Скачать или смотреть ফেনীর গর্ব চিত্রশিল্পী কাইয়ুম চৌধুরী

ফেনীর গর্ব চিত্রশিল্পী কাইয়ুম চৌধুরী

কাইয়ুম চৌধুরী বাংলাদেশের একজন স্বনামধন্য চিত্রশিল্পী। জন্ম ফেনী জেলায় ক্ষয়িষ্ণু জমিদার পরিবারে। পিতা আবদুল কুদ্দুস চৌধুরী ছিলেন সমবায় ব্যাংকের কর্মকর্তা । নোয়াখালীর গোপাল হালদারের সঙ্গে ছিল তাঁর সখ্য। কুমিল্লায়গায়ক মোহাম্মদ হোসেন খসরু এবং লোকগানের সাধক শচীন দেববর্মনের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠতা গড়ে উঠেছিল। চট্টগ্রামের আব্দুল করিম সাহিত্য বিশারদের সঙ্গে তাঁদের পারিবারিক যোগাযোগ ছিল।
স্কুল জীবন থেকে আঁকাআঁকির প্রতি ঝোঁক দেখা গিয়েছিল কাইয়ুম চৌধুরীর। ১৯৪৯ সালে আর্ট ইনস্টিটিউটে ভর্তি হয়ে কাইয়ুম চৌধুরী কৃতিত্বের সঙ্গে শিক্ষা সমাপন করেন ১৯৫৪ সালে। তিনি শিক্ষক হিসেবে পেয়েছিলেন শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনকে।
কাইয়ুম চৌধুরী বিজ্ঞাপনী সংস্থার সঙ্গে যুক্ত থেকেছেন, বইয়ের প্রচ্ছদ ও সচিত্রকরণের কাজ করেছেন । সিগনেটের বই কাইয়ুম চৌধুরীর জন্য ছিল এক অনুপম নির্দশন। ছায়াছবি নামে একটি চলচ্চিত্র সাময়িকী যুগ্মভাবে সম্পাদনা করেছিলেন। প্রচ্ছদে একটি পালাবদল তিনি ঘটালেন ১৯৫৭ সালে প্রকাশিত জহুরুল হকের সাত-সাঁতার গ্রন্থে। গ্রন্থের বক্তব্যের বা সারসত্যের প্রতিফলন ঘটালেন প্রচ্ছদে, একই সঙ্গে গ্রাফিক ডিজাইনে কুশলতা ও নতুন ভাবনার ছাপ মেলে ধরলেন। গাজী শাহাবুদ্দিন আহমদের সচিত্র সন্ধানী পত্রিকার আত্মপ্রকাশ তাঁর অঙ্কন, টাইপোগ্রাফিবোধ ও রসসিঞ্চিত তির্যক রচনা প্রকাশের মাধ্যমে হয়ে উঠেছিল অনবদ্য। ১৯৫৭ সালে কাইয়ুম চৌধুরী আর্ট কলেজে শিক্ষকতায় যোগ দেন।
জহির রায়হানের 'শেষ বিকেলের মেয়ে, আবদুশ শাকুরের 'ক্ষীয়মাণ', সৈয়দ শামসুল হকের 'একদা এক রাজ্যে', শামসুর রাহমানের প্রথম কাব্যগ্রন্থ 'প্রথম গান, দ্বিতীয় মৃত্যুর আগে, প্রভৃতি সুবিখ্যাত গ্রন্থের প্রচ্ছদ আঁকেন তিনি।
শিল্পী কাইয়ুম চৌধুরী ১৯৮৬ সালে একুশে পদক, ২০১০ সালে সুফিয়া কামাল পদক এবং ২০১৪ সালে শহীদ আলতাফ মাহমুদ পদকে ভূষিত হয়েছেন। ২০১৪ সালের ৩০ নভেম্বর এই মহান শিল্পী বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের ক্ল্যাসিকাল মিউজিক ফেস্টিভালের চতুর্থ দিনে, বক্তব্য দেয়ার সময় হঠাৎ ইহলোক ত্যাগ করেন।