আমি হিব্রু বা বনি ইসরাইলের ভাষায় কুরআন লিখেছি! বৈজ্ঞানিক আলাউদ্দীন | #education #science #worldnews
আমি হিব্রু বা বনি ইসরাইলের ভাষায় কুরআন লিখেছি, কারণ হিব্রু বা বনি ইসরাইলের ভাষার প্রতিটি শব্দ ১০০% কুরআনের। জাতীয় সংঘের উপস্থিতিতে, সমগ্র বিশ্বের মানুষের সুবিধার্থে, আমি এই সত্য প্রমাণ ও ব্যাখ্যা করতে সম্পূর্ণ প্রস্তুত। ইনশাআল্লাহ।
পৃথিবীর ইতিহাসজুড়ে ভাষা শুধু যোগাযোগের একটি মাধ্যম নয়, বরং একেকটি ভাষা হয়ে উঠেছে একটি জাতির চিন্তা, সংস্কৃতি, বিশ্বাস ও ঐতিহ্যের ধারক ও বাহক। সেই দৃষ্টিকোণ থেকে হিব্রু ভাষা বা বনি ইসরাইলের ভাষা একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও ঐতিহাসিক ভাষা, যার সঙ্গে সংযুক্ত আছে বহু নবীর ইতিহাস, বহু ঐশী বার্তা এবং ধর্মীয় উত্তরাধিকারের দীর্ঘসূত্রতা। আমি আজ এক অভূতপূর্ব দাবি নিয়ে সামনে এসেছি—হিব্রু ভাষার প্রতিটি শব্দ কুরআনের মধ্যেই রয়েছে। আমি এই দাবিকে কেবল ভাষার মৌলিক মিল হিসেবে নয়, বরং আধ্যাত্মিক ও ঐতিহাসিক সত্য হিসেবে তুলে ধরতে চাই।
আমার এ দাবির ভিত্তিতে আমি নিজ হাতে হিব্রু বা বনি ইসরাইলের ভাষায় কুরআন লিখেছি। এটি কোনো সাধারণ অনুবাদ নয়, বরং একটি প্রমাণ—যে কুরআনের প্রতিটি শব্দের মধ্যে এমন এক অলৌকিক শক্তি ও উৎস আছে, যা বিশ্বের সকল ভাষার, বিশেষ করে হিব্রুর, মূল কাঠামো ও রচনার পেছনে বিদ্যমান। আমি বিশ্বাস করি, হিব্রু ভাষা শুধুমাত্র একটি ধর্মীয় ভাষা নয়, বরং তা হলো সেই ভাষা যার মধ্য দিয়ে কুরআনের শব্দ-চেতনার প্রতিফলন ঘটে।
হিব্রু ভাষার অনেক শব্দ, যেমন "שלום" (শালোম), যার অর্থ শান্তি, তা আরবি কুরআনিক শব্দ “سَلام” (সালাম)-এর সাথেই মূলত সামঞ্জস্যপূর্ণ। আবার হিব্রুর “אמן” (আমেন) শব্দটি, যা বিশ্বাস ও অনুমোদনের একটি আধ্যাত্মিক চিহ্ন, তা কুরআনে ব্যবহৃত “آمَنَ” (আমানা)—বিশ্বাস করা—শব্দের সাথেই সামঞ্জস্যপূর্ণ। এমন হাজারো শব্দ আছে, যেগুলোর উৎস ও মূল কুরআনের মধ্যে খুঁজে পাওয়া যায়। এগুলোর ধ্বনিগত, ব্যাকরণগত এবং অর্থগত বিশ্লেষণ করলে যে কেউ সহজেই বুঝতে পারবে—এই দুটি ভাষা কেবল ঐতিহাসিকভাবে নয়, বরং উৎসগতভাবেও একই মূল থেকে উদ্ভূত।
আমার এই গবেষণার উদ্দেশ্য একটাই—বিশ্ববাসীকে এই সত্য জানানো যে কুরআন কোনো এক জাতি, এক ভাষা বা এক অঞ্চলের জন্য নয়। বরং এটি একটি সর্বজনীন গ্রন্থ, যা সমস্ত জাতি, ভাষা ও জনগণের জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে পথনির্দেশনা। যদি হিব্রু ভাষার প্রতিটি শব্দ কুরআনের মধ্য থেকে খুঁজে পাওয়া যায়, তাহলে বনি ইসরাইল ও মুসলমানদের মধ্যে যে ধর্মীয় বিভাজন, ভুল বোঝাবুঝি ও দূরত্ব রয়েছে, তা ঘুচে যেতে পারে। এর মাধ্যমে বিশ্বে একটি নতুন সংলাপ শুরু হতে পারে—ভাষার, ধর্মের, সংস্কৃতির—যা মানবতা ও শান্তির ভিত্তি গড়ে তুলবে।
আমার এ দাবির প্রমাণ উপস্থাপনের জন্য আমি কেবল ধর্মীয় পরিবেশে নয়, বরং আন্তর্জাতিক ও নিরপেক্ষ পরিমণ্ডলে, যেমন জাতীয় সংঘের (United Nations) মতো একটি বৈশ্বিক মঞ্চে প্রস্তুত। আমি চাই, বিশ্বের ভাষাতত্ত্ববিদ, ধর্মতত্ত্ববিদ, ইতিহাসবিদ, নীতিবিদ ও চিন্তাবিদগণ একত্র হয়ে এই বিষয়টি যাচাই করুক। আমি কুরআন ও হিব্রু ভাষার মধ্যে শব্দতালিকা, ব্যাকরণগত মিল, ধ্বনিগত বিশ্লেষণ, ভাষাগত প্রবাহ, এবং ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট তুলে ধরতে প্রস্তুত।
এটি কেবল একটি ভাষা-সংক্রান্ত গবেষণা নয়, এটি একটি আধ্যাত্মিক অভিযাত্রা। হিব্রু ভাষার প্রতিটি শব্দ যদি সত্যিই কুরআনের ভেতরে থাকে, তাহলে কুরআনের একটি অলৌকিক বৈশিষ্ট্য প্রমাণিত হয়—এর সর্বজনীনতা, সর্বভাষিকতা, এবং সর্বকালীনতা। কুরআনের এই বৈশ্বিক চরিত্রকে তুলে ধরা আজ সময়ের দাবি, কারণ আধুনিক যুগে ধর্ম, জাতি, ভাষা নিয়ে বিভাজন যত বাড়ছে, ততই শান্তির বার্তা ও ঐক্যের ভিত্তি প্রয়োজন হয়ে পড়ছে।
আমার এ কাজ একান্তই ব্যক্তিগত প্রচেষ্টা নয়। আমি এটিকে একটি বিশ্বজনীন গবেষণার দৃষ্টান্ত হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে চাই, যেখানে মুসলমান, ইহুদি, খ্রিস্টান, হিন্দু, বৌদ্ধ—সবাই বসে এই প্রমাণের আলোকে চিন্তা করবে, প্রশ্ন করবে, বিশ্লেষণ করবে এবং একটি বৃহত্তর সত্যকে গ্রহণ করবে। আমি বিশ্বাস করি, এই সত্য মানুষকে এক করবে—ভাগ করবে না।
আমার দাবি কারো ধর্মে হস্তক্ষেপ নয়, বরং এটি একটি ঐক্যের আহ্বান। কুরআন নিজেই বলে, "তোমাদের কাছে সত্য এসেছে, আর এখন যে চায়, সে বিশ্বাস করুক; আর যে চায়, সে অস্বীকার করুক।" আমি কাউকে বাধ্য করছি না, বরং কেবল সত্যের দরজা খুলে দিচ্ছি। সত্য সবসময় আলো ছড়ায়—আর আমি সেই আলোকে সামনে এনে বিশ্ববাসীকে দাওয়াত দিচ্ছি—চলো, ভাষার উৎসের ।
/ 1bxjyvfswp
Информация по комментариям в разработке