যৌতুক ছাড়াই বিয়ে করে। কখনোবা বিয়ের যৌতুক বহনে রাজি হয় ধর্মান্তরিত করার বিনিময়ে।
যৌতুকের অভিশাপে জর্জরিত এই অঞ্চলে কাদিয়ানীদের আরেকটি কর্মপন্থা হলো- নিজেদের ধর্মীয় পরিচয় গোপন রেখে দরিদ্র ঘরের মেয়ের বিয়ে করে নিয়ে আসা। ধর্ম সম্পর্কে জ্ঞান কম থাকায় অনেক সময় এই গৃহবধূদের পরিবারসহ কাদিয়ানী হয়ে যান। অনেক ক্ষেত্রে একে নিজের ভাগ্য মেনে চুপ থাকেন গরিব ঘরের এই মেয়েরা।
ঈমানের বলে বলিয়ান অনেকেই আবার স্বামী সংসারের মায়া তুচ্ছ করে ঈমান বাঁচাতে ফিরে আসেন দরিদ্র বাবার কুঠরিতে।
আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করবো পরিচয় গোপন রেখে কাদিয়ানীরা কিভাবে মুসলমান মেয়েদের বিবাহ করে ।
পঞ্চগড় শহরের অদূরে ফুলবাড়ি, শালসিঁড়ি ও আহমদিয়া নগরে কাদিয়ানীদের বসবাস। এই এলাকার কাদিয়ানী পরিবারের এক ছেলের বিয়ের জন্য মেয়ে দেখা হয় পঞ্চগড় জেলার ভজনপুর এলাকার একটি গুচ্ছ গ্রামের দরিদ্র অস্বচ্ছল সাধারন এক পরিবারে। গোপন তথ্যের ভিত্তিতে জানার পর পঞ্চগড় জেলার ওলামায়েকেরাম বিষয়টি তদন্ত শুরু করে। অত:পর এর সত্যতা বের হয়ে আসে। স্থানীয় জনগণ, প্রশাসনের সহযোগিতায় বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন মেয়ের পরিবারের সাথে। মেয়ের বাবা জানালেন, ছেলের পরিবার যে কাদিয়ানী এই বিষয়টি আমাদের কেউ জানায় নি। এমনকি ছেলের পরিবার সম্পূর্ণ পরিচয় গোপন রেখে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে বিয়ের কথা বলে। মেয়ের বাবার পরিচিত এক লোক মেয়ের বাবাকে জিজ্ঞেস করে মেয়েকে যেখানে বিয়ে দিচ্ছেন সেখানে তো অনেক কাদিয়ানী। খোজ খবর নিয়েছেন কি ? মেয়ের বাবা ছেলে পক্ষকে বিষয়টি অবহিত করলে ছেলেপক্ষ তখনও মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে কাদিয়ানী হওয়ার বিষয়টি গোপন রাখে। শুধু তাই নয় ছেলেপক্ষ মেয়েপক্ষ পরিবার থেকে ১ লাখ ১০ হাজার টাকা যৌতুক দাবি করে। অসহায় বাবা তার মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে দেনা করে বিয়ের আগে ১ লাখ টাকা পরিষোধ করেন। পঞ্চগড়ে কাদিয়ানীরা একই স্কুলে পড়া- লেখার সুবাদে কাদিয়ানী ও মুসলমান ছেলে- মেয়ের সম্পর্ক হয়। তারপর মুসলমান ছেলে হোক, মেয়ে হোক সে কাদিয়ানী হয়ে যায়। কিন্তু কোন কাদিয়ানী মুসলমান হয়ে না। বিয়ের সম্পূর্ণ আয়োজন শেষ । অপেক্ষা কখন বরযাত্রি আসবে। ঠিক এমন সময় মেয়ের পরিবার জানতে পারে ছেলে ও তার পরিবার কাদিয়ানী। মেয়ের পরিবার আর নিজেকে ধরে রাখতে পারছে না। সকল আয়োজন যখন শেষ তখন এমন একটি সংবাদ পেয়ে মেয়ের বাবার মাথায় যেন বাজ ভেঙ্গে পড়লো। একদিকে নিজের মেয়ের ভবিষৎ, বিয়ের আয়োজন, সমাজ অন্যদিকে নিজের ঈমান ধরে রাখা। মেয়ের পরিবারের সাথে কথা বললেন স্থানীয় ওলামায়েকেরাম । তাদেরকে কাদিয়ানী সম্পর্কে বুঝানো শেষে সত্যের জয় হলো। মেয়ের পরিবার সকল বাধা উপেক্ষা করে নিজেদের ঈমান রক্ষায় যে কোন কিছু করতে প্রস্তুত হলেন।

ঘটনার বিবরণ শুনে স্মৃতিপটে ভেসে উঠল ব্রিট্রিশ ভারতের ভাওয়ালপুর জেলার ঐতিহাসিক মোকাদ্দমার কথা । আব্দুর রাজ্জাক নামের এক ব্যক্তির সাথে বিয়ে হয়েছিলো মুসলিম কন্যার আয়েশার। পরবর্তীতে স্মামী কাদিয়ানী হয়ে যায় আর আয়েশা তা জানতে পারে। তাই আদালতে বিচ্ছেদ চেয়ে আবেদন করেন আয়েশা। সাফ জানিয়ে দিলেন – ছেলে কাদিয়ানী, আমি মুসলমান। অথচ কাদিয়ানী-মুসলমান বিবাহ ইসলামে বৈধ নয়। কারণ কাদিয়ানীরা কাফের। আমি কাদিয়ানী স্বামী থেকে পরিত্রাণ চাই। দীর্ঘ সাত বছর পর আদালতে কাদিয়ানীদের অমুসলিম- কাফের সিদ্ধান্ত দিয়ে বাদীর আবেদন মঞ্জুর করে বিবাহ বিচ্ছেদ করে দিয়েছে।

একটি মেয়ে নিজ ঈমান ও ইজ্জত রক্ষায় দীর্ঘ সাত বছর মামলা লড়েছে যে ঘটনার স্বীকার হয়ে আজ তেমনই একটি ঘটনা ঘটতে চলছিলো কাদিয়ানী অধ্যূষিত পঞ্চগড় জেলায়। দ্বীন ও ঈমান রক্ষার সংগ্রামে ভাওয়ালপুরের সেই প্রতিবাদী আয়েশাকে যেন আবারো দেখতে পেলাম।

সবকিছু জেনে মেয়ের পিতা বিবাহ বন্ধের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলেন। এদিকে বরযাত্রি এসে হাজির । স্থানীয় জনগণ ততক্ষনে উত্তেজিত হয়ে পড়ে। বিষয়টি সামলে নিয়ে সকলের সামনে বরপক্ষ নিজেদের কাদিয়ানী হওয়ার কথা স্বীকার করে নেয়। অবশেষে কাদিয়ানীরা তাদের মিথ্যা প্রতারণার দ্বায় স্বীকার করে নিয়ে সকলের কাছে ক্ষমা চায় এবং ভবিষৎ এ এমন নেক্কারজনক কাজ করবে না বলে মুসলেখা প্রদান করে।


ABOUT OUR CHANNEL :
Our channel is about Unmasking the Qadiani religion based on deceit and fraud. We cover lots of information such as qadiani faith, khatme nabuwat and the future Imam Mahdi.


Check out our channel here:
   / qadianisomachar  
   / কাদিয়ানীসমাচার  

Don’t forget to subscribe!

FIND US AT
https://knmbd.com/

GET IN TOUCH
Contact us on page - @QadianiSomachar

FOLLOW US ON SOCIAL
Get updates or reach out to Get updates on our Social Media Profiles!
Twitter:   / qadianisomachar  
Facebook:   / qadianisomachar  
Pinterest:   / qadianisomachar  


================================
⚠️ANTI-PIRACY WARNING⚠️
Any unauthorized reproduction, redistribution, or re-uploading of this material is strictly prohibited. Legal actions will be taken against those who violate the কাদিয়ানী সমাচার Or Youtube copyright rule.
===============================