#শিমুল_মূল
ভিডিওতে আপনারা এলোভেরা ও শিমুল মূল দুটোই দেখতে পাচ্ছেন, আজ শুধু শিমুল মূল নিয়েই আলোচনা করব।
শিমুল একটি অতিপরিচিত গাছ। এই গাছ মূলত কাঠ ও তুলার জন্যই ব্যবহৃত হয়ে থাকে। এছড়াও এই গাছের রয়েছে নানারকম ঔষধি গুণ। ভেষজ চিকিৎসা কাজে এই গাছের আছে নানবিধ ব্যবহার। আসুনে জেনে নেয়া যাক এই গাছে ঔষধি গুণাগুণ সম্পর্কে-
• যাদের যৌন ক্ষমতা কম তারা এই গাছের মূলের চূর্ণ খেলে এই সমস্যা দূর হয়ে যায়।
• এই গাছের বিভিন্ন অংশ ফোড়া, আমাশয় রোগের উপশম হিসেবে কাজে লাগে।
• দীর্ঘদিনের শুষ্ক কাশি থাকলে শিমুলের আঠা চূর্ণ ৮০০ মিগ্রা পরিমাণ দু’বেলা দুধ বা পানিসহ অথবা চার চা-চামচ বাসক পাতার রস একটু গরম করে ছেঁকে নিয়ে সেবন করলে উপকার পাওয়া যায়।
• অতিরিক্ত রক্তস্রাবে মূলের চূর্ণ ও রক্ত আমাশয়ে আঠারচূর্ণ বেশ কার্যকর।
বসন্তে যে ক’টি উজ্জ্বল ফুল আমাদের চারপাশ আলোকিত করে রাখে শিমুল তার মধ্যে অন্যতম। বসন্তে গ্রামের সবুজ পটভূমিতে শিমুলের রক্তিম উচ্ছ্বাস মাতিয়ে রাখে চারপাশ।
শিমুল বিরাট আকারের পাতাঝরা বৃক্ষ। শীতের হিমেল হাওয়ার প্রথম ছোঁয়াতেই এ গাছের পাতা ঝরে।
বসন্তের একটু ছোঁয়া পেলেই রাশি রাশি ফুল ফুটতে শুরু করে। ধীরে ধীরে কাঁচা-সবুজ রঙের দু-এক স্তবক পাতা উঁকি দেয় ডালে ডালে। শাখা-প্রশাখার আগায় পাঁচ থেকে সাতটি পাতা একসঙ্গে থাকে।
ফুল সাধারণত গাঢ় লাল রঙের হলেও তাতে কমলা ও হলুদ রঙের মিশ্রণ দুষ্প্রাপ্য নয়। ফুল বেশ বড় ও ভারী, পাপড়ি মুক্তভাবে ছড়ানো, ঘনবিন্যস্ত ও দলমণ্ডল ঘণ্টাকৃতির।
পরাগচক্র বহু কেশরের সমষ্টি এবং পাপড়ির বিপরীতে পাঁচটি গুচ্ছে বিভক্ত। শালিক ও অন্যান্য পাখি প্রস্ফুটিত শিমুলের সহযোগী।
বাংলা বা স্থানীয় নামঃ শিমুল
ইউনানী নামঃ সেম্ভল
আয়ুর্বেদিক নামঃ শাল্মলী
ফার্সী নামঃ সেম্ভব
হিন্দি নামঃ সমল, শেম্ভল
সংস্কৃত নামঃ শাল্মলী, মোচা, পিচ্ছিলা, পূরনী, রক্তপুষ্পা
ইংরেজি নামঃ Cotton Tree
ব্যবহৃত অংশঃ কচি গাছের মূল । বড় গাছের ছাল, ফুল, বীজ এবং ত্বকরস বা মোচরস ।
ক্রিয়াঃ শুক্র বর্ধক, বলকারক, লিউকোরিয়া ও অতিরিক্ত রক্তস্রাবে কার্যকর ।
সাধারন ক্রিয়াঃ
যৌনশক্তি বর্ধক, বীর্যসৃষ্টি কারক, দেহ মোটা ও তাজা করে, দৈহিক তাপের সংরক্ষণ ও যৌবনের স্থিতিকারক । মূচরস বা শিমূলকষ কষা কারক, বীর্যস্তম্ভক, রক্তরোধক, শুষ্ককারক, শ্বেতপ্রদর, রক্তপ্রদর, অতিরিক্ত ঋতুস্রাব, পাতলা পায়খানা, আমাশয়, শুক্রতারল্য, স্নায়বিক দূর্বলতা এবং দাঁতের মাড়ি শক্ত করতে অত্যান্ত উপকারী ।
আয়ুর্বেদিক মতে গুণ ও আময়িক প্রয়োগঃ
মধুর-কষায়রস, শীতল, কফজনক, পিত্তনিবারক, শুক্রবর্ধক, মলরোধক, রক্তপিত্তের শান্তিকারক এবং বাতরক্তের উপশমকারক। ফুল মধুর কষায়রস, গুরুপাক, বলকারক, প্রদরনাশক, শীতল ও বায়ুবর্ধক ।
শিমুল অত্যন্ত শুক্র ও বলবর্ধক ।
ইউনানী মতে গুনঃ
শিমুল শিতল ও আদ্র প্রকৃতির ।
শিমুল মূল বির্য গাঢ় কারক, যৌনশক্তি বর্দ্ধক, উত্তেজক ও ধ্বজভঙ্গ রোগে উপকারী ।
শিমুলকষ অত্যন্ত শুক্রবর্ধক, কামোদ্দীপক, স্নিগ্ধকারন, ও রসায়ন। বলকারক, সংকোচক ও রক্তস্রাব নিবারক । উদরাময় ও অতিরিক্ত ঋতুস্রাব নাশক।
শিমুলের কচি মুল বেটে মিছরি সহ সেবনে গনোরিয়ায় উপকারী ।
শিমুল ফুল জনযন্ত্রের দুর্বলতা নাশক, প্রদর নাশক এবং রসায়ন ও উত্তেজক। এছাড়া কামোদ্দীপক, মুত্রকারক এবং মূত্রযন্ত্রের রোগ নাশক ও চর্মরোগে উপকারী।
শিমুল পাতা ও বিজের প্রলেপ ফুলা নিবারক। পুরানো কাশিতে শিমুল পাতার রস চিনি সহ সকাল – বিকাল সেবনে উপকারী।
শিমুল কাটা দুধে বেটে ব্রনে ব্যবহারে ব্রন তাড়াতাড়ি সেরে যায় ।
খাওয়ার সাধারণ নিয়মঃ
রাতে ১ চামচ পাউডার হাফ গ্লাস পানিতে ভেজাবেন এবং সকালে শুধু পানিটুকু খাবেন ও নিচে জমানো অংশ ফেলে দিবেন। সকালেও একই নিয়মে ভেজাবেন ও একই নিয়মে রাতে খাবেন। অথবা ডাক্তারের কাছে থেকে পরামর্শ নিয়ে খাবেন।
Информация по комментариям в разработке