Скачать или смотреть হাটহাজারী মাদ্রাসায় ছাত্রকে পিটিয়ে হাসপাতালে! অবশেষে মামলা!

বাপ্পি মজুমদার ইউনুসচট্টগ্রাম হাটহাজারী দারুল উলুম মইনুল ইসলাম মাদ্রাসায় ইকবাল হোসেন নামে এক ছাত্রকে বেদম পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে গুরুতর অবস্থায় হাটহাজারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জরুরি বিভাগে ভর্তি করানো হয়। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে দৈনিক আমাদের নাঙ্গলকোট এ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।গত ১৭ তারিখ দিবাগত রাতে মোবাইল ফোন সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে ওই শিক্ষক ইকবাল হোসেনের উপর চড়াও হোন, ক্ষিপ্ত হয়ে উপস্থিত ছাত্র এবং খাদেমদের সামনে মারধোর করে ইকবাল হোসেন কে রক্তাক্ত করেন।ইকবাল হোসেন কুমিল্লা নাঙ্গলকোট উপজেলার দৌলখাড় ইউনিয়নের অশ্বদিয়া গ্রামের ইসমাইল হোসেনের ছেলে। দারিদ্রতার মাঝে থাকার পরও এই পরিবারটি সন্তানদের পড়াশোনার বিষয়ে খুবই আগ্রহী সেই ধারাবাহিকতায় ইকবাল হোসেন পড়াশোনার পাশাপাশি মাদ্রাসার পাশে একটি দোকানে ফার্ট টাইম চাকরি করে আর সে সুবাদে কয়েক দিন ক্লাস না করায় ঐ শিক্ষক ইকবালকে খোজ করে।  এবং ব্যবসার প্রয়োজনে একটি নরমাল মোবাইল ব্যবহার করতে হয়।ইকবাল হোসেন দৈনিক আমাদের নাঙ্গলকোট কে জানান: আমার সম্মানিত শিক্ষক মহোদয় আমাকে ডেকে জানান ক্লাস না করার কারণ দর্শানোর জন্য। আমি আমার অবস্থা তুলে ধরি এবং তিনি আমার পকেট এ থাকা মোবাইল কেড়ে নিয়ে যায়। পরেরদিন আমি ক্লাশ করি এবং শিক্ষকের নিকট মোবাইল ফোন দেওয়ার জন্য বলি কিন্তু তিনি আমার ফোন দিতে অস্বীকৃতি জানান। এদিকে আমার দোকানের মালিক ফোন না থাকায় তিনি বিষয়টি মেনে নিতে চাইনি কারণ ফোন ছাড়া ব্যবসায়িক কাজ সম্পাদন করা সম্ভব নয়। আমি বার বার মোবাইল ফোন চালায় তিনি আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে পড়েন এবং বেদম মারধর করে, যার একটি ভিডিও দারুন করে ওই দিন রাতেই সোশ্যাল মিডিয়াতে তা ভাইরাল হয়ে পড়ে এবং আমি হাটহাজারী থানায় এ বিষয়ে একটি সাধারণ ডায়েরি করার জন্য আবেদন করি কিন্তু সেখানকার কর্মকর্তারা আমার আবেদন গ্রহণ করেননি। বাধ্য হয়ে পরের দিন সকালে আদালতে গিয়ে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে আমি মামলা করার জন্য প্রস্তুত হয় কিন্তু সেখানে আমার মামলা গ্রহণ করা হয়নি। কিছু ভেবে না উঠতেই আমি স্থানীয় পত্রিকা হাটহাজারী সমাচার পত্রিকার সাংবাদিক কে এম ইউসুফের দ্বারস্থ হই এবং তাকে সাড়ে পাঁচ হাজার টাকা দিতে হয় কিন্তু সেও আমার কোন কাজে আসেনি এবং  আমার কাজ করতে অস্বীকৃতি জানায়। অবশেষে জানতে পারি ওই সাংবাদিক মাদ্রাসার প্রশাসনিক ব্যক্তিবর্গের ধারা আক্রান্ত হয়। সেখান থেকে নৈরাশ হয়ে অবশেষে আমি আমার নিজ এলাকায় কুমিল্লা চলে আসি এবং দৈনিক আমাদের নাঙ্গলকোট এর কাছে আমার বক্তব্য উপস্থাপন করি। এবং কুমিল্লা জজ কোর্টে একটি মামলা দায়ের করি।‌উল্লেখ্য: অভিযুক্ত শিক্ষক মুফতি আব্দুল হামিদ সাহেব। জেলা নেত্রকোণা, থানা-দূর্গাপুর, গ্রাম মিনকি পান্ডা। ইকবাল হোসেন আরো জানান ওই শিক্ষক দ্বারা এই প্রতিষ্ঠানের আরো শত শত কচিকাঁচা বাচ্চার আক্রান্ত হয়। এবং প্রতিষ্ঠান প্রশাসনিক কর্মকর্তারা তাকে বারবার সতর্ক করে কিন্তু তিনি তার অবস্থান থেকে কখনও সরে আসেনি। আজ আমি রুখে দাঁড়িয়ে আছি সকল ছাত্রদের অধিকার আদায়ের জন্য এবং যাতে করে ছোট ছোট কচিকাঁচা এবং অসহায় পরিবারের যে সকল বাচ্চারা পড়তে আসে তাদের নিরাপত্তার জন্য আজ আমি এই আন্দোলনে নেমেছি।  এবং মামলার প্রথম শুনানী শেষে পুর্ণ নিরাপত্তা কামনা করে হাটহজারী মাদ্রাসায় ফিরে যাব ইনশাআল্লাহ। কারণ সেখানে আমার ব্যবসা আছে।আগামী ২৪ তারিখ কুমিল্লা জজকোর্টে মামলটি উঠবে বলে জানিয়েছেন এড. জসিম উদ্দিন।