এক সূত্রেই বিসর্গ সন্ধি শেষ!! (সন্ধি-বিচ্ছেদের নিয়মানুসারে)
নিয়ম: বিসর্গ সন্ধিজাত শব্দে (শ, ষ, স) যুক্ত অবস্থায় এবং (র, রেফ, ো) মুক্ত অবস্থায় থাকলে বিচ্ছেদে তার স্থলে (ঃ) হবে। যেমন—
দুশ্চরিত্র = দুঃ + চরিত্র, শিরশ্ছেদ (বানান**) = শিরঃ + ছেদ; নিশ্চয় = নিঃ + চয়।
আবিষ্কার = আবিঃ + কার, চতুষ্পদ = চতুঃ + পদ, ধনুষ্টঙ্কার = ধনুঃ + টঙ্কার।
মনস্তাপ = মনঃ + তাপ, মনস্কামনা (বানান**) = মনঃ + কামনা, নিস্তেজ = নিঃ + তেজ।
নিরাকার = নিঃ + আকার, অন্তরীপ = অন্তঃ + ঈপ, দুরবস্থা = দুঃ + অবস্থা; দুরূহ = দুঃ + ঊহ।
দুর্নীতি = দুঃ + নীতি; দুর্লভ = দুঃ + লভ।
যশোলাভ = যশঃ + লাভ, সদ্যোজাত = সদ্যঃ + জাত, তিরোধান = তিরঃ + ধান, তপোবন = তপঃ + বন।
ব্যতিক্রম: নীরব = নিঃ + রব, নীরস = নিঃ + রস, নীরক্ত = নিঃ + রক্ত, নীরোগ = নিঃ + রোগ, নীরন্ধ = নিঃ + রন্ধ্র ।
[এখানে উদাহরণ কম করে দেওয়া হয়েছে পোস্টের আকার ছোট করার জন্য। আপনারা নবম-দশম শ্রেণির বোর্ড ব্যাকরণ বইটি থেকে বিসর্গ সন্ধির প্রত্যেকটি উদাহরণ অনুশীলন করুন এবং লক্ষনীয়— এই বইয়ের উদাহরণগুলো পড়লেই যথেষ্ট যে কোনো প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার জন্য।]
বিসর্গ সন্ধি নির্ণয়ের সূত্র: বিসর্গ = ৩সরাও।
৩স— শ, ষ, স যুক্ত থাকলে। যেমন— শিরশ্ছেদ = শিরঃ + ছেদ, আবিষ্কার = আবিঃ + কার, মনস্তাপ = মনঃ + তাপ।
রা— র, রেফ থাকলে। যেমন— অন্তরীপ = অন্তঃ + ঈপ, দুর্নীতি = দুঃ + নীতি।
ও— ো থাকলে। যেমন— যশোলাভ = যশঃ + লাভ, মনোরম = মনঃ + রম।
বিশেষ নিয়মে বিসর্গ সন্ধি: বাচস্পতি = বাচঃ + পতি, ভাস্কর = ভাঃ + কর [তবে ভাস্বর (√ভাস্ + বর)—প্রত্যয়ের জন্য পরীক্ষায় আসে।]
অর্থ সংকলন: 'ভাস্কর' শব্দের অর্থ সূর্য, দিবাকর। 'ভাস্বর' শব্দের অর্থ আলোকিত, উজ্জ্বল।
হানিফ সিরাজী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
Информация по комментариям в разработке