Скачать или смотреть আসহাবে কাহাফের সেই ৭ যুবকের ঘটনা।

#nobider_kahini #islamic_video #ashabe_kahf_institute
আসসালামু আলাইকুম। আশাকরি আপনারা ভালো আছেন। আজ আমরা জানবো সূরা আল কাহাফে
আসহাবে কাহ্‌ফের সেই ঘটনা। জনাকয়েক পলাতক যুবক, একটি গুহা আর তিন শতাব্দীর নিদ্রা- আসহাবে কাহাফের কাহিনী কেবল মুসলিমদের কাছেই প্রবল জনপ্রিয় একটি ঘটনা নয়, বরং খ্রিস্টানদের কাছেও ছিল খুব জনপ্রিয় ও অলৌকিক ঘটনা। কোরআনে বর্ণিত এই কাহিনীর সাথে সেই সিরিয়ান উপাখ্যান যা মুসলিমদের বিশ্বাসের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত।

দুর্লভ তথ্য সমুহ
◆ আসহাবে কাহাফের ঘটনায় উল্লেখিত সাত জনের নাম :
(১) ইয়ামলিখা (২) মুকছালমীনা (৩) মারতোলাস (৪) ছাবয়ূনাস (৫) দারদূনাস (৬) কাফাশীতিতোস (৭) মানতুনওয়াছীস ।

আর কুকুরটির নাম ছিল কিতমীর।

◆ আসহাবে কাহাফের গুহায় সাত যুবকের আত্মগোপন করার ঘটনাটি ২৪৯ খৃঃ ঘটেছিল । তারপর তারা সেখানে ৩০৯ বছর ঘুমিয়েছিল। তাঁরা ৫৪৯ খৃঃ জাগ্রত হয়, সে হিসাব মতে তাদের সুদীর্ঘ নিদ্রাভঙ্গ হয়েছিল হযরত মুহাম্মদ (সঃ) এর জন্মের ২১ বছর আগে ।

◆ আসহাবে কাহাফ বা গুহাবাসীরা যে নগরীর অধিবাসী ছিল, ইসলাম পূর্ব জাহেলিয়তের যুগে এই নগরীর নাম ছিল ‘আফসূস’ । আরববাসীরা উচ্চারণের ভিন্নতায় এটাকে বলত ‘তারতূস’ ।

◆ তাদের আত্মগোপন করার গুহার নাম এক বর্ণনা মতে 'বীজলূস' আবার অন্য বর্ণনা মতে 'নীজলূস' ।

কোরাইশদের প্রথম প্রশ্নটির জবাব আল্লাহ রাব্বুল আলামিন দিয়েছেন সূরা কাহফের ৯ থেকে ২৬ নং আয়াতে।

ঈসা (আ.)-এর যুগে প্রথম দিকে অধিকাংশ লোকই ছিলো মুশরিক। সে যুগেও মুশরিক ও তাহওহীদপন্থীদের মাঝে শত্রুতা চরম পর্যায়ের ছিলো। সেই যুগে কোন এক ঈদের দিন জনগণ মূর্তি পূজার অনুষ্ঠানের উদ্দেশ্যে বের হল। এতে তারা তাদের মূর্তিগুলোর নৈকট্য লাভের জন্য পশু যবাই বা অন্যান্য যা যা করার তাই করবে। কিন্তু তাদের সম্ভ্রান্ত ও সম্মানিত বংশের একজন যুবক মূর্তি পূজার এই মহড়া কোন ক্রমেই মেনে নিতে পারছিলেন না। তারা যে সমস্ত কল্পিত মাবুদের উপাসনা করছিল, তা দেখে তিনি বিবেকের কাছে থমকে দাঁড়ালেন। সন্দেহ তাঁর মনে ঘুরপাক খাচ্ছিল। তাঁর চিন্তা ও চেতনায় এক নতুন গতির সঞ্চার হল। তিনি জন সমাবেশ ত্যাগ করে চুপ করে বের হয়ে গেলেন। একটি গাছের নীচে গিয়ে অস্থির হয়ে বসে রইলেন।

কিছুক্ষণ পর তার মতই আরেকজন যুবক এসে তার সাথে বসে পড়লেন। তার মনেও একই সন্দেহ। এক এক করে সাতজন যুবক এসে একত্রিত হলেন। সকলের মনে প্রশ্ন একটাই।

কেউ যদি তখনকার সত্য দ্বীনের অনুসারী হতো, তাকে ডেকে সে দু'টি বিকল্পের একটি গ্রহণের কথা বলত রোমান সম্রাট। প্রথম বিকল্প হলো, তার মতো মূর্তিপূজারি হয়ে সত্য ধর্মকে ত্যাগ করা। অথবা দ্বিতীয় বিকল্প হলো, তার জল্লাদের হাতেই প্রাণ দেয়া। আর এ দুইটি বিকল্পের যে কোনো একটিকে তাৎক্ষণিকভাবে গ্রহণ করতে হয়। তবে যুবকদের বয়সের দিকে খেয়াল করে রাজা তাদের প্রতি একটু সহানুভূতিশীল হলো।

তাদের কয়েক দিন চিন্তাভাবনা করার সুযোগ দেয়া হলো,যা অন্যদের দেয়া হয় না। তারা রাজদরবার থেকে বেরিয়ে গেল। এরপর অনেক চিন্তাভাবনার পর সিদ্ধান্ত করল তারা এ দুই বিকল্পের একটিকেও গ্রহণ করতে চায় না।

বরং তারা অন্য কোথাও গিয়ে আত্মগোপন করবে এবং সত্য ধর্মে থেকে আল্লাহর ইবাদত করবে। পরে রাজার উৎপীড়ন থেকে নিজেদের ঈমান ও জীবন রক্ষার জন্য পাহাড়ের একটি গর্তে আশ্রয় নিয়েছিল। আল্লাহ তাআলা তাদেরকে গুহার ভেতর প্রায় ৩০৯ বছর ঘুমিয়ে রেখেছিলেন। যখন তারা ঘুম থেকে জাগ্রত হল, তাদের একজন সাথীকে একটি মুদ্রা দিয়ে খাবার কিনে আনার জন্য পাঠাল। যখন সে শহরে প্রবেশ করল, দেখতে পেল পুরো শহর সম্পূর্ণরূপে বদলে গেছে। দোকানী এত প্রাচীন মুদ্রা দেখে হতবিহ্বল হয়ে গেল।

সে মনে করল, এই যুবক কোনো ধরনের ধনভাণ্ডারের সন্ধান পেয়েছে এবং সে এই মুদ্রার উৎস সম্পর্কে জানতে চাইল। যুবকটি এমন বিপত্তির মুখে পড়ে আরও অধিক বিস্মিত হল। বিষয়টি শেষ পর্যন্ত রাজ দরবার পর্যন্ত গড়াল।

রাজা যুবকটির কাহিনী শুনে বিস্মিত হলেন। অতঃপর তার সভাসদদের সঙ্গে নিয়ে সেই গুহার কাছে গেলেন এবং যুবকদেরকে তাদের জন্য দুআ করতে বললেন। পরবর্তীতে তারা সেই একই গুহার মধ্যেই বসবাস করতে লাগল এবং মৃত্যু বরণ করল। একটি কুকুরও তাদের সাথে ছিল নাম ছিল ‘কিতমির’। কুকুরসহ এদেরকে আসহাবে কাহফ বা গুহাবাসী বলা হয়৷

অর্থোডক্স খ্রিস্টানরা এই ঘটনা যেভাবে বিশ্বাস করে থাকে, তাতে দেখা যায় তখন ইফেস ছিলো রোমান সাম্রাজ্যের অধীনে, আর সেই সময়ে রোমান সম্রাট ছিলেন ডেসিয়াস!

তিনি ছিলেন কড়া খ্রিষ্টান বিরোধী সম্রাট এবং মূর্তিপূজক। তিনি যারা খ্রিষ্ট ধর্মের অনুসারী ছিলেন তাদের গণহারে হত্যা করতে লাগলেন। এই কাজেই তিনি এলেন ইফেস শহরে। তখন ইফেস-এ সাতজন ধর্মপ্রাণ খ্রীষ্টান যুবক ছিলেন- ম্যাক্সিমিয়ান, মালক্যাস, মারসিয়ান, ডিওনিসিয়াস, জন, সেরাপিওন এবং কন্সট্যানটাইন। তারা ছিলেন এক ইশ্বরে বিশ্বাসী খ্রীষ্টান এবং সকলেই সম্ভ্রান্ত পরিবারের সন্তান। তাঁরা প্রতিবাদ করল এবং জীবনের তাগিদে গুহায় আশ্রয় নিলো।

তবে দুই মতেই গুহার অবস্থান উল্লেখ করা হয়নি। কেউ কেউ বলেন যে এটি তুরস্কের ইফেস শহর; অন্যরা বলেন, এটি জর্ডানের আম্মানের দক্ষিণ রাজী গ্রামে সপ্তম ঘুম, কেউবা বলেন চীনের জিনজিয়াং এর উইঘুর মুসলিম অধ্যুষিত তিউযুকজামক।

এই ঘটনাটির শিক্ষা আমাদের প্রাত্যহিক জীবনকে সদাজাগ্রত রাখুক। জাযাকুমুল্লাহু খাইরান। আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে দ্বীনের উপর অবিচল থাকার তওফীক দান করুন। আমীন।

#viralvideo
#motivation
#bangla I'm
#Ashabe_kahaf
#islamic_video
#nobider_kahini
#youtubevibeo
#hazrat_muhammad_saw
#islamic_story
#arabic
story islam
best islamic stories
islamic sad story
islamic old story
bengali moral
islamic health tips
islamic history short
islami speech
islamic hadees
islamic motivation short video.