ইউক্রেনের শেষ হবে যেভাবে

Описание к видео ইউক্রেনের শেষ হবে যেভাবে

#bd_views_infotainment#Bangladesh#
BD VIEWS INFOTAINMENT is one of the best YouTube feature channels in Bangladesh. This channel will provide Art show Lal Golap, defense & diplomacy updates.
#russia #মিসাইল #ukraine #usa #তুরস্ক
ডোনবাসের দখল নেয়ার পর রাশিয়া একটু জিরিয়ে নিচ্ছে। সেনাদের গুছিয়ে নিয়ে পরবর্তী অভিযানে নামবে তারা। ওদিকে, আমেরিকার নতুন অস্ত্র হাতে পেয়েছে ইউক্রেন। রাশিয়ার কমান্ড সেন্টার ও অস্ত্র গুদামে হামলা করেছে তারা। কিন্তু কিয়েভ নিজেই জানিয়েছে, ফ্রন্টলাইনে তাদের ৮০ শতাংশ সেনাই হয় মারা গেছে, নতুবা আহত হয়ে ছিটকে পড়েছে। বদলি সেনা পাওয়া যাচ্ছে না। ইউক্রেনের তরুণরা যুদ্ধে যাওয়ার আগ্রহ হারিয়েছে। এই অবস্থায় রাশিয়াকে বেশি সময় ঠেকিয়ে রাখা যাবে না। অন্যদিকে, ন্যাটোর মধ্যে ঐক্যমতে ফাটল ধরেছে। আসছে শীতে জ্বালানির চাহিদা মেটাতে রাশিয়ার সাথে চুক্তিতে যেতে পারে ফ্রান্স আর জার্মানি। ইউক্রেনকে সহায়তা করার জন্য তখন যুক্তরাষ্ট্র ছাড়া আর কেউ থাকবে না। সেই সুযোগের অপেক্ষায় তৈরি হচ্ছে রাশিয়া। বিস্তারিত থাকছে হায়দার সাইফের প্রতিবেদনে।

কিয়েভের মার্কিন দূতাবাসের এক ঘোষণায় সম্প্রতি অনেকেই বিস্মিত হয়েছে। ইউক্রেনে অবস্থানরত সকল মার্কিন নাগরিকদেরকে বলা হয়েছে, তারা যেন সড়কপথে যত দ্রুত সম্ভব ইউক্রেন ত্যাগ করে। ব্যক্তিগত ব্যবস্থায় তাদের দেশ ছাড়তে বলা হয়েছে, কারণ দূতাবাস তাদেরকে কোন সাহায্য করতে পারবে না। মার্কিন নাগরিকদেরকে কোথাও জড়ো হতেও নিষেধ করা হয়েছে, কারণ তারা হামলার টার্গেট হতে পারে। মার্কিন দূতাবাসের এই বিজ্ঞপ্তি চমকে দেয়ার মতো। একদিকে, পেন্টাগনের কর্মকর্তারা বলছেন, রাশিয়া যুদ্ধে হেরে গেছে। অন্যদিকে, কিয়েভের দূতাবাস ভয় পাচ্ছে, ইউক্রেনে থাকলেই মার্কিন নাগরিকরা হামলার শিকার হতে পারে।

যুদ্ধ ইস্যুতে রাশিয়া ডুমার জরুরি অধিবেশন ডেকেছে। এখনও সুনির্দিষ্ট কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। কিন্তু, শিগগিরই এই সিদ্ধান্ত হতে পারে। ডুমার স্পিকার ভিয়াশ্লোভ ভোলোদিন সতর্ক করেছেন, যুদ্ধ চলতে থাকলে ইউক্রেন সার্বভৌমত্ব হারাতে পারে।
ভোলোদিন বলেছেন, কিয়েভ সরকার ও তাদের পশ্চিমা প্রভুরা শান্তি আলোচনা চাচ্ছে না। এতে রাশিয়ার পরিকল্পনার কোন রদবদল হবে না। কিন্তু তাদের এই আচরণ ইউক্রেনের সার্বভৌমত্বকে অনিশ্চয়তায় ঠেলে দেবে। কিয়েভ সরকার শান্তি আলোচনা প্রত্যাখ্যান কোরে ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ অস্তিত্ব নষ্ট করছে।
ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলে জাপোরিজজিয়া প্রশাসনের প্রধান এভজেনি বালিতস্কি বলেছেন, শরতের শুরুতে সেখানে গণভোট হবে। সেই ভোটেই নির্ধারিত হবে তারা রাশিয়ার অংশ হবে কি না। আজোভ সাগর ও কৃষ্ণ সাগরের উপকূলবর্তী দক্ষিণাঞ্চল এখন মূলত রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে। মস্কো যদি এই অঞ্চলগুলোকে রাশিয়ার সাথে যুক্ত করে, তাহলে পশ্চিমে খেরসোন শহর থেকে শুরু করে, মারিউপোল, এবং রাশিয়ার রোস্তোভ-ওন-দোন শহরগুলো একসাথে যুক্ত হবে। এই শহরগুলো এম-১৪ হাইওয়ে দিয়ে পরস্পরের সাথে যুক্ত।
একটা গুরুত্বপূর্ণ শহর - ওডেসা - এখনও রাশিয়ার দখলে যায়নি। তবে সেটা দখলের পরিকল্পনা নিশ্চয় মস্কোর রয়েছে। মাঝে মাঝে সেখানে শেল পড়লেও আসল যুদ্ধটা এখনও শুরু হয়নি।
লুহান্সক ও ডোনবাসে অভিযানের সময় মারিউপোলের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার পর রাশিয়ান বাহিনীর মনোযোগ শুধু দক্ষিণে খেরসোন অঞ্চলেই সীমিত ছিল। কিন্তু এই অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নিতে হলে রাশিয়াকে আরও এগুতে হবে। জারোপিজজিয়ার দখল নিয়ে ইউক্রেনের সেনাদেরকে খেরসোন থেকে ভাগাতে হবে। তখনই কেবল ওডেসা এলাকায় অভিযানের পথ উন্মুক্ত হবে।
শীত নামতে শুরু করলে ইউরোপে রাশিয়ান তেল আর গ্যাসের চাহিদা বাড়তে থাকবে। ইউরোপিয়রা তখন হয়তো ইউক্রেন ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে একমত হতে পারবে না। যুক্তরাষ্ট্র যদি জেলেন্সকি সরকারকে একইভাবে সমর্থন দিয়ে যায়, তাহলে অন্তত কিছু ইউরোপিয় দেশ আলাদাভাবে সরে এসে রাশিয়ার উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে পারে।
এর অর্থ হলো, ফ্রান্স ও জার্মানির মতো ইউরোপের বড় খেলোয়াড়গুলো ন্যাটোর ঐক্যমত থেকে বেরিয়ে আসবে। পরিস্থিতি যদি সেই দিকে গড়ায়, তাহলে ব্রিটেন ও পোল্যান্ডের মতো ন্যাটোর অন্য দুই খেলোয়াড় কি অবস্থান নেয়, সেটা এখন দেখার বিষয়।
কোন সন্দেহ নেই, ইউরোপিয়রা অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের মধ্যে পড়েছে। তার উপর শীতে যদি জ্বালানি ও বিদ্যুৎ সঙ্কট দেখা দেয়, তাহলে বড় ধরণের অস্থিরতা দেখা দিতে পারে। বড় বড় শিল্প কারখানা বন্ধ হয়ে যেতে পারে। কর্মীরা কাজ হারালে বড় ধরণের সঙ্কট দেখা দেবে।
তেল আর গ্যাসের চাহিদা মেটাতে জার্মানি আর ফ্রান্স যদি রাশিয়ার সাথে চুক্তিতে যায়, তাহলে যুক্তরাষ্ট্রকে এককভাবে ইউক্রেনকে সহায়তা দিয়ে যেতে হবে। তুরস্ক শুরুতে কিয়েভকে টিবি-২ বায়রাক্তার ড্রোন দিয়েছিল। এখন সেটাও তারা বন্ধ করে দিয়েছে।
হাঙ্গেরি ন্যাটোর যুদ্ধ প্রক্রিয়ার মধ্যে নেই। বিভিন্ন লক্ষণে পরিস্কার বোঝা যাচ্ছে, ন্যাটোর মধ্যে সেই ঐক্যমত আর নেই। রাজনৈতিক কারণে ইউরোপিয় ইউনিয়নকে রাশিয়া বিরোধী নিষেধাজ্ঞা কঠোর করতে হয়েছে। রাশিয়ার সাথে এতে শত্রুতা বাড়ছে। আসছে শীতে এর ধকলটা ইউরোপকেই সামলাতে হবে।
শেষ পর্যন্ত ইউরোপের অন্তত বড় দেশগুলো যদি রাশিয়ার সাথে কোন চুক্তিতে যায়, তাহলে মস্কো হয়তো ভাবতে পারে, অবশেষে কিয়েভে হামলার জন্য সঠিক সময় এসেছে।

Visit this page you get more information.
  / bdviewsinfo  
  / bdviews2020.net  
  / bddarpan.tv  

Please don't forget to subscribe to this channel.


ANTI-PIRACY WARNING
---------------------------------------
This content's Copyright is solely owned by BD Views Infotainment. Any unauthorized reproduction, redistribution or re-upload is strictly prohibited from this material. Legal action will be taken against those who violate the copyright of the material

Комментарии

Информация по комментариям в разработке