Скачать или смотреть কক্সবাজার সদর হাসপাতালে অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনা! রোগীরা ভোগান্তিতে, কর্তৃপক্ষ নীরব!

সম্পাদকীয়: কক্সবাজার সদর হাসপাতালের অনিয়ম - রোগীদের জন্য এক নির্মম বাস্তবতা
কক্সবাজার ২৫০ শয্যার সদর হাসপাতাল, যা জেলার প্রধান সরকারি চিকিৎসা কেন্দ্র, সেখানে দীর্ঘদিন ধরে অনিয়ম ও অবহেলার অভিযোগ উঠছে। জরুরি বিভাগ থেকে শুরু করে সাধারণ সেবা, সবখানেই অব্যবস্থাপনা স্পষ্ট।
প্রথমত, এই হাসপাতালে সিনিয়র চিকিৎসকদের সঠিকভাবে পাওয়া যায় না। তারা বেশিরভাগ সময় প্রাইভেট চেম্বারে ব্যস্ত থাকেন, যার ফলে হাসপাতালের সেবার মান ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এছাড়া, অনভিজ্ঞ নার্স ও ইন্টার্ন চিকিৎসকদের দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করানো হচ্ছে, যা রোগীদের জন্য বিপজ্জনক হতে পারে।
দ্বিতীয়ত, হাসপাতালে প্রয়োজনীয় ওষুধ ও সরঞ্জামের সংকট রয়েছে। অনেক রোগী অভিযোগ করেন, বাইরে থেকে ওষুধ কিনতে হয়, যা গরিব ও নিম্নবিত্ত মানুষের জন্য এক বড় সমস্যা।
তৃতীয়ত, ব্যবস্থাপনা ও তদারকির অভাব স্পষ্ট। প্রশাসনিক দপ্তরগুলোর অদক্ষতা ও দীর্ঘদিন ধরে একই পদে থাকা কর্মকর্তাদের অব্যবস্থাপনা পুরো হাসপাতাল ব্যবস্থাকে নড়বড়ে করে তুলেছে।
এই অবস্থার পরিবর্তনে জরুরি ভিত্তিতে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। জেলা প্রশাসন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। জনসাধারণের স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে ছিনিমিনি খেলা আর চলতে পারে না।

সংবাদ বিশ্লেষণ:

কক্সবাজার সদর হাসপাতাল নিয়ে খোলা কাগজের প্রকাশিত প্রতিবেদনের গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলো বিশ্লেষণ করলে আমরা দেখতে পাই:

১. সিনিয়র চিকিৎসকদের অনুপস্থিতি:

প্রাইভেট চেম্বারকেন্দ্রিক চিকিৎসকদের ব্যস্ততা সরকারি হাসপাতালে সেবার মান কমিয়ে দিচ্ছে।

২. অনভিজ্ঞ নার্স ও ইন্টার্নদের মাধ্যমে চিকিৎসা প্রদান:

এটি রোগীদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ এবং চিকিৎসার গুণগত মান কমিয়ে দিচ্ছে।

৩. ওষুধ ও সরঞ্জামের সংকট:

সরকারি হাসপাতালে বিনামূল্যে চিকিৎসার ব্যবস্থা থাকা সত্ত্বেও রোগীদের বাইরে থেকে ওষুধ কিনতে বাধ্য করা হচ্ছে।

৪. প্রশাসনিক দুর্বলতা ও দীর্ঘস্থায়ী অনিয়ম:

ব্যবস্থাপনা দুর্বলতার কারণে হাসপাতালের সার্বিক কার্যক্রম ভেঙে পড়েছে।

সাধারণ জনগণের স্বাস্থ্যসেবার মানোন্নয়নের জন্য এই সমস্যাগুলোর দ্রুত সমাধান প্রয়োজন। মিডিয়া, নাগরিক সমাজ এবং প্রশাসনের সমন্বিত উদ্যোগ ছাড়া এই পরিস্থিতি বদলানো সম্ভব নয়।