সময়ের অপচয়(ভ্রান্ত হওয়া ধারনা)।নোমান আলী খান। ইসলামিক লেকচার//Nouman ali khan ar bangla dubbing,,

Описание к видео সময়ের অপচয়(ভ্রান্ত হওয়া ধারনা)।নোমান আলী খান। ইসলামিক লেকচার//Nouman ali khan ar bangla dubbing,,

যেকোনো ধারণা গ্রহণ করার আগে সতর্কতা অবলম্বন করতে আল্লাহ আমাদের নির্দেশ দিয়েছেন আমাদেরই কল্যাণার্থে। কারণ, ধারণা যেমনি সঠিক হতে পারে, তেমনি ভ্রান্ত হতে পারে, এমনকি পাপের কারণও হতে পারে। আল্লাহর বাণী- ‘হে মুমিনগণ! তোমরা অধিকাংশ মন্দ ধারণা থেকে দূরে থাকো। নিশ্চয়ই কোনো কোনো ধারণা পাপ হয়ে থাকে’ (সূরা আল হুজরাত-১২)

কাজেই, যেসব ধারণা পাপের কারণ হতে পারে, তা সাধারণতই ভ্রান্ত ধারণা। ফলে তা হবে আমাদের মহাক্ষতির কারণ। এমতাবস্থায়, নির্ভরযোগ্য প্রমাণবিহীন কোনো ধারণা ধারণ না করাই বাঞ্ছনীয়। বাস্তব ক্ষেত্রে আমরা খুব সহজেই অন্যের ব্যাপারে অনেক কিছুই ধারণা করি যথাযথ বিচার-বিশ্লেষণ ছাড়া, ফলে তা বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই ভ্রান্ত ধারণায় পরিণত হয়। তা ছাড়া ঘটনা বা বিষয় সম্পর্কেও ভ্রান্ত ধারণা মনে স্থান পেতে পারে, যেমন- রাস্তা-ঘাটে, শহরে-বন্দরে, দেশে-বিদেশে ঘটিত বিভিন্ন প্রকার ঘটনা নিয়ে ধারণার বিভিন্নতা অবশ্যই পরিলক্ষিত হয়। তদ্রƒপ ধর্মীয় ব্যাপার বা কুরআন-হাদিস বা ধর্ম পালন নিয়ে ধারণার পার্থক্য বিরাজমান।

কোনো বিষয় বা ঘটনা নিয়ে বিভিন্ন ধারণার কোনো একটি সঠিক হতে পারে বা সব ক’টি সঠিক নাও হতে পারে। এমতাবস্থায় আমাদেরকে আল্লাহর নির্দেশ মোতাবেক বিশেষ করে ব্যক্তিসংক্রান্ত ধারণা ধারণ করার ব্যাপারে অসাধারণ সতর্ক এ জন্য হতে হবে, যাতে করে তা আমাদের ভ্রান্ত ধারণাজনিত কারণে পাপের উৎস না হয়।
ভ্রান্ত বা মন্দ ধারণার মারাত্মক কুফল এখানে উল্লেখ করা হলো তাফসিরে নূরুল কুরআন থেকে-


‘কারো প্রতি মন্দ ধারণা পোষণ করলে, তা তার সাথে বিবাদ-বিসংবাদ সৃষ্টির মূল কারণে পরিণত হয়। পরস্পরের ঝগড়া-ফ্যাসাদ মীমাংসার চেষ্টা করলেও তা ব্যর্থ হয় মন্দ ধারণার কারণে। মীমাংসার পথে সবচেয়ে বড় প্রতিবন্ধক হয়ে দাঁড়ায় ভ্রান্ত ধারণা। কারো সম্পর্কে মন্দ ধারণা করলে তার গুণগুলোও দোষ মনে হয়।’

বুখারি শরিফের বর্ণনা- হজরত আবু হুরায়রা রা: বর্ণনা করেন, প্রিয়নবী সা: ইরশাদ করেছেন, ‘মন্দ ধারণা থেকে আত্মরক্ষা করো। কারো সম্পর্কে মন্দ ধারণা রাখা সবচেয়ে বড় মিথ্যা কথা।’ পিতা-মাতা নিঃসন্দেহে তাদের সন্তানদের কল্যাণ, সুস্বাস্থ্য, শান্তি, শিক্ষা-জ্ঞানার্জন, ধর্ম পালন ইত্যাদি কামনা করে থাকেন বা পছন্দ করেন। তা ছাড়া যথাসাধ্য চেষ্টা করেন মায়া-মমতা, আদর-যতœ, তত্ত্বাবধান ইত্যাদিতে তাদেরকে ভরে দিতে এবং প্রতিষ্ঠিত করতে যথাসম্ভব সম্মানজনক পর্যায়ে। পক্ষান্তরে, উপরোক্ত ব্যাপারে আল্লাহর পছন্দ তাঁর গোলামদের জন্য অবশ্যই পিতা-মাতার পছন্দ বা যথাসাধ্য চেষ্টার সাথে অতুলনীয়।


আল্লাহ তায়ালা আমাদের সীমাহীন কল্যাণকামী। তাঁর দয়া-মায়া আমাদের জন্য, আমাদের সুখ-শান্তি ও মহা সফলতার (বিশেষ করে পরকালে) জন্য ব্যক্তিগত এবং সামগ্রিকভাবে অতুলনীয় ও অবর্ণনীয়। দুঃখের বিষয়, এ মহাসত্য কথাটি আমাদের মধ্যে বেশির ভাগ লোক ভুলে গেছেন। ইহকাল ও পরকালে আমাদের কল্যাণ, আমাদের সুখ-শান্তি, আমাদের সফলতার জন্য আল্লাহ যে ব্যবস্থা, বাণী বা বিধান দিয়েছেন, আমরা অকৃতজ্ঞ মানুষেরা ভ্রান্ত ধারণার শিকার হয়ে তা পরিত্যাগ করে নিজেদের ব্যবস্থাপনা, নিজেদের বিধান প্রয়োগ করে সুখ-শান্তি, সফলতা ইত্যাদি অর্জনের চেষ্টায় মগ্ন হয়েছি এবং ভোগ-বিলাসে বিভোর আছি, এতটা বিভোর আছি যে, মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব হিসেবে এমন কি নৈতিক দায়িত্ব পালনে একদম উদাসীন, ধর্মীয় দায়িত্ব পালনের তো প্রশ্নই আসে না, কারণ তা ভোগ-বিলাসের প্রতিবন্ধক।


‘হাত পেতে নাও নগদ যা পাও, বাকির খাতা শূন্য রাখ’- এ বাক্য বা বাণী মনে-প্রাণে আমরা গেঁথে নিয়েছি ভ্রান্ত ধারণার শিকার হয়ে। ফলে স্বাক্ষর রাখছি চরম পরম স্বার্থপরতা ও দায়িত্বহীনতার। পার্থিব জীবনটা আমাদের প্রত্যেকের ছিল চিরস্থায়ী পরকালের সম্বল ও সফলতা অর্জনের মাধ্যম। কিন্তু আমরা মানুষেরা পার্থিব জীবন বা পৃথিবীটাকে পরকালের চূড়ান্ত সফলতার মাধ্যম হিসেবে গ্রহণ ও ব্যবহার না করে এটিকে সর্বশেষ ভোগ-বিলাস, আরাম-আয়েশ ইত্যাদির উপকরণ হিসেবে ধরে নিয়েছি, যা আমাদের মারাত্মক ভ্রান্ত ধারণা ও অপূরণীয় ক্ষতির কারণ। প্রত্যেক মুমিন মুসলিমের প্রথম এবং প্রধান দায়িত্ব কুরআন-হাদিসের সংস্পর্শে এসে তার জ্ঞানার্জন করে ভ্রান্ত ধারণা, ভ্রান্ত বিধান, ভ্রান্ত পথে পরিচালিত জীবন-প্রবাহ থেকে বেরিয়ে এসে সত্য ধারণা, সত্য বিধান অবলম্বন করে সত্য ও সঠিক পথে জীবন প্রবাহিত করা যদি জান্নাতবাসী হতে এবং জাহান্নামের ভয়াবহ শাস্তি থেকে রক্ষা পেতে চায়।
আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে শিক্ষা-দীক্ষা, জ্ঞান-বুদ্ধি, বিবেক-বিবেচনা, ধন-সম্পদ, মান-সম্মান, প্রভাব-প্রতিপত্তি, দায়িত্ব, নেতৃত্ব-কর্তৃত্ব সব কিছু দিয়ে সৃষ্টির সেরা অ্যাখ্যায়িত করলেন। আমরা সে মানুষেরা কেন আজ এমন উদাসীন হয়ে গেলাম যে, মিথ্যাকে সত্য বলে দৃঢ়ভাবে আঁকড়ে ধরলাম, কেন আমি অস্থায়ী পৃথিবীর ক্ষণস্থায়ী পার্থিব জীবনকে চিরস্থায়ী মনে করে এর পেছনে সার্বক্ষণিক লেগে গেলাম আমার মহা মূল্যবান হায়াত বা আয়ুর (যা আল্লাহ তায়ালার অন্যতম শ্রেষ্ঠ নিয়ামত) সদ্ব্যবহার না করে বরং অসদ্ব্যবহার ও অপচয় করে!কিন্তু আমাদের এ ফরিয়াদ হবে নিষ্ফল, কারণ আমাদের মৃত্যু ওই মুহূর্তে হবেই এবং কোনো প্রকার অবকাশ দেয়া হবে না। প্রমাণ, আল্লাহর বাণী- ‘কিন্তু যখন কারো মৃত্যুর নির্ধারিত কাল উপস্থিত হবে, তখন আল্লাহ তাকে কিছুতেই অবকাশ দেবেন না। তোমরা যা করো আল্লাহ সে সম্বন্ধে পরিপূর্ণ জ্ঞাত’ (সূরা আল মুনাফিকুন-১১)।
#নোমান_আলী_খান #ইসলামিক_ভিডিও #নোমান_আলী_খান #ইসলামিক #নোমান_আলী_খান #ইসলামিক #islamic #akhira #akhira 3#ইসলামিক 3#allah #islamic #akhira #allah #islamic #ইসলামিক #akhira #islamic 3#ইসলামিক #নোমান_আলী_খান #ইসলামিক_ভিডিও #নোমান_আলী_খান #ইসলামিক #ইসলামিক #নোমান_আলী_খান #islamic #ইসলামিক #islamic 3#নোমান_আলী_খান #islamic #akhira #allah #akhira #islamic #islamic #ইসলামিক #ইসলামিক 3#ইসলামিক #নোমান_আলী_খান #islamic #ইসলামিক #নোমান_আলী_খান #ইসলামিক_ভিডিও
all islamic video here.islamic video 2023'new islamic lecture .motivational video 2023.2024.new video islamic.nouman ali khan video.how you can fell happy .

Комментарии

Информация по комментариям в разработке