Tagorean Song in Muktochhondo/ Onontosagoro Majhe/ Bageshree/ Remembering Swarupranjan Roy

Описание к видео Tagorean Song in Muktochhondo/ Onontosagoro Majhe/ Bageshree/ Remembering Swarupranjan Roy

শিল্পী ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নাম কমেন্টস অংশে প্রদত্ত।

গবেষণামূলক টীকা

জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘স্বপ্নময়ী’ (১৮৮২) নাটকের উনিশটি গানের মধ্যে পনেরটি রবীন্দ্রনাথের লেখা। এটি তার অন্তর্গত। স্বরবিতানের অষ্টম খণ্ডে গানটি নিবদ্ধ, সম্পাদনা করেন ইন্দিরাদেবী চৌধুরানী। স্বরলিপিকারও তিনি। রবীন্দ্রনাথের প্রয়াণের (১৯৪১) আট বছর পর এই স্বরলিপিটি প্রকাশিত হয় (১৯৪৯)। ‘প্রেম ও প্রকৃতি’ পর্যায়ের গানটির রাগ বাগেশ্রী ও তাল আড়াঠেকা। গানটি কুড়ি বছর বয়সে লেখা বলে প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায় উল্লেখ করেছেন (গীতবিতানের কালানুক্রমিক সূচী), যা সঠিক নাও হতে পারে। মনে হয় সতেরো থেকে কুড়ি বছরের মধ্যে গানটি গড়ে উঠেছে। রবীন্দ্রনাথ প্রথম ইংল্যান্ড যান সতেরো বছর বয়সে (১৮৭৮)। গানটি ইতিপূর্বে ইংল্যান্ডে বাসকালে লেখা বলে অনুমান করেছেন প্রশান্তকুমার পাল (‘রবিজীবনী’, দ্বিতীয় খণ্ড)। ইংল্যান্ড থেকে প্রেরিত পত্রগুলি ‘ভারতী’তে প্রকাশিত হতে থাকে দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুরের সম্পাদনায়। সেখানে আলোচ্য গানটি একটু ভিন্নরূপে ও কথায় দুটি ভিন্ন তাল ও রাগে প্রকাশিত হয়েছিল, যে সুরগুলি হারিয়ে গেছে। বাগেশ্রী ও আড়াঠেকা ‘স্বপ্নময়ী’তে ব্যবহৃত হয়। এই সুর ‘বাল্মীকিপ্রতিভা’র ‘রাঙাপদপদ্মযুগে প্রণমি গো ভবদারা’কে স্মরণ করিয়ে দেয়। উক্ত পত্রগুলি পরে ‘য়ুরোপ প্রবাসীর পত্র’ হিসাবে প্রকাশিত হয় (১৮৮১)।

১৯০৯এর পর থেকে রবীন্দ্রনাথের গানের বিভিন্ন সঙ্কলনে রাগ ও তালের উল্লেখ সাধারণভাবে বন্ধ হয়ে যায়। ইন্দিরা দেবীকে লিখছেন – “কলিযুগে শুনেছি নামেই মুক্তি; কিন্তু গান চিরকালই সত্যযুগে।“ (১৯৩৫) এটি বস্তুতঃ হিন্দুস্তানী রাগসঙ্গীতের কাঠামোবদ্ধতার বিরুদ্ধাচরণ। স্বরবিতান নীতিগতভাবে তা মানলেও আলোচ্য খণ্ডসহ অনেক খণ্ডের ক্ষেত্রেই তা মানা হয়নি। এর কারণ অজানা।

কবির আপত্তি ও আশঙ্কা যে সত্যি, তা প্রমাণিত হয় ১৯০৯ পর্যন্ত প্রকাশিত বিভিন্ন রবীন্দ্রগানের সঙ্কলনে আলোচ্য গানটির তাল নিয়ে বিভিন্ন মতের সমাহারে। চারটি গ্রন্থে ‘আড়াঠেকা’ ও পাঁচটি গ্রন্থে ‘আড়খেমটা’ বলা হয়েছে (‘গীতবিতানের জগৎ’, সুভাষ চৌধুরী, ৩১৮-৯)। রবীন্দ্রনাথ নিজে ‘আড়খেমটা’ বাতিল করেছিলেন কিনা আমরা জানি না। স্বরলিপিকার কর্তৃপক্ষকে আড়াঠেকা ব্যবহার করার ক্ষেত্রে কী যুক্তি দেখিয়েছিলেন, তাও অজানা। এটি সম্পাদনার সমস্যা।

দুঃখের বিষয় আড়খেমটা তালে যদি গানটি গাওয়া হয়ে থাকে, তবে কীভাবে তা হত তাও চিরতরে হারিয়ে গেছে। এর কোনো স্বরলিপি নেই। কিন্তু ‘স্বপ্নময়ী’ নাটকে এই তাল কখনো ব্যবহৃত হয়েছে বলে মনে হয়, কারণ জ্যোতিরন্দ্রনাথের ‘স্বরলিপি-গীতিমালা’ গ্রন্থের প্রথম পর্বে ‘ ৬৮খানি রবিবাবুর গানের স্বরলিপি’ আছে এবং সেখানে ‘আড়-খেমটা’ তালের বোল ও ব্যাখ্যা দেওয়া আছে।

কবির প্রথম গানের সঙ্কলন ‘রবিচ্ছায়া’তে (১২৯২ বঙ্গাব্দ) আছে ‘গেছে সুখ গেছে দুখ’; কিন্তু গীতবিতানে আছে ‘গেছে দুখ গেছে সুখ’। স্বরবিতানে গীতবিতানেরটি গ্রহণ করা হয়নি। এর যুক্তিও সেখানে ব্যাখ্যাত হয়নি। প্রায় সব স্বরবিতানের সম্পাদনাই সমস্যাসঙ্কুল।

‘রবিচ্ছায়া’তে সবশেষে অতিরিক্ত চারটি পংক্তি আছে, যা গীতবিতান ও স্বরবিতানে বর্জিত। ধরে নেওয়া যায় ‘স্বপ্নময়ী’তে তা ব্যবহৃত হত। কিন্তু সুর কি ছিল এবং কেনই বা বাতিল করা হল তার উত্তর কোথাও পাই নি। এই চারটি পংক্তি উক্ত স্বরবিতানের ‘পাঠভেদ’ অংশে উল্লিখিত আছে।

গানটির তাল নিয়ে দ্বিমত থাকলেও এটি কখনোই মুক্তছন্দের গান হিসাবে অভিহিত হয়নি। অতএব কবিও সেভাবেই এর সৌন্দর্যকে বুঝেছিলেন। আশ্চর্যের বিষয় রবীন্দ্র-পরবর্তী সঙ্গীতগুরুরা ব্যাখ্যা ব্যতিরেকে একে মুক্তছন্দের গানে পরিণত করেন। কার্যকরণ বিশ্লেষণের ভিত্তিতে অনুমান করা যায় এর শিকড় হয়তো শান্তিনিকেতনে নিহিত। যেভাবে রবীন্দ্রনাথের জীবনের শেষ দিক থেকে স্বরপ্রয়োগের ব্যাপারে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছিলেন সুধীরচন্দ্র কর, শৈলজারঞ্জন মজুমদার ও অনাদিকুমার দস্তিদার, তার ভিত্তিতে একথা বলা চলে। এই বিশ্লেষণ আমার পূর্ববর্তী রেকর্ডের (‘আঁধার রাতে একলা পাগল’) গবেষণামূলক টীকাতে দেওয়া আছে (    • Tagorean Song in Muktochhondo/ Andhar...   )। এছাড়াও বিশ্বভারতী প্রকাশিত সঙ্কলন গ্রন্থ ‘রবীন্দ্রসঙ্গীতে অনাদিকুমার’ পাঠ করা প্রয়োজন।

এই প্রবণতা স্বাধীনভাবে তৈরি করা কলকাতার পক্ষে সম্ভব ছিল না। কলকাতায় আনুষ্ঠানিকভাবে রবীন্দ্রসঙ্গীত শেখানোর যাঁরা স্তম্ভস্বরূপ ছিলেন, তাঁদের ভিত্তি মূলতঃ শান্তিনিকেতন। কলকাতায় এর সূত্রপাত অনাদিকুমারের হাত ধরে, যিনি ১৯১২ থেকে ১৯২৫ পর্যন্ত শান্তিনিকেতনে ছিলেন এবং শেষ পাঁচ বছর গান শেখেন রবীন্দ্রনাথ, দিনেন্দ্রনাথ, পণ্ডিত ভীমরাও শাস্ত্রী ও রাধিকামোহন গোস্বামীর কাছে। কবির প্রয়াণের পর শান্তিনিকেতনে স্বরপ্রয়োগের ক্ষেত্রে বিশৃঙ্খলা তাঁকে বিপর্যস্ত করেছিল (‘দেশ’, ২৭ অগ্রহায়ণ, ১৩৬৫ বঙ্গাব্দ)। তিনি একা সেসব ঠেকাবেন কীভাবে?

এই গানটি মুক্তছন্দে সর্বজনমান্য হয় মোহরদির রেকর্ডের সূত্রে। তাঁর কণ্ঠে ১৯৮৩তে প্রথম গানটি শুনি। শান্তিনিকেতনে তাঁর কোনো ক্লাস রেকর্ড ছাত্রছাত্রী বা কর্তৃপক্ষ সংরক্ষণ করেননি বলে মনে হয়, যা ঐতিহাসিক ক্ষতি।

মৃত্যুর পূর্বের বছরে (৩০ জুন, ১৯৪০) রবীন্দ্রনাথের একটি বক্তব্য ‘সঙ্গীতচিন্তায়’ সঙ্কলিত হয় – “তোমাদের কাছে আমার মিনতি – তোমাদের গান যেন আমার গানের কাছাকাছি হয়, যেন শুনে আমিও আমার গান বলে চিনতে পারি।“ (পৃঃ ২৫৪)।

যতদূর খোঁজ করতে পেরেছি, আড়াঠেকা তালে মাত্র দুজন গেয়েছেন – রাজেশ্বরী দত্ত ও সুদেষ্ণা মিত্র।

মায়াদি ২০/০৪/১৯৮৯ ও ২৮/০৪/২৯ তারিখে গানটি শিখিয়েছিলেন মুক্তছন্দে, কঠোরভাবে স্বরলিপি মেনে। তিনি না শেখালে মুক্তছন্দে রেকর্ড প্রকাশ করার সাহস হত না। কেন তালে শেখালেন না, তা জিজ্ঞেস করার বোধ বা সাহস ছিল না।

গানটির সুরারোপের ক্ষেত্রে আভোগের ‘প্রসারিয়া’ মধ্যসপ্তকের গা থেকে তারসপ্তকের মা পর্যন্ত বিস্তৃত। গানের বক্তব্যের সাহিত্যিক মুল্য ও দর্শনগত গুরুত্ব যেখানে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছাচ্ছে, সেখানে তিনি স্বরবিন্যাসের এই প্রকৃতির সাহায্য নিচ্ছেন। এ ব্যাপারে গবেষণা দেখিনি।

No infringement of copyright is intended.

Комментарии

Информация по комментариям в разработке