Скачать или смотреть সন্তান জন্মের পর করণীয়

❓ আপনার ঘরে নতুন শিশু জন্ম নিয়েছে? জানেন কি, ইসলাম এ বিষয়ে কী কী কাজ করতে বলেছে?
👉 অনেকে জানেন না, অথচ রাসূল ﷺ আমাদের সন্তান জন্মের পর কিছু বিশেষ সুন্নাহ শিখিয়ে দিয়েছেন, যা সন্তানের জন্য রহমত, বরকত ও হেফাজতের কারণ হয়। আজকের ভিডিওতে আমরা বিস্তারিত জানবো, সন্তান জন্মের পর করণীয় ইসলামী কাজগুলো—

🔹 ১. আজান ও একামত দেওয়া
শিশু জন্মের সাথে সাথেই তার ডান কানে আজান এবং বাঁ কানে একামত দেওয়া সুন্নত। এতে শিশুর প্রথম শোনার শব্দ হয় আল্লাহ্‌র নাম, কলেমা ও ইসলামের আহ্বান। এই সুন্নাহ পালন করলে শিশুর জীবনে আল্লাহর রহমত আসে।

🔹 ২. তাহনিক করা
শিশুর মুখে প্রথমে খেজুর বা মিষ্টি কিছু চিবিয়ে দেওয়া। রাসূল ﷺ শিশুর জন্য তা করেছেন। এতে শিশুর জন্য বরকত হয় এবং শরীরও সুস্থ থাকে।

🔹 ৩. নাম রাখা
ভালো, অর্থবহ ও সুন্দর নাম রাখা অত্যন্ত জরুরি। রাসূল ﷺ বলেছেন, “তোমরা তোমাদের সন্তানদের সুন্দর নাম রাখো।” (আবু দাউদ) নাম শিশুর পরিচয়, দুনিয়া ও আখিরাতে তার মর্যাদা নির্ধারণ করে।

🔹 ৪. আকীকা করা
সন্তান জন্মের ৭ম দিনে আকীকা করা সুন্নত। ছেলে হলে দুটি ছাগল এবং মেয়ে হলে একটি ছাগল কুরবানি করতে হয়। এর মাধ্যমে শিশুকে শয়তানের বাঁধন থেকে মুক্ত করা হয়।

🔹 ৫. মাথা মুন্ডন ও ওজন অনুযায়ী সাদাকাহ
শিশুর মাথার চুল কেটে তা ওজন করে সমপরিমাণ রূপা বা স্বর্ণ সদকা করা। এটি শিশুর জন্য পবিত্রতা ও বরকতের কারণ হয়।

🔹 ৬. খতনা করা (সুন্নতে খাতনা)
ছেলেশিশুর খতনা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সুন্নত। পরিচ্ছন্নতা, স্বাস্থ্য ও ইসলামী পরিচয়ের জন্য এটি অপরিহার্য।

🔹 ৭. শিশুর জন্য দোয়া করা
শিশুর জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করতে হবে যেন সে নেককার, সৎকর্মশীল ও দ্বীনের পথে বড় হয়।

✨ সারসংক্ষেপ:
সন্তান জন্মের পর এই সুন্নাহগুলো পালন করলে ঘরে রহমত বর্ষিত হয়, শিশুর জীবনে কল্যাণ আসে এবং পরিবারের উপর আল্লাহর বিশেষ অনুগ্রহ বর্ষিত হয়।

💡 স্মরণীয় বিষয়:
শিশুর প্রথম মুহূর্তগুলো সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। ইসলামের নির্দেশনা অনুসরণ করে আপনি শিশুর জন্য সঠিক পথ প্রস্তুত করতে পারেন।

📢 ভাই ও বোনেরা, ভিডিওটি বেশি শেয়ার করুন যাতে সবাই জানতে পারে সন্তান জন্মের পর করণীয় ইসলামী কাজগুলো।

🔖 হ্যাশট্যাগ:
#সন্তানজন্ম #ইসলামিকরিলস #আকীকা #আজান #তাহনিক #খতনা #ইসলামিকভিডিও #ইসলামিকজ্ঞান #সুন্নত #IslamicReels #IslamicReminders #Hadith #Quran #IslamicTips