Скачать или смотреть মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক কর্নেল এমএজি ওসমানী ( বার তম পর্ব)।

১২তম পর্ব।
স্বাধীনতা যুদ্ধের কৌশল এবং
বর্ষার জন‍্য আপত্তি।

আসসালামু আলাইকুম।
শ্রদ্ধেয় দর্শক প্রিতি ও শুভেচ্ছা নিন। করোনাকালীন কঠর লক ডাউনের ভিতরে যে যেখানে থাকুন না কেন সবাই ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন।

প্রিয় দর্শক।
১৯৭১ সনের নভেম্বর মাসে পাকিস্তানি ও মুক্তি বাহিনী বাহিনীর আংশিক প্রতিনিধিত্ব কিছু অবস্থান আনুমানিক।

মুক্তি বাহিনীর সংখ্যা ও ক্রমবর্ধমানতা জুনে শুরু হয়েছিল, পাকিস্তান সেনাবাহিনী রাজাকার এবং ইপিসিএফ মোতায়েন করেছিল। শেলের জন্য ভারতীয় শেলের সাথে মিল রাখতে না পেরে তারা নির্বাচিত অঞ্চল গুলিতে ব্যারেজে নির্ভর করে এবং একটি গোয়েন্দা নেটওয়ার্ক গড়ে তুলেছিল। মুক্তবাহিনী অনুপ্রবেশকারীদের এবং মাইনিনিং অভিযান পরিচালনার জন্য পূর্ব-সীমান্ত ধর্মঘট চালুর অনুমতি প্রত্যাখ্যান করা হয়েছিল, আর্টিলারি অ্যাম্বুশ করা হয়েছিল। বাঙালি নিয়মিত বাহিনী ময়মনসিংহ কুমিল্লা এবং সিলেটের বিওপি গুলিকে মিশ্র ফলাফল দিয়ে আক্রমণ করেছিল এবং পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে তাদের মধ্যে বর্ষা আক্রমণ ছিল।

সুপ্রিয় দর্শক।
সেক্টর কমান্ডাররা জুন থেকে আগস্ট পর্যন্ত মুক্তি বাহিনীর কার্যক্রম পর্যালোচনা করে এবং সেপ্টেম্বর মাসে এমএজি ওসমানী একটি সামগ্রিক মূল্যায়ন করেন। অনুসন্ধান গুলি হতাশাজনক ছিল। অনেক গেরিলা পাকিস্তানের চাপের মধ্যে প্রত্যাহার করে নিয়ে তাদের নেটওয়ার্কটি মূল রূপ নেয়নি। মুক্তিবাহিনী সরবরাহের সমস্যার মধ্যে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে মাঠ হারাচ্ছিল। যদিও বাঙালি নিয়মিত সেনারা বিওপিকে গুরত্বের সাথে আক্রমণ করেছিল, তবে একটি সফল প্রচলিত প্রচারণার জন্য ভারতীয় সেনাবাহিনীর সাথে আরও প্রশিক্ষণ, আরও ভাল যোগাযোগ এবং সমন্বয় প্রয়োজন ছিল। প্রথম ইবিআর দ্বারা কমলাপুরে আক্রমণ প্রতিহত করা হয়েছিল, তবে বাহাদুরাবাদে তৃতীয় ইবিআর আক্রমণ সফল হয়েছিল। দ্বিতীয় ও ১১তম এবং চতুর্থ ইবিআরের আক্রমণ গুলির মিশ্র ফলাফল ছিল।

দর্শক।
বর্ষায় আক্রমণে ব্যর্থতার জন্য বাংলাদেশী হাই কমান্ডকে তাদের কৌশলটি নিয়ে নতুন করে ভাবতে হয়েছিল। এমএজি ওসমানী প্রাথমিক ভাবে জেড, কে এবং এস বাহিনীকে সহযোগিতা করার কথা বিবেচনা করেছিলেন। মুক্তিবাহিনীকে সহায়তা করার জন্য বাহিনী থেকে প্লাটুন পাঠিয়েছিলেন। যদিও তার সহযোগীরা এর বিরুদ্ধে পরাজিত হয়েছিল, সিলেট জুড়ে মুক্তিবাহিনীকে সহায়তা করার জন্য তিনি জেড ফোর্স ব্যাটালিয়ন মোতায়েন করেছিলেন।
শ্রদ্ধেয় দর্শক!
আমার জ্ঞান সীমিত ও নগন্য। ক্ষুদ্র জ্ঞানে এত বড় বেক্তির ও বড় মাপের মানুষের জীবনি বর্ণনা করা খুবই কষ্টকর বটে, তবুও আমার এই লেখাতে যদি আমি তথ্যগত কোন ভুল করে থাকি বা লিখনীর মাধ্যমে কাহারোও মনে কোন ব্যথা দিয়ে থাকি বা পেয়ে থাকেন তবে নতুন হিসাবে ক্ষমা করে দিবেন। আমার ভূলগুলি শুধরে নিবার চেষ্টা করব ইনশাল্লা । আমি সবার কাছে দোঁয়া ও ক্ষমা প্রার্থনা করছি।

অনুষ্ঠানটি অন্যদের দেখার সুযোগ করে দিতে অবশ্যই লাইক,শেয়ার ও আপনার মতামত দিন। সবার আগে নতুন অনুষ্ঠান দেখতে আপনার পাশে থাকা বেল আইকনটি বাঁজাতে ভুলবেন না আশাকরি।

সরকারী নির্দেশনা মেনে চলুন। মাস্ক ব্যবহার করুন। সবাই সুস্থ ও ভাল থাকুন। আবার কথা হবে নতুন কোন অনুষ্ঠান নিয়ে এই প্রত্যাশায় এখানেই বিদায় নিচ্ছি। ধন্যবাদ সবাইকে। আল্লাহ হাফেজ।
RS TV র পক্ষে
( মোঃ রেজাউল করিম )।