Скачать или смотреть শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে যশোর পূজা পরিষদের যত আয়োজন

বাঙালির অন্যতম আনন্দের উৎস শারদীয় দুর্গোৎসব এসে গেল। মন্দিরে মন্ডপে প্রতিমা নির্মাণের কাজ শেষ। সাজসজ্জা, আলোক বিন্যাস এবং পূজার উপকরণ সংগ্রহের কাজও চলছে প্রথা অনুসরণ করে।

এবারে যশোর জেলায় ৬৫২টি মন্দির এবং মণ্ডপে দুর্গাপূজার আয়োজন করা হয়েছে। এর মধ্যে যশোর সদর উপজেলায় ১৫৭টি, শার্শা উপজেলায় ২৮ টি, ঝিকরগাছা উপজেলায় ৪৮ টি, চৌগাছায় ৩৬টি, কেশবপুরে ৯২টি, মনিরামপুরে, ৯৩টি, অভয়নগরে ১১৫টি এবং বাঘারপাড়া উপজেলায় ৮৩টি মন্দিরে দুর্গা পূজা অনুষ্ঠিত হবে।

আজ মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) সংগঠনটির জেলা সাধারণ সম্পাদক কুমার ঘোষ এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন। এরআগে লালদীঘিপাড়ে হরিসভা মন্দিরে গণমাধ্যম কর্মীদের যাবতীয় প্রস্তুতির বিষয় অবহিতকরণ করা হয়।

প্রেসবার্তায় সকল ধর্ম-বর্ণ জাতি গোষ্ঠীর মানুষকে শারদীয় শুভেচ্ছা জানিয়ে তিনি বলেছেন-যথাযোগ্য মর্যাদায় সকলের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের মধ্যদিয়ে শারদীয় দুর্গোৎসব উদযাপনের জন্য বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ যশোর জেলা শাখা বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। ইতিমধ্যে জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন এবং রাজনৈতিক দলসমূহের সাথে কয়েক দফা বৈঠক সম্পন্ন হয়েছে। সরকার এর ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গিও আমরা অবগত হয়েছি।

সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর জনমানসে সৃষ্ট অস্থিরতা এবং মনিরামপুর, অভয়নগর, কেশবপুরের জলাবদ্ধতার কারণে গতবৎসর থেকে এ বৎসর বেশ কিছু মন্দিরে দুর্গাপূজা হচ্ছে না। দর্শনার্থীদের মনে পূজার আনন্দ এনে দেবার জন্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, জেলা প্রশাসন, বাংলাদেশ পুলিশ এবং রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ সুনির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা নিয়ে অগ্রসর হয়েছে। ফলে এখন পর্যন্ত যশোর জেলার কোথাও কোন ভীতির সঞ্চার হয়নি।

বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ, যশোর জেলা শাখা প্রতিটি মন্দিরে হিন্দু মুসলিম জনগোষ্ঠীর সম্মিলন ঘটিয়ে নিরাপত্তা কমিটি গঠনের উপর জোর দিয়েছে।

২৪ ঘন্টা পালাক্রমে পাহারা দেবার জন্য স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ এবং পূজার বেশ আগেই আনসার বাহিনী মোতায়েন স্বস্তির পরিবেশ তৈরি করেছে। প্রতিটি মন্দিরে সিসিটিভি স্থাপন, বিকল্প আলোর ব্যবস্থাপনা, নারী-পুরুষের আলাদা আগমন প্রস্থান পথ তৈরি, ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা এবং সংগঠকদের নিরলস পরিশ্রম পূজার আয়োজনকে সন্তোষজনক অবস্থানে নিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে। লালদীঘি পুকুরপাড়ে অবস্থিত বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ কার্যালয়ে কন্ট্রোল রুম স্থাপন করা হয়েছে। এই অফিস থেকেই সেনাবাহিনী, প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, এন এস আই, প্রশাসনের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা, রাজনৈতিক দলসমূহ, বিদ্যুৎ অফিস, আনসার, ফায়ার ব্রিগেড এবং মন্দির নেতৃবৃন্দের মধ্যে সমন্বয় সাধন করা হচ্ছে।

বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ বিশ্বাস করে কোন ধর্মপ্রাণ দেশ প্রেমিক মানুষ শারদোৎসবে বিঘ্ন ঘটানোর প্রচেষ্টা গ্রহণ করবে না তবে কারো বা কোন গোষ্ঠীর আচরণ যদি এমন পর্যায়ে যায় যে উৎসব পালনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ মানবাধিকার সংগঠন পূজা উদযাপন পরিষদের নিরলস প্রচেষ্টাকে বাধাগ্রস্ত করে তবে সে যে ধর্মেরই হোক না কেন সংশ্লিষ্ট সকলকেই সতর্ক থাকতে হবে।

ইতোমধ্যে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ সুশীল সমাজের পরামর্শ গ্রহণ করেছে এবং একটা বৃহৎ নাগরিক ঐক্য গড়ে তুলে শারদীয় দুর্গাপূজার আয়োজন সাফল্যমন্ডিত করে তুলতে সচেষ্ট হয়েছে।

আগামী ৯ অক্টোবর থেকে ১৩ অক্টোবর পর্যন্ত শারদীয় দুর্গাপূজা ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সকলের জন্য আনন্দ পরিবেশ রচনা করুক এই প্রত্যাশা আমাদের সকলের। আমাদের প্রিয় বাংলাদেশ সকল ধর্মের মানুষের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানে এক অসাধারণ আবাসস্থলে পরিণত হোক মা দুর্গার কাছে এই হচ্ছে আমাদের প্রার্থনা।#BREAKING
#Jashore
#DurgaPuja2024
#public
#pressconference