Скачать или смотреть #লাকুটিয়া

#Bangladesh_Discovery_TV
শত বছরের ঐতিহাসিক জমিদার বাড়ি, বরিশালের লাকুটিয়ায়!
যা বাবুর বাড়ি নামে খ্যাত!
বরিশাল শহর থেকে উত্তর দিকে, বেশ খানিকটা দুরেই, বাজার ছাড়িয়ে লাকুটিয়া জমিদার বাড়ি। রাজা রায়চন্দ্র রায় কর্তৃক উনিশ শতকে নির্মিত এই বাড়িটি বরিশাল বিভাগের মধ্যে একটি অন্যতম বাড়ি ৪শত বছরের পুরোনো জমিদার বাড়ী। বিট্রিশ আমলে খানেক একর জমি নিয়ে বাড়িটি নির্মান হলেও অযত্ন অবহেলায় লাকুটিয়া জমিদার বাড়ি এখন ভূতুড়ে বাড়ী।

বাড়িটির চারদিক থেকে আস্তে আস্তে দেয়ালগুলো ধরে পরেছে। বাড়িটির দোতলায় উঠার কোনো উপায়ই নেই, বাইরের দিক থেকে উঠে যাওয়া সিঁড়ি ভেঙে আছে। স্বাভাবিকভাবে সম্ভব নয়। উঠতে হলে টেনে হিচরে উঠতে হয়।

ঐতিহ্য ঐই জমিদার বাড়িটি অবহেলতি থাকলেও থেমে নেই পর্যকটদের জমিদার বাড়ি দেখার ভিড়। মধ্য বয়সী মানুষ হতে নানা বয়সের মানুষের ভির থাকে ঐখানে।

বরিশালের লাকুটিয়া জমিদার বাড়িটি নির্মান হয় অনেক মূল্যবান ইট, পাথর আর সুড়কি গাঁথা এক সময়ের এই জমিদার বাড়ি এখন পরিত্যক্ত ভুতুরে বাড়িতে পরিনত। অথচ বাড়িটিকে ঘিরে রয়েছে প্রায় ৪শত বছরের পুরনো ইতিহাস। বাড়িটির আশে পাশে রয়েছে নানান বিনোদনীয় দিঘি, মট, মাঠ, আর নানান দৃশ্য। বাড়ির প্রতিটি দেয়ালে দেয়ালে রয়েছে নির্যাতনের ইতিহাস।

জমিদার বাড়ির বেশিরভাগ স্থাপনাই আটচালা দেউল রীতিতে তৈরি। বাড়ির সবচেয়ে সুন্দর স্থাপনা হল শিখররীতির অক্ষত কিছু মন্দির।

যতদূর জানা যায়, আদিপুরুষ রুপচন্দ্র রায়ের হাত ধরেই প্রতিষ্ঠা পায় ঐ জমিদার বংশ। পরবর্তীতে জানাগেছে ১৬-১৭০০ সালের পরে রুপ চন্দ্রের পৌত্র রাজচন্দ্র রায়ের জমিদারি গড়ে ওঠে ওখানে। তার পর থেকেই বাড়িটির সাথে ইতিহাস হয়ে আছেন তিনি, খ্যাত হয় লাকুটিয়া জমিদার বাড়ি।

ঐ জমিদার বাড়িটির অজানা সব ইতিহাস সন্ধানে নামে দেশ-বিদেশের উদীয়মান তরুন। বেশে কিছুদিন ফটোগ্রাফি, পারফর্মিং আট, ও অন্যান্য জিনিস গুলো শিল্পকর্মে তুলে ধরা হয় বাড়িটির অতীত ইতিহাস আর ঐতিহ্য এবং বর্তমান সময়ের জমিদার বাড়ী।
আরো জানাগেছে, এক উদীয়ান তুরুন সংগঠনের কাছে জমিদার বাড়িটি উড়ন্ত তাদের আবাসিক শিল্পকর্ম বিনিময় কর্মসূচির মাধ্যমে বাংলার পথে প্রান্তরে অতীতকে সংরক্ষনের দায়িত্ব প্রজন্মেও হাতে তুলে দিতে প্রতিশ্রুতিবব্ধ ছিল। কিছু তাহয়ত ক্ষনিকের জন্যই ছিল। নাকি চোখের ওয়াস ছিল।

জমিদার বাড়িটির স্থানঃ বরিশাল শহর থেকে উত্তর দিকে, বেশ খানিকটা দুরেই, বাজার ছাড়িয়ে লাকুটিয়া জমিদার বাড়ির ধ্বংসাবশেষ। রাজা রায়চন্দ্র রায় কর্তৃক উনিশ শতকে নির্মিত এই বাড়িটি সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের পীঠস্থান হিসেবে ব্যাপক পরিচিত ছিলো। এই পরিবারের সদস্যদের খ্যাতি ছিলো প্রজাকল্যাণ এবং বিবিধ জনহিতকর কার্যক্রমে। এর ধারাবাহিকতায় তৎকালিন সময়ে বরিশাল শহরে নির্মিত হয়েছিলো ‘রাজচন্দ্র কলেজ’। শেরে বাংলা ফজলুল হকের মত ব্যাক্তিত্ব এই কলেজে তাঁর কর্মজীবন শুরু করেছিলেন।

নানান ধারায় লাকুটিয়ার জমিদারেরা নির্মান করেছিলেন লাকুটিয়া সড়কটি। এলাকা সূত্র থেকে জানতে পারি, পাকিস্তান আমলে এই এলাকায় ‘পুষ্পরানী বিদ্যালয়’ নামে একটি স্কুল নির্মিত হয়েছিলো। তবে এর কোন ঐতিহাসিক তথ্য পাওয়া যায়নি।

জানতে পারি, লাকুটিয়া জমিদার বাড়ীটিতে আজ জমিদারী নেই, নেই জমিদারও। লাকুটিয়া জমিদার বাড়ির শেষ উত্তরাধিকারী দেবেন রায়চৌধুরী সপরিবারে কোলকাতা চলে যান। পরে সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। দেবেন রায়চৌধুরীর কন্যা মন্দিরা রায়চৌধুরীর বিয়ে হয় বরিশাল কাশীপুরের মুখার্জি বাড়ীতে, শ্রদ্ধেয়া মন্দিরা মুখার্জি এখন সেখানেই বসবাস করছেন।

এলাকাবাসি নয় বরিশাল বিভাগের সবাই লাকুটিয়া জমিদার বাড়ী এই নামেই চেনে। ভগ্ন প্রাসাদের প্রবেশ মুখে রয়েছে কয়েকটি স্থাপনা, অজানা গুল্মের আশ্রয়ে। সদর দরজার দিকে এগোই, দক্ষিনে বিখ্যাত বউরানির দিঘি, জল এখনো টলটলে, শান বাঁধানো ঘাটে বাতাসের ফিঁসফাঁস। মুল ভবনের সামনে রয়েছে খানেক খানি জমি নিয়ে একটি মাঠ, দোতলা প্রাসদ; এখন কি একে প্রাসাদ বলা যায়!
বর্তমানে জমিদার বাড়িটি উন্নয়নের হাত না লাগায় হারিয়ে যাচ্ছে বরিশালের ৪শত বছরের পুরোনো ঐতিহ্য।
এইরকম আরো বহুল আলচিত স্থান সম্পর্কে জান্তে চোখ রাখুন আমাদের চ্যানেলে,
এবং নিয়মিত ভিডিও পেতে চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করুন! আমাদের ভিডিও ভালো লাগলে লাইক ও সেয়ার করুন! আর কমেন্টে আপনার মুল্যবান মতামত লিখতে ভুলবেননা! ধন্যবাদ!