Скачать или смотреть কীটনাশক মুক্ত কৃষি

🌱 কীটনাশক মুক্ত কৃষি বিনির্মাণে করণীয়:
কীটনাশক মুক্ত কৃষি বা নিরাপদ ফসল উৎপাদন নিশ্চিত করতে হলে সমন্বিতভাবে কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করা জরুরি। এই পদ্ধতিকে জৈব কৃষি বা পরিবেশবান্ধব চাষাবাদও বলা যেতে পারে।
🌿 বিকল্প বালাইনাশক ও সার ব্যবহার
কীটনাশক মুক্ত কৃষির মূল ভিত্তি হলো রাসায়নিক পদার্থের ব্যবহার বন্ধ করা এবং তার পরিবর্তে প্রাকৃতিক বিকল্প ব্যবহার করা।
জৈব বালাইনাশক ব্যবহার:
নিম তেল ও নির্যাস: প্রাকৃতিক কীটনাশক হিসেবে নিম তেল (Neem Oil) এবং নিমের নির্যাস অত্যন্ত কার্যকরী। এটি পোকা দমনের পাশাপাশি গাছকে ফাঙ্গাস ও ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণ থেকেও রক্ষা করে।
অন্যান্য উদ্ভিদের নির্যাস: পেঁয়াজ, রসুন, ভাট ফুল, অ্যালোভেরা জেল ইত্যাদি উদ্ভিদের নির্যাস থেকে তৈরি জৈব বালাইনাশক ব্যবহার করা যেতে পারে।
জৈব সার ব্যবহার:
রাসায়নিক সারের পরিবর্তে কম্পোস্ট সার (গোবর, গাছের লতাপাতা ইত্যাদি থেকে তৈরি), ভার্মিকম্পোস্ট, এবং অন্যান্য জৈব সার ব্যবহার করে মাটির উর্বরতা বৃদ্ধি করা।
গোবর, খৈল, কচুরিপানা ইত্যাদি ব্যবহার করে জৈব সার তৈরি ও ব্যবহার করা।
🛡️ সমন্বিত বালাই দমন ব্যবস্থা (IPM)
কীটনাশক ব্যবহারকে কমিয়ে আনার জন্য সমন্বিত বালাই দমন ব্যবস্থা (Integrated Pest Management - IPM) গ্রহণ করা উচিত।
ফসল বৈচিত্র্য: একই জমিতে বা কাছাকাছি বিভিন্ন প্রজাতির ফসল চাষ করলে কীটপতঙ্গের আক্রমণ কম হয়। এটিকে স্ট্র্যাটেজিক প্লান্টিংও বলা যায় (যেমন: তুলসি, ধনে, ল্যাভেন্ডার পোকামাকড় তাড়াতে সাহায্য করে)।
যান্ত্রিক পদ্ধতি: ফেরোমন ফাঁদ (স্ত্রী পোকার গন্ধযুক্ত ফাঁদ), হলুদ আঠালো ফাঁদ, এবং হাত জাল ব্যবহার করে পোকা দমন করা।
প্রাকৃতিক শত্রু ব্যবহার: পোকাখেকো পাখি বসার জন্য ধানক্ষেতে ডালপালা পুঁতে দেওয়া (পার্চিং) বা উপকারী পোকা-মাকড়ের বংশবিস্তার ও সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা।
💡 কৃষক প্রশিক্ষণ ও সচেতনতা
কৃষকদের মধ্যে নিরাপদ চাষাবাদ পদ্ধতি সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান ও সচেতনতা বৃদ্ধি করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
প্রশিক্ষণ: কৃষি বিভাগ বা অন্যান্য সংস্থার মাধ্যমে কৃষকদের জৈব বালাইনাশক তৈরি, আইপিএম পদ্ধতি এবং নিরাপদ সবজি উৎপাদনের কৌশল সম্পর্কে নিয়মিত প্রশিক্ষণ দেওয়া।
কৃষক ক্লাব গঠন: কৃষকদের অভিজ্ঞতা বিনিময় এবং একে অপরের সহায়তার জন্য স্থানীয় পর্যায়ে ক্লাব গঠন করা।
স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা: কীটনাশক প্রয়োগের সময় মাস্ক, গ্লাভস, চশমা ইত্যাদি ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম (PPE) ব্যবহারের বিষয়ে কৃষকদের সচেতন করা (যদিও কীটনাশক মুক্ত কৃষির লক্ষ্য হলো ব্যবহার সম্পূর্ণ বন্ধ করা)।
🥬 ভোক্তার করণীয়
ভোক্তা হিসেবে আমরাও এই প্রক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারি।
নিরাপদ সবজি কেনা: কীটনাশকমুক্ত বা জৈব উপায়ে উৎপাদিত সবজি কেনার ক্ষেত্রে বেশি আগ্রহী হওয়া।
শাকসবজি পরিষ্কার করা: বাজার থেকে কিনে আনা শাকসবজি রান্না করার আগে খাবার লবণ বা হলুদ গুড়ার দ্রবণ ব্যবহার করে পরিষ্কার করলে কীটনাশকের অবশিষ্টাংশ অনেকাংশে দূর করা যায়।
এই সম্মিলিত উদ্যোগের মাধ্যমে কীটনাশক মুক্ত কৃষি বিনির্মাণ করে জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশের সুরক্ষা নিশ্চিত করা সম্ভব।
রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ব্যবহার ছাড়াই উৎপাদন নিরাপদ সবজি নিয়ে তৈরি এই ভিডিওটি জৈব পদ্ধতির চাষাবাদের ধারণা দেবে।

#organicfarming #agriculture #vermicompost #কমপুঁজিতেব্যবসা #কৃষি #কেঁচোসার #জৈবসার #ভার্মিকম্পোস্ট #লাভজনকব্যবসা